আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও তিনটি আসনে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮টি কেন্দ্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনে। আবার সেই সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও। এখানে মূলত আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। যদিও সব আসনে জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল অংশ নিয়েছে, তবে মূল লড়াই হবে নৌকা, ট্রাক, লাঙল-হাতুড় ও ঈগল প্রতীকে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সমর্থকদের মধ্যে বাড়ছে উৎকণ্ঠা।

তবে সকলের চাওয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনেই প্রভাবমুক্ত, সংঘাত ও সহিংসবিহীন নির্বাচন হোক। উত্তেজনাকর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন হয় শান্তিপূর্ণ, এমনটাই চাওয়া ভোটারদের। পাশাপাশি সবাই যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তাদের ভোট দিতে পারে, তাই নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সবাই ও আইশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারা।

এদিকে একটি পক্ষ-প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মৌন বিরোধ ও বিভেদের সৃষ্টি হয়েছে। তাই সব আসনেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও সংসদীয় আসন তিনটি। এই তিনটি আসনের মোট ভোটার ১১,৪৬,৯৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৩, নারী ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৭ এবং হিজড়া ভোটার ৪ জন। এ ছাড়া এবার ভোটকেন্দ্র বেড়েছে বলে জানা গেছে নির্বাচন অফিস সূত্রে।

ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) : এই আসনের ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার ৬০৯ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৮৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬২২ জন। এবং হিজড়া ভোটার ৪ জন।

১৯৯১ সালে বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম, ১৯৯৬ আবারো তিনি জয়ী হন, ২০০১ সালে রমেশ চন্দ্র সেনকে পরাজিত করে জয়ী হন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী, ২০০৮ সালে মির্জা ফখরুলকে পরাজিত করে জয়ী হন রমেশ চন্দ্র সেন, ২০১৪ তে ওয়ার্কার্স পার্টির ইমরান হোসেন চৌধুরী পরাজিত করে রমেশ চন্দ্র সেন জয়ী জন, ২০১৮ সালে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে পরাজিত করে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রমেশ চন্দ্র সেন। এবারও তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

এ আসনে জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রাজী (লাঙল), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা যুব মহিলালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আখতার (ঈগল), ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) রফিকুল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি-এনপিপি (আম) প্রতীকে রাজিউল ইসলাম নির্বাচন করছেন। এখানে মূলত লড়াই হবে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের মধ্যে। এলাকায় উন্নয়ন করার ফলে রমেশ চন্দ্র সেন এবারও জয়লাভ করার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার আংশিক) : ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম। এবার আওয়ামী লীগ থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে তাঁর ছেলে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজনকে। এ আসনের নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী  নুরুন নাহার বেগম (লাঙল), বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) প্রার্থী রিম্পা আক্তার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল (ট্রাক), এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের (সোফা)। এখানে মূলত লড়াই হবে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকে। তবে দ্বিমুখী লড়াই হলেও ক্লিন ইমেজের হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৩জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৩হাজার ৬৬৮ জন, আর নারী ভোটার ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩০৫টি।

তবে এ আসনের ১৬টি ইউনিয়নের ৪৮টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ্য করে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমানের বরাবরে গতকাল একটি তালিকা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম জুয়েল। এসময় তিনি রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও নৌকার পক্ষের ১৪জন প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের পরিবর্তনের জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দেন এই প্রার্থী।

ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) : জেলার পীরগঞ্জ- রানীশংকৈল দুটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়নয় নিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৫ নম্বর আসন। এই নির্বাচনী এলাকা ১৯৮৪ সালে গঠিত হয়। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা  ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬০ জন। তার মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৭০ জন এবং  এবং নারী ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯০ জন।

এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তাকে এবারেও দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ী) গোপাল চন্দ্র রায়, বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা) খলিলুর রহমানসরকার, স্বতন্ত্র (ঈগল) আশা মনি। তবে লড়াই হবে লাঙল ও হাতুড়ি প্রতীকের মধ্যে।

তবে সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর। ফলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কার পক্ষে নির্বাচন করবেন, সেই ভাবনায় রয়েছেন তারা এবং নির্বাচন-পরবর্তী কী হবে, এমন হিসাব-নিকাশ কষছেন তারা। তাই কেউ কেউ পছন্দের প্রার্থীর হয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনি গণসংযোগে অংশ নিলেও, অনেকে আছেন অদৃশ্য হয়ে।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমান জানান, ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে এবং যে কোনো অনিয়ম ঠেঁকাতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃখলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে যৌথবাহিনী থাকবে। তাদের সঙ্গে সাদা পোশাকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তারা থাকবেন।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর



আজ থেকে যেসব ব্যাংকে পাওয়া যাবে নতুন নোট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (৩১ মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। গত ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের (ডিসিপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে। তবে একই ব্যক্তি একাধিকবার সেটি গ্রহণ করতে পারবেন না। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই নোট বিতরণ করা হবে।

যেখানে পাওয়া যাবে:

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখায় নতুন নোট মিলবে।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখায় পাওয়া যাবে।

এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবুবাজার, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকার কচুক্ষেত করপোরেট, দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ইব্রাহীমপুর এবং এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখায় ঈদের নতুন নোট পাওয়া যাবে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী এবং এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা থেকে নতুন নোট নেয়া যাবে।

তাছাড়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার, সাভার, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, প্রাইম ব্যাংকের সাভার, সাভার, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখায় মিলবে ঈদের নতুন নোট।


আরও খবর



সরকারি খালে ড্রেজার বসিয়ে রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ‌ প্রকল্পের সেচ খালে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছে একটি মহল। উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ডি৪ খালের লুধুয়া, নান্দুরকান্দি, সাহবাজকান্দি অংশের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে মহলটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাহবাজকান্দি এলাকার ডি ৪ খালের অংশে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। জানতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের রতন মিরের ছেলে রাকিব মির ঘটনাস্থলে এসে তিনি নিজে বালু উত্তোলন করছেন জানিয়ে সংবাদকর্মীদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরানকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিজান পরিচালনা করছি। তবে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়া ব্যতিত কোন উপায় নেই।

বিষয়টি সম্পর্কে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা চিঠি দিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এদিকে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একরামুল সিদ্দিক বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি চাকমাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।

সূত্র জানায় গত ২ সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমপরিমাণ মূল্যের মাটি উত্তোলন করেছে চক্রটি। এদিকে গত কয়েক বছরে প্রায় অর্ধ কোটি ঘনফুটের ও বেশি মাটি এই সেচ খাল থেকে উত্তোলন করেছে চক্রের অন্য সদস্যরা। ড্রেজার স্থাপনের আশেপাশে থাকা বসতঘরের শিক্ষার্থী, মধ্যবয়স্ক, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন ড্রেজারের বিকট শব্দে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অনিদ্রায় মধ্যবয়স্ক সহ বয়স্কদের বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ।

অবৈধ মাটি উত্তোলন বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার মতলব উত্তর উপজেলার সভাপতি আবু সাইফ বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট‌ করা আইন বহির্ভূত, প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি। এদিকে খাল সংলগ্ন কৃষি জমি ভাঙ্গনের ফলে কৃষিখাতে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ শাকিল বলেন,‌ কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশ রয়েছে তা একটি মহল ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।

কুচক্রী মহলের এমন কার্যক্রম শিঘ্রই বন্ধ না হলে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুরো পরিকল্পনা ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

এদিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ও ৫ ধারায় বর্ণিত বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধান অমান্য করলে কমপক্ষে ২ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও এ আইনে ব্যবহৃত ড্রেজার, বালু বা মাটি সহ যানবাহন ও যন্ত্রপাতি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে বলে উল্লেখ আছে।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টা না যেতেই আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোরর ঘোষণা দিলো বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতের করুণ চিত্র : দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, আর পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে এই জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, সরকারি এই রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে মূলত দেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ যে ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার অর্জন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার করেছিলো বাংলাদেশ। বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, সেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। একই সঙ্গে তারা এই জরিপের সঙ্গে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে। জরিপটি দেশ জুড়ে তিন লাখ আট হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে।

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ কমার তথ্য উঠে এসেছে এবারের এই জরিপে। ২০১৫ সালে দেশের দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের টার্গেট ছিলো ৭২ শতাংশ। এবার বিবিএসের জরিপে এ সংখ্যা হলো ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে।

ড. মঈনুল ইসলাম বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো ও সেবা নেয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। লোকবলের সংকট, পদ্ধতিগুলো সহজে না পাওয়াসহ নানা কারণে এ বিষয়ে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে আঠার বছর বয়সের আগে ২০২০ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। পনের বছরের আগে বিয়ের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের ৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আগের দিন রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ঢাকার তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়ছে।


আরও খবর