ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে শরীরে এ ব্যথার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। ঠাণ্ডায় বেশি যে সমস্যায় মানুষ বেশি ভোগেন আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথায়। শীতে শরীরের কোষ ও টিস্যু স্নায়ুর ওপর বেশি চাপ দেয়। ফলে অস্থিসন্ধিতে ব্যথাও এই সময় বাড়ে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময়ে এক পাশে শুয়ে থাকায় হাড় ও অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়ে। এতে শরীরে ব্যথা হয়। কয়েকটি খাবার আছে, যা খেলে আর্থারাইটিসের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আর্থারাইটিসে ভুগলে যে
খাবারগুলো এড়িয়ে চললে ব্যথা কম হতে পারে:
আর্থারাইটিসে কাঁচা লবণ খাওয়া খুবই ক্ষতিকর।
কাঁচা লবণে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে। যা আর্থারাইটিসের ব্যথা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি
বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবারও আর্থারাইটিসের রোগীদের না খাওয়াই ভাল। যেমন
চিপস, বার্গার, চিজ, পপ কর্নের, নোনতা, ভাজাভুজির মতো খাবার আর্থারাইটিসের রোগীদের
জন্য ক্ষতিকর।
চিনি দেওয়া শরবত, নরম পানীয়, সোডা দেওয়া
ফলের রস আর্থারাইটিসের রোগীদের পক্ষে একেবারেই উপকারী নয়। অতিরিক্ত চিনি আছে এমন পানীয়
আর্থারাইটিসের ব্যথা বাড়তে পারে। বাতের ব্যথা থাকলে শরবত, নরম পানীয়, সোডাযুক্ত পানীয়
এড়িয়ে চলাই ভালো।
যে অ্যাসিডিক ফল, যেমন লেবু, কমলালেবু
এবং জাম্বুরা এবং নাইটশেড সবজি যেমন আলু, বেগুন এবং ক্যাপসিকাম লক্ষণগুলোকে আরও খারাপ
করে তুলতে পারে। এই খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে।
আর্থারাইটিসের সমস্যায় ভুগলে মাংস খাওয়ার
ব্যপারেও সচেতন থাকতে হবে। কারণ, রেডমিটে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এই ধরনের খাবার
ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর্থারাইটিসের রোগীদের জন্য মদ্যপানও ক্ষতিকর। নিয়মিত অ্যালকোহল
পান বাতের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।