আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

তেঁতুল কি আসলেই রক্ত পানি করে, ব্যথা বাড়ায় পিরিয়ডে ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কাঁচা কিংবা পাকা, তেঁতুল নাম শুনলে প্রায় সব বয়সীদেরই জিভে জল আসে। টকজাতীয় এ ফলটিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা কিনা ক্যানসার, হৃদরোগ ছাড়াও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে। আবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও তেঁতুল অনন্য।

যুগের পর যুগ ধরে রূপচর্চা ছাড়াও চিকিৎসার ক্ষেত্রজুড়ে আছে টকজাতীয় এই ফল। তবে উপকারী গুণের বাইরেও লোভনীয় এই ফলটি নিয়ে নানা নেতিবাচক কথাও শোনা যায়। তেঁতুল খেলে বুদ্ধি কমে যায়, রক্ত পানি হয়ে যায় কিংবা পিরিয়ডের সময় ফলটি খেলে পেটব্যথা ছাড়াও অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয়- বয়োজ্যেষ্ঠদের মুখে এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। তাহলে কি আসলেই তেঁতুল এমন ক্ষতিকর?

নানা গুণসমৃদ্ধ তেঁতুলে আছে ভিটামিন ছাড়াও ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এক কাপ বা ১২০ গ্রাম তেঁতুলে ৪৩ শতাংশ ভিটামিন বি-১, ১৫ শতাংশ ভিটামিন বি-৩ ও ১৪ শতাংশ ভিটামিন বি-২ পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই পরিমাণ তেঁতুলে ক্যালসিয়াম থাকে ৭ শতাংশ, আয়রন ১৯ শতাংশ, ম্যাগনেশিয়াম ২৬ শতাংশ ও ১৬ শতাংশ পটাশিয়াম থাকে। এছাড়াও ভিটামিন সি, কে ও ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ১২০ গ্রাম তেঁতুলে থাকে ২৮৭ ক্যালরি- এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন।

টকজাতীয় লোভনীয় এই ফলটির ব্যবহার নিয়ে ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় তেঁতুল অনন্য ভূমিকা রাখে। ক্ষত সারানোর ক্ষেত্রে ফলটির পাতা ছাড়াও গাছের বাকল ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য ছাড়াও ডায়রিয়া, জ্বর ও ম্যালেরিয়ার মতো চিকিৎসায়ও তেঁতুলের পানীয় ব্যবহার হতো।

ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত ওই নিবন্ধটি লেখেন তুরস্কের মারমারা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের ইন্টার্ন চিকিৎসক পিনার কুরু। যেখানে তেঁতুলকে ভিটামিন ছাড়াও ফাইটোকেমিক্যাল, এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিডের (যা মানুষ ও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি করতে পারে না) সহজলভ্য ও স্বস্তা একটি ফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তেঁতুলের এমন উপকারী সব গুণের কথা উঠে এসেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য সরবরাহকারী আমেরিকান করপোরেশন ওয়েব এমডিতে। এতে বলা হয়েছে, রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর তেঁতুলের ব্যবহার নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখা টকজাতীয় এই ফলটি প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে মানুষ।

ওয়েব এমডিতে লোভনীয় ফল তেঁতুলের উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, তেঁতুল থেকে ট্রিপটোফান ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। ফলটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আদর্শ প্রোটিনের মান পূরণ করে। পাশাপাশি তেঁতুল থেকে পাওয়া প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিড, টিস্যু তৈরি ও মেরামতের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে।

তেঁতুলের এমন উপকারী নানা দিকের কথা পাওয়া যায় বিবিসি গুড ফুডের ওয়েবসাইটেও। যেখানে বলা হয়েছে, তেঁতুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। পাশাপাশি টকজাতীয় এই ফলটি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ও কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। সেই সঙ্গে লিভারের সুরক্ষামূলক কাজের পাশাপাশি তেঁতুল প্রাকৃতিক অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বা জীবাণু নিরোধক হিসেবেও কাজ করে।

তবে ওয়েবসাইটটির প্রশ্নোত্তর অংশে তেঁতুল সবার জন্য নিরাপদ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, উপকারী ফলটি কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সক্ষম তেঁতুল ডায়াবেটিস থাকলে সতর্কতার সঙ্গে খাওয়া উচিত।

অন্যদিকে, দেশের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে তেঁতুল রক্ত পানি করে বা বুদ্ধি কমায় এমন ধারণাকে কুসংস্কার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, লোভনীয় এই ফলটি রক্ত পরিষ্কারের পাশাপাশি চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, কাঁচা তেঁতুল খেতে টক, পাকা ফল টকমিষ্টির এক ভিন্ন স্বাদ। এটি খাবারে স্বাদ বাড়ায়। তাই মাংসের রোস্ট ছাড়াও পোলাও, খিচুড়িতে এর ব্যবহার হয়। এছাড়াও তেঁতুলের টক, ভর্তা, ডাল অনেকেরই প্রিয়। আবার তেঁতুল দিয়ে তৈরি করা যায় আচার, সস, জ্যাম, চাটনিসহ হরেক রকমের খাবার। এমনকি তেঁতুলের বীজ নকশি শিল্পেও ব্যবহার করা হয়।

অন্যদিকে, টকজাতীয় এই ফলটির পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে ইউনিসেফ বলছে, ঋতুকালে রক্তস্রাবের সঙ্গে খাবারের কোনো সম্পর্ক নেই। পিরিয়ডের সময় খাওয়া যাবে না এমন কিছু নেই।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




টাইমস হায়ার র‌্যাংকিং

এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ এশিয়ার সেরা ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম আসেনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। গতবার এশিয়ার সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৬ তম এবং ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। অন্যদিকে, গতবার তালিকায় ১৮৬তম স্থানে অবস্থান করে দেশসেরা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এরপর ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু এবার তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ে পতন হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো শীর্ষে আছে চীনের সিংহুয়া এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এবার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। যা গতবার ছিল ১৫টি। ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরপর ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তাছাড়া তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।


আরও খবর



তামান্না ভাটিয়াকে সাইবার সেলে তলব

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। তবে সম্প্রতি বিপাকে পড়েছেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখতে কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে। দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগে গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

এ মামলায় ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া বাহুবলী এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি লাস্ট স্টোরিজ-২ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


আরও খবর



ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী শনিবার (২০ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে তার সফরটি স্থগিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিনয় মোহন কোয়াত্রা একদিনের জন্য ঢাকা সফরে আসতে পারেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে, ৪ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‌প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর। সেটি কখন হবে, তা নিয়ে কোনো আলোচনা এখনো অফিশিয়াল লেভেলে হয়নি।

কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী, ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের শেষ সপ্তাহ কিংবা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফর করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত মার্চে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিনয় মোহন কোয়াত্রার কার্যকালের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার। ১৯৮৮ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবায় যোগ দেওয়া কোয়াত্রা ২০২২ সালের ১মে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



আরও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর