ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা পদে পদে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকে সেবা না পেয়ে ভোগান্তি নিয়ে ফিরছেন বাড়ি। অনেক সেবাগ্রহীতারা দিনভর পাসপোর্ট অফিসে বসে থেকে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ক্ষোভ নিয়ে দালালদের কাছে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করছেন। দপ্তরটিতে সেবার চেয়ে ভোগান্তিই বেশি বলে অভিযোগ তাদের। সেবা নিতে আসা অনেকে জানিয়েছেন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালকের রুমের দরজা প্রায় সময় ভিতর থেকে বন্ধ থাকে তিনি বিশেষ বিশেষ কাজে তার রুমে লোক নিয়ে গিয়ে রুমে কাজ করেন।
আজ সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও শহরের ইসলামবাগ এলাকায় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের কোনো লোকজন নেই, সেবা নিতে এসে বিড়ম্বন পড়েছেন অনেকে। পাসপোর্টের জন্য আসা অনেক গ্রাহককে অফিসে বসে থাকতে দেখা যায়। পাসপোর্ট নিতে আসা দুই ভাই রতন পাল ও তপন পাল জানান, পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ ছিল অগস্টের প্রথম সপ্তাহে কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও পাসপোর্ট পেলাম না।
পাসপোর্ট করতে আসা কবির হোসেন বলেন, সকাল ৯ টা থেকে বসে আছি এখন দুপুর কারো দেখা নেই। দুই একজনের দেখা পাওয়া গেলেও তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছুই বলছে না। রফিকুল ইসলাম নামে আরেক গ্রাহক বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে অফিসে বসে আছি একটা লোকও নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিস এভাবে ফাঁকা ফেলে রাখা মানে দায়িত্বের অবহেলা। অফিসে কার সাথে কথা বলবো কোনো উপায় পাচ্ছি না। পাসপোর্ট করতে এসে এত ভোগান্তিতে পড়েছি যে বলার কিছু নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি বিষয়গুলো দেখার জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, তিন মাস পর আজ পাসপোর্ট হাতে পেলাম। পাসপোর্ট করতে যে এত ভোগান্তি আগে জানলে আসতাম না। পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত ৬ দিন ঘুরে গেছি অফিস থেকে। অফিসে কোনো লোক থাকে না। পাসপোর্ট করতে আসা আরো অনেকে জানান, আজ নাকি তাদের সার্ভারের কাজ চলছে তাই কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। অফিসে আসার পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে কিন্তু কেউ নেই। সেবা নিতে এসে ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে কাজ কবে হবে জানিান।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, জনবল সংকটের কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে। আমি সহ মাত্র তিনজন লোক নিয়ে চলছে পাসপোর্ট অফিস। এ ছাড়া আউট সোর্সিংয়ের ২-৩ জন কাজ করছে।