আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেপ্তারের আতঙ্কে পুরুষ শূন্য গ্রাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ আগস্ট 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ি মহেশপুর গ্রামে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এখন পুরুষ শূন্য। নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা হওয়ার পর গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ বাড়ি ছেড়েছেন। পুরো এলাকায় এখন সুনসান নীরবতা। কোন গাড়ি দেখলেই পালিয়ে যাচ্ছেন নারী ও শিশুরা। আজ মঙ্গলবার সকালে এমন চিত্র দেখা যায় ভাংবাড়ী মহেশপুর গ্রামে। তবে পুলিশ বলছে, অকারণে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী  সহিংসতার ঘটনায় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও দুই সহকারী পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা প্রায় ৮শ জনের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা করেন।

এরপর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভাংবাড়ি মহেশপুর গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে যায়। বাড়িতে আয় রোজগারের কোন মানুষ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন গৃহবধূরা। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।

তবে, কোন নির্দোষ মানুষকে হয়রারি করা হবে না বলে আশ্বাস দিলেন রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল। এদিকে, ঘটনার তদন্তে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।

উপজেলার মীরডাঙ্গী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. বাদশাহ মিয়ার ৯ মাস বয়সী মেয়ে সুরাইয়া মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. খতিবর রহমান একটি মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খতিবর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের ওপর হামলা করেছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি বলে এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

২৭ জুলাই রাতে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব শেষে ফেরার সময় মীরডাঙ্গী বাজারের ১০০ গজ দক্ষিণে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই বিলাশ চন্দ্র রায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

শিশু সুরাইয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ওইদিন তাৎক্ষণিকভাবে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন। ওই সময় তারা রানীশংকৈল আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন ও রানীশংকৈল থানা ঘোরাও করে রাখেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ ঘটনায় রানীশংকৈল থানার এএসআই আহাদুল জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে মামলার কথা শুনে অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন। হাতে গোনা কয়েকটি দোকান ছাড়া গ্রামের প্রায় সব দোকান বন্ধ রয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী খালেদুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার প্রতিবেশী এক নারী জানিয়েছেন, তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তবে কোথায় গেছেন, তা তারা জানাননি।

অজ্ঞাতনামা মামলার কথা শুনে অধিকাংশ পুরুষ ছেড়েছেন ঘরবাড়ি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে সময় পার করছে বাড়ির নারী ও শিশুরা। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো গ্রামে।

মীরডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মনসুরা বেগম বলেন, আমরা শুনেছি ৭'শ-আটশ মানুষের নামে মামলা হয়েছে। যেহেতু নাম উল্লেখ করে মামলা হয়নি সে কারণে ভয়ে ভয়ে সময় পার করছি আমরা।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল বলেন, আমরা দিনমজুর মানুষ। দিন আনি দিনে খাই। একদিন কাজ না করলে- না খেয়ে থাকতে হয়। এখন অনেকজনের নামে অজ্ঞাতনামা মামলা হয়েছে। আমি নিজেই অনেক ভয়ে আছি। কাকে কখন তুলে নিয়ে যায় বলা যায় না।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা খতিবর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের ওপর হামলা করেছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি বলে এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে মামলার কথা শুনে অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন। হাতে গোনা কয়েকটি দোকান ছাড়া গ্রামের প্রায় সব দোকান বন্ধ রয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী খালেদুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার প্রতিবেশী এক নারী জানিয়েছেন, তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তবে কোথায় গেছেন, তা তারা জানাননি।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ৮ শ। তবে আমি বলে দিয়েছি, কোনো সাধারণ মানুষ এতে হয়রানি হবে না। অতএব কেউ ভয় পাবেন না। শুধুমাত্র দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



ত্রিশালে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামের এনামুল হকের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২), চিকনা মনোহর এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী (থিসিস) সালমান আজাদী (২৮)।

ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) চাঁদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী সোনার ময়না পরিবহনের বাসটি যাত্রী নামিয়ে ইউটার্ন নিচ্ছিল। এমন সময় ময়মনসিংহ ছেড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু নিহত হয়। এতে আহত হয় আরও ছয়জন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



৩.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সাথে উন্মুক্ত সীমান্তের এক হাজার ৬১০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নির্মাণে আগামী ১০ বছরে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ভারত। সীমান্তে চোরাচালান এবং অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে ভারত সীমান্ত বেড়া নির্মাণে এই অর্থ ব্যয় করবে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নয়াদিল্লি বলেছিল, তারা মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখার স্বার্থে সীমান্ত এলাকার নাগরিকদের এক দশকের পুরোনো ভিসা-মুক্ত চলাচল নীতির অবসান ঘটাবে।

সূত্র বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের সরকারি একটি কমিটি বেড়া নির্মাণ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সেটি। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসব তথ্য দিয়েছে ওই সূত্রটি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ই-মেইল করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা সম্পর্কে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ও শত শত সৈন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে গেছেন; যেখানে উভয় দেশের লোকজনের জাতিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বেগে রয়েছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পেছনে মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা ও উন্মুক্ত সীমান্তকে দায়ী করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে মণিপুরের দুটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটির সাথে মিয়ানমারের চিন উপজাতিদের সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতীয় ওই সূত্র বলেছে, ভারতের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই কমিটি সীমান্ত বেড়ার পাশাপাশি সীমান্তের সাথে সামরিক ঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নির্মাণের বিষয়েও সম্মত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সামরিক ঘাঁটির সাথে সংযোগকারী ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সূত্র বলেছে, মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বেড়া ও সংলগ্ন সড়কের জন্য প্রতি কিলোমিটারে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি রুপি ব্যয় হবে। যা ২০২০ সালে বাংলাদেশের সাথে সীমান্তে নির্মিত বেড়ার প্রতি কিলোমিটারের সাড়ে ৫ কোটি রুপি ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় বেড়া ও সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হবে।


আরও খবর



আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মাঝরাতেই আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। রাতেই আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাসে ছুটে যান উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যে শাস্তির বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া সব বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এদিকে এর আগে উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাইরুজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মাঝরাতেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয় জবি ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থাকেন। এছাড়া টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন।


আরও খবর



কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র তাহসীন বাহার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মেয়ে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা। এর ফলে প্রথম নারী মেয়র পেয়েছেন কুমিল্লাবাসী।

১০৫টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে ডা. তাহসিন বাহার সূচনা পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট।

শনিবার রাতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এই ফল ঘোষণা করেন কুসিক নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন।

জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপারেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে চারজন। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মেয়ে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বাস প্রতীকে, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম হাতী প্রতীকে, সাবেক দুইবারের মেয়র বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এবং বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কুমিল্লা সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৮, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন এবং ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। সিটির ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় জমি ব্যবসায়ী সাধন মিয়া হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুই জনকে একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে বিচারক আক্তারুজ্জামান ভূইয়া এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালের ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানার আলোচিত জমি ব্যবসায়ী সাধন হত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৬ জুন রাতে সোনারগাঁওয়ের সাধনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে সাধনের পরিবারের পক্ষ থেকে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।


আরও খবর