আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাণ বাচাঁতে ভারতীয় সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছে সংখ্যালঘুরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও নির্যাতনের ভয়ে ঠাকুরগাঁও জগদল সীমান্ত পাড়ি দিতে শত শত সংখ্যালঘু ঘর ছেড়েছে নাগর নদীর পাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। আর ফাকাঁ গুলি করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের নিজ বাড়িতে ফেরানোর চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার সদ্য পদত্যাগকৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর পরই শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সহ সাধারণ মানুষের বিজয়োল্লাস। মূহুর্তের মধ্যেই এ বিজয়োল্লাস ছড়িয়ে পরে পুরোদেশে। সারা দেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিজয়োল্লাসের পাশাপাশি হামলা ও ভাঙচুর করা হয় রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস, সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন, লুটপাট করে করা হয় ঘর ছাড়া।

সোমবার (৫ আগষ্ট) বিকেলে থেকে জেলার পাচঁ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের বসত বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। জেলা সদরের সালন্দর ভুত পাড়া, দেবীপুর ইউনিয়নের রঙ্গীয়ানী, আকচা ইউনিয়নের ফাড়াবাড়ি, বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ ও হরিপুর উপজেলার বেশকয়েকটি ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে নির্যাতন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগল, টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।

সুবোধ রায় নামে এক ব্যাক্তি জানান, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হঠাৎ করে লোকজন এসে আমাদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তাঁরা আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়ে যায়। আমাদেরকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। আমরা অনেক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।

এমতাবস্থায় তারা তাদের জীবন রক্ষার্থে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকেই দেশত্যাগের জন্য ভারতীয় সীমান্তবর্তী নদীর পাড়ে হাজার হাজার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন।

নির্যাতনের স্বীকার কয়েকজন জানান, আমাদের উপরে গতকাল হামলা হয়েছে। রাতে বাড়ি-ঘরে দোকান পাট হামলা করা সব লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আর কিছু দোকানে আগুন দিয়েছে। কারও কারও ঘরের বিভিন্ন মালামাল, হাঁস মুরগি গরু ছাগল নিয়ে গেছে। এলাকায় অনেক বেশি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তাই প্রাণে বাঁচতে সবকিছু ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।

আজ বুধবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজামখোর ইউনিয়নে দেখা যায়, হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন পরিবার নিয়ে নদী পাড় হয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য  জড়ো হতে শুরু করেন।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন চেয়ারম্যান নামপ্রকাশের অনিচ্ছুক জানায়, সোমবার দুপুর থেকেই ওইসব গ্রামে হামলা, ভাঙচুর সহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। এমন হামলা ও ভাঙচুরের জন্য এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অনেক আতঙ্কিত।

তাই নাগর নদী পাড় হয়ে ভারতে চলে যেতে শুরু করেছেন অনেকেই। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নদী পাড় হয়ে ভারতে চলে যাচ্ছে।

তারা আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন কারীদের বিজয় হয়েছে। দেশ এখন সেনাবাহিনীর হাতে। কিছু দুষ্কৃতকারী এখন ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা যজ্ঞ চালাচ্ছে।

দেশের সম্পদ রক্ষার দ্বায়িত্ব আমাদের সকলের৷ এমন পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানান তারা।

তবে এ বিষয়ে পাচঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরা থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করে।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এর আগে গত ২২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও গ্রেপ্তার হন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রীপ্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে। ১৪ দল নেতা রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নামেও হত্যা মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভা সদস্যদের নামে গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।

এসব মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীপ্রতিমন্ত্রী। এর মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক এবং সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খানসহ অনেকে।


আরও খবর



বন্যার্তদের পাশে দেশীয় ব্র্যান্ড মিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন। গত ২১ আগস্ট ভারত থেকে উজানের পানি এসে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা ভাসিয়ে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ রওনা দিতে থাকে মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে। পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ত্রাণ সংগ্রহের বিভিন্ন আহ্বান এবং কৌশল।

এই বন্যায় মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নজির দেখা যাচ্ছে, তা সত্যি এক নতুন বাংলাদেশ গঠনের শুভ লক্ষণ হিসেবে অনুমান করা যাচ্ছে। দেশের মানুষ দেখিয়েছে যে তারা যেকোনো জাতীয় সমস্যা ঐক্যবদ্ধ হয়েই মোকাবেলা করবে এবং করতে পারে। এরকম সংকটময় মুহুর্তে নিজেদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এগিয়ে এসেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজ মিরা

অল্প সময়েই পরিচিত হয়ে উঠা মিরা তাদের ফেসবুক পেইজে জানিয়েছে, দেশে একের পর এক দুর্যোগ চলছেই। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় আমরা মিরা-র এডমিনরা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। নানা অস্থিরতায় যদিও এখন ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ, তবুও মানবিক বিবেচনায় আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মিরা থেকে সেল এর ১০% বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে দেবার সিদ্ধান্তে আমরা সম্মত হয়েছি।

আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মিরা থেকে যা কিছুই কেনাকাটা করবেন সেই মূল্যের ১০% চলে যাবে বন্যার্তদের সহায়তায়। মানুষের পাশে মানুষ থাকুক।

নিউজ ট্যাগ: মিরা

আরও খবর



আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: সারজিস

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎমকের ওপর হামলা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের উপরে যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপরে যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে। যদি কোনো পেশেন্টের মৃত্যুর জন্য হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বা কোনো ডাক্তার দায়ী থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও বিচার হতে হবে। কিন্তু আমার মনে হলো আর আমি কারো গায়ে হাত তুলে ফেললাম, এই স্পর্ধা কখনো মেনে নেওয়া যায়না। সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা সোচ্চার আছে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘোষণা দেন তারা।

চিকিৎসকরা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটি দাবিই মানতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। দুই দফা দাবি না মানায় এর সঙ্গে আরও ৬ দফা দাবি যুক্ত করেন তারা।

কর্মসূচি নিয়ে দুপুর ২টার পর ব্রিফ করা হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। এর আগে, সকাল থেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে ও হামলার বিচার চেয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

গতকাল (৩১ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধর করে অজ্ঞাত কিছু তরুণ। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

তবে আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণ ব‌ন্ধের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ থেকে রক্ষার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কৃষকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপি জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ঢাকা দোহার সড়কের খারসুর বাজার এলাকায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিগত হাসিনা সরকার কর্তৃক মুদ্রণ শিল্প পার্কের নামে খারসুর মৌজার মালিকানাধীন তিন ফসলি একশ একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ ব‌ন্ধের দাবী‌তে তারা এসব কর্মসূচি পালন করে।

এতে প্রায় ১০ টি গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষক ছাড়াও সর্বস্থরের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। 

মানববন্ধনে কৃষকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষি জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, বিগত স্বৈরশ্বাসক শেখ হাসিনা তার দলীয় ও প্রশাসনিক ক্যাডারদের মাধ্যমে জোর করে মুদ্রণ শিল্প পার্কের নামের আমাদের ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণ করার নীল নকশা তৈরি করেছে । ইতিমধ্যে ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ বিষয় কৃষকদের দুইটি চিঠি প্রেরণ করেছে। তবে অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানিয়ে এর আগেও একাধিকবার  নিষেধ করলেও তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি৷

বরং অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে কিছু বললে কণ্ঠরোধ করা চেষ্টা করেছে। তারা আরো বলেন, যেনকোন মূল্যে তাদের পৈত্তিক সম্প্রতি রক্ষা করবেন তারা। এসময় প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও কৃষি জমি রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

শিল্প কল কারখানার নামে জমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ বিষয়ক আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ মাসুদ রানা বিপ্লব বলেন, এখানে যাদের জমি নেই সেসব দালালরা দালালি করে আমাদের ৩ ফসলি জমি অধিগ্রহণের নামে দখল করার চেষ্টা করছে। আমরা বারবার বাধা দিলেও তারা অধিগ্রহণ কর্মকান্ড বন্ধ করছেনা। এসময় তিনি হুশিয়ারী দিয়ে আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ বন্ধ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর



সাতরাস্তায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যানজটে ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সাতরাস্তায় সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম বন্ধসহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিক থেকে সাতরাস্তায় মগবাজার দিক থেকে আসা ফ্লাইওভারের সামনে দুই পাশের সড়ক অবরোধ করে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়ক ছাড়েনি শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, বিক্ষোভের কারণে তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকার সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

মহাখালী থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন বেসরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মুজাহিদ। তিনি বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে জ্যামে ছিলাম প্রায় একঘণ্টা। পরে বাস থেকে নেমে হাটা শুরু করেছি।


আরও খবর