জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার লক্ষ্যে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে সিনিয়রবিহীন এক দল পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যে দলের দায়িত্বে ছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ।
সেই সিরিজের হেরে যাওয়া দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে জেতার তাড়না কম ছিল বলে মনে হয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনের। সেই সিরিজ চলাকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, বর্তমান কোচিং স্টাফ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাতে পারছে না। কিংবা বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর জ্ঞান প্রচুর থাকলেও চিন্তা-ভাবনা মডার্ণ ক্রিকেটের মতো অ্যাগ্রেসিভ নয়।
তবে সে সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটে ডমিঙ্গোর ভবিষ্যৎ দোলাচলে এমনটা বুঝা যায়নি। গতকাল (১৭ আগস্ট) মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের অনুশীলন দেখতে এসে কোচিং প্যানেল বিষয়ে পাপনের কাছে জানতে চাইলে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা শক্তিশালী নই। এটা নিয়ে কী করা যায়, ভাবতে গিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এশিয়া কাপ থেকেই দলের মানসিকতা, চিন্তাভাবনা সবকিছু বদলে ফেলতে চাচ্ছি। আমরা দেখতে চাই নতুন করে শুরু করা যায় কি না। দুই এক দিনের মধ্যে সব জানতে পারবেন।’
ঠিক তখন থেকে প্রশ্ন ওঠে ডমিঙ্গো অধ্যায় কী তবে শেষ? সেই প্রশ্নের পালে হাওয়া দিয়ে বর্তমানে জোর গুঞ্জন ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে বাংলাদেশের নতুন টি-টোয়েন্টি কোচিংয়ের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে বিসিবি। এশিয়া কাপ থেকে শুরু হবে এই কোচের যাত্রা।
এশিয়া কাপের জন্য দল গুছিয়ে নিতে দুই-এক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা শ্রীরামের। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শ্রীরাম আইপিএলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতার দরুণ টাইগার ক্রিকেট সামলানোর দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
যদিও গতকাল পাপনের কথার ইঙ্গিতে মনে হচ্ছিল, জেমি সিডন্স টাইগার দলের নতুন কোচ হতে পারেন। বিসিবি প্রধান তো বলেই ফেলেছিলেন, দল নিয়ে আলোচনা করতে সিডন্স তার বাসায় গিয়ে কথাবার্তাও বলেছেন। তবে ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে বিসিবির এক বোর্ড কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা যায়, সিডন্স নয় শ্রীরামের আইপিএলে কাজের অভিজ্ঞতায় দায়িত্ব দেওয়া হবে এই ভারতীয় কোচকে।
শ্রীরাম ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে ৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া দলে স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শ্রীরাম। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন সেই কোচিং স্টাফে ছিলেন শ্রীরামও। ২০১৯ সালে অ্যাশেজেও অজি দলের কোচিং স্টাফের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। সেই বছর আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং ও স্পিন কোচের দায়িত্ব পান এই ভারতীয় কোচ।
এদিকে শ্রীরামকে এশিয়া কাপের দায়িত্ব দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে পরখ করে দেখবে বিসিবি। এরপর ভালো করলে বিশ্বকাপ পর্যন্ত শ্রীরামের দায়িত্ব বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে। শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচ করলেও অবশ্য সিডন্স ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
যদিও শ্রীরামকে প্রধান কোচ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে ডমিঙ্গো বাংলাদেশে আসলে। আজ (১৯ আগস্ট) এই প্রোটিয়ান কোচের দেশে আসার কথা রয়েছে। এরপরই হয়ত জানা যাবে নতুন টি-টোয়েন্টি কোচের নাম। টি-টোয়েন্টি থেকে সরলেও টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকছেন ডমিঙ্গো।