আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে মরুভূমির শাম্মাম চাষে যুবকের চমক

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দেখতে অনেকটা তরমুজের মতো। বাংলাদেশে অনেকেই এই ফলটিকে রকমেলন নামে চেনেন। দেশের মাটিতে মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষ করে লাভবান হয়েছেন মোন্নাফ আলী মন্ডল। ৭৫ শতক জমিতে সাম্মাম ফলের আবাদ করে এখন পর্যন্ত তিনি আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন। নতুন জাতের এ ফল উৎপাদনের খবর পেয়ে দেখতে আসছেন আশপাশের কৃষক ও দর্শনার্থীরা। অনেকেই নতুন জাতের এ ফল খেয়ে দেখছেন, আবার কেউ বা ক্রয় করছেন।

কৃষি অধিদপ্তরের মতে, এটি মরুভূমির ফল হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের আবহাওয়া ও মাটির সাথে ভালোভাবে অভিযোজিত। স্থানীয় পর্যায়ে এটির বাজার তৈরি হলেও এটি একটি লাভজনক ফসল হিসেবে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মুন্নাফ আলী মন্ডল। তেঁতুলতলা এলাকায় ভাতারমারি ফার্মের পশ্চিম পাশে ৭৫ শতাংশ জমিতে রকমেলন চাষ শুরু করেছেন। তিনি একজন ভালো ও অভিজ্ঞ তরমুজ চাষি হলেও তরমুজের পাশাপাশি এবার এই মরুর ফল চাষ করেছেন। ইউটিউব দেখে মালচিং পলিথিন ছিদ্র করে এর ফাকে ফাকে বীজ বপন করেন তিনি। বপনের মাত্র ৬০-৭০ দিনের মধ্যে রকমেলন বা সাম্মাম ফল কর্তন (হারভেস্ট) করে বাজার জাতকরণ করছেন। ফলে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন। তেমনি এখানে কাজ করে ৮-১০ জন নারী পুরুষ পেয়েছেন আয়ের উৎস।

মাত্র ৬০-৭০ দিনের মধ্যে এই ফলন ও দাম ভালো পেয়ে খুশি এই কৃষি উদ্যোগক্তা। ৭৫ শতাংশ জমিতে রকমেলন চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই আড়াই লাখ টাকা ফল বিক্রয় করে ফেলেছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তরমুজ চাষের মত করেই তৈরি করা হয়েছে সারিবদ্ধ মাটির ঢিপি। দুর দেখে যে কেউ দেখলে মনে করবেন এটা তরমুজ খেত। কিন্তু কাছে যেতেই বোঝা গেল এটি তরমুজ সাদৃশ্য নতুন জাতের সাম্মাম ফল। মাটির উপরে মালচিং বিছিয়ে শাম্মাম ফলের চারা রোপণ করা হয়েছে সেখানে। আর ছিদ্রকরা মালচিং এর ফাকা দিয়ে গজিয়ে উঠেছে সাম্মাম ফলের গাছ।

সাম্মাম ফলের চাষী কৃষক মোন্নাফ আলী মন্ডল বলেন, ফলটি এই অঞ্চলে পরিচিত না হওয়ায় বাজার জাত করতে একটু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু এখন পাইকার এসে ক্ষেত থেকেই ফল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এখনো মাঠে যা ফল আছে তাতে আরও লক্ষাধিক টাকা বিক্রয়েরে আশা করছেন তিনি। চুয়াডাঙ্গার এক পরিচিত কৃষকের কাছ থেকে মোন্নাফ আলী মন্ডল সাম্মাম ফলের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর সেসব বীজ থেকে তিনি বাড়িতে চারা তৈরি করেন।

তিনি আরো বলেন,  চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাথমিকভাবে ৭৫ শতক জমিতে সাম্মাম ফলের চারাগুলো রোপন করা হয়। তরমুজের মত করে মাটিতেই এই ফলের চাষ করা হয়। জমিতে রোপণের দেড় মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যেই পরিপক্ক হয় মরুভূমির ফল সাম্মাম। ফলটি সর্বনিম্ন ৫০০ গ্রাম থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। ফলটি প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হয় বাজারে। আর আমি পাইকারিভাবে বিক্রি করছি ৬০-৮০ টাকা দরে।

আগে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে সাম্মাম ফলটি বিক্রি করেছি। এখন ক্ষেত থেকেই ঢাকার পাইকার এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দেশে এই ফলের বাজার সম্প্রসারণ হলে দেশের কৃষকরা এটি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

ক্ষেতে কাজ করে তাদের সংসারও ভালো চলছে বলে জানান স্থানীয় নারী শ্রমিক কৌশলা। এর আগে কখনো এমন ফল দেখেননি ও খাননি বলে স্থানীয়রাসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ফসলের মাঠে।

আরিফ নামে দর্শনার্থী বলেন, রকমেলন ফলটি আগে কখনো সরাসরি দেখিনি ও খায়নি তাই বউ -বাচ্চাকে নিয়ে এখানে দেখতে আসলাম। দেখ ও ফলটি খেয়ে ভালই লাগল। স্থানীয় কৃষক সুমন হোসেন বলেন, মুন্নাফ এর রকমেলন ক্ষেত দেখতে আসছি। দেখে ভালই লাগল। চিন্তার করছি আগামীতে আমিও এর চাষ করবো। এছড়াও আশেপাশের কৃষকরাও উদ্ধবুদ্ধ হচ্ছেন।

রাজধানীতে চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকে রকমেলন ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে দেড়শটাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রয় করনে বলে জানান ব্যবসায়ী উজ্জ্বল।

রকমেলন একটি ভিটামিন খনিজ সমৃদ্ধ ফল। এটি একটি লাভজনক ফসল ও এর দামও ভালো। তাই রকমেলন চাষে মুন্নাফ আলী মন্ডলকে পোকা-মাকড় দমন রোধসহ সকল প্রকার সহযোগীতা এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

নিউজ ট্যাগ: শাম্মাম রকমেলন

আরও খবর
আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে সাকিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এছাড়া দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার মুশফিক হাসান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে দল ঘোষণা করে বিসিবি।

দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। তার পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন হৃদয়। তবে তার সেই অপেক্ষা আরও বাড়লো। ম্যাচ খেলার আগেই দল থেকে বাদ পড়লেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

ব্যক্তিগত কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সাকিব। টেস্ট সিরিজেও খেলার কথা ছিল না এই অলরাউন্ডারের। তবে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য নিজে থেকেই নির্বাচক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসকে জানান সাকিব।

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ।


আরও খবর



শেষ মুহূর্তের গোলে হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে নিরপেক্ষ ভেন্যু কাতারে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঘরের মাঠে ফিরতি লেগের ম্যাচে তাদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ৯০ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের জাল অক্ষত রাখে। কিন্তু যোগ করা সময়ে (৯০+৪) গোল হজম করে ১-০ ব্যবধান হার মানে বাংলাদেশ।

তবে বাহবা দিতে হবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে। যিনি ফিলিস্তিনের অন্তত অর্ধডজন নিশ্চিত গোলের সুযোগ দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছেন। নতুবা হারের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো।

এদিন শুরু থেকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে দারুণ লড়াই করে বাংলাদেশ। সেই লড়াইয়ে প্রথমার্ধে গোল পায় না কেউ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল হয় না। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর (৯০+২) দশজনের দলে পরিণত হয় ফিলিস্তিন। এ সময় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আমিত মাহাজনা।

দশজনের দলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেখানে গোল করবে বাংলাদেশ, সেখানে উল্টো ৯০+৪ মিনিটের মাথায় তারা গোল হজম করে বসে। এ সময় ডি বক্সের বাইরে থেকে ইসলাম বাত্রানের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ডান পায়ের শট নিয়ে জালে জড়ান ফিলিস্তিনের মিকেল তারমানিনি। নিশ্চিত করেন ১-০ ব্যবধানের জয়।

অন্যদিকে ঘরের মাঠে দারুণ খেলেও অন্তিম মুহূর্তের গোলে হৃদয় ভাঙে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের, সমর্থকদের।

জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে ঘরের মাঠে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম লেগে যাদের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।


আরও খবর



ঈদের ছুটি বাড়াতে সম্মত হয়নি মন্ত্রিসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতরের আগে ৯ এপ্রিল ছুটি অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের আগে ৯ এপ্রিল ছুটির সুপারিশ করলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (০১ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বলেছে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ‌্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটি দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা তো চাইলে ছুটি নিতে পারেন। তাদের সে অধিকার আছে।


আরও খবর



গত এক সপ্তাহে সৌদিতে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদিজুড়ে চলমান ধরপাকড় অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার ৫০৫ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সৌদির আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৪ হাজার ৩২৩ জন, সীমান্ত সুরক্ষা আইনে ৪ হাজার ৭৭৮ জন এবং শ্রম আইনের আওতায় ২ হাজার ৪০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৯৫ জনকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৭ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ২ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।

এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টটার সময় আরও ৬১ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ৯ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বসবাসের অনুমতি, শ্রম ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের দায়ে সৌদি আরবে বর্তমানে ৬১ হাজার ৩০১ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৭ হাজার ১৩ জন এবং নারী আছেন ৪ হাজার ২৮৮৮ জন। আটককৃত প্রবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ১৬৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ১ হাজার ৬৬৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৭ হাজার ৪২৩ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের দেশ সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।


আরও খবর



চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর