ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তে ৩৭০/৩ মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের আবদুল বাসেদের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৭) ও নজরুল ইসলামের ছেলে মো. মকলেছ (২৮)। আহত ব্যক্তির নাম ইদ্রিশ আলী (৩০)। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বারোসা গ্রামের দুলু মোহাম্মদের ছেলে।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জহুরুল ইসলাম ও মকলেছ চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রোববার রাতে তারা ভারত থেকে চোরাই পথে ফেনসিডিল আনতে ডাবরী সীমান্ত এলাকায় যান। সোমবার ভোরে ওত পেতে থাকা নারগাঁও ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন>> মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ১৩
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর বিএসএফের সদস্যরা আহত জহুরুলকে ভারতের ভেতর নিয়ে যান। আর মকলেছ কোনোমতে বাংলাদেশের ভেতর চলে আসেন। পরে নাগর নদীতে তার লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। জহুরুল ভারতে মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানার ওসি এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে দুজনের নিহত হওয়ার কথা শোনা গেলেও মকলেছ নামের এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম জানান, গতকাল (রোববার) রাতে উপজেলার রত্নাই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে এক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাকে শনাক্ত করা যায়নি।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান জানান, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতে থাকা যুবকের লাশ বিএসএফ দ্রুত ফেরত দেবে।