আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টেকনাফে ১৮ হাজার ইয়াবাসহ এক রাখাইন যুবক আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলাতে ১৮ হাজার ইয়াবাসহ এক রাখাইন যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-১৫ । শুক্রবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে টেকনাফ-কক্সবাজার রাস্তার উপর থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটক ব্যাক্তি হলো, এক‌ই এলাকার অংওয়ান রাখাইনের ছেলে অংজনাই রাখাইন (২৪)

র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম জানান, উক্ত ব্যক্তির কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার নিকট মাদকদ্রব্য ইয়াবা আছে বলে স্বীকার করে। তখন উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক ধৃত ব্যক্তির দেহ ও হাতে থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশী করে ১৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। 

তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

মেয়র তাপস বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রায় সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। আর যে একদিন আছে এর মধ্যে আমরা বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করব। গত দুই বছরের মতো ঢাকাবাসীকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।

তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে এবং সব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য ৪টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়া জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরও তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে কর দ্রুত সবাই বের হয়ে যেতে পারে।

মেয়র বলেন, মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং ছাতা জামাতে আনতে পারবেন। তবে দেয়াশলাইসহ আগুন জালানোর কোনো সরঞ্জাম নিয়ে কাউকে জামাতে প্রবেশ না করতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় ঈদগাহ

আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শুরু হলো শবে কদর তালাশের দশক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান শুরুর পর ইতোমধ্যে প্রথম দুই দশক অর্থাৎ, রহমত ও মাগফিরাত শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে নাজাতের দশক। এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সুরা কদর: ১-৩)

সাধারণত কদর রজনী শেষ দশকে হওয়াই বিশুদ্ধ অভিমত। হজরত আবু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সায়িদকে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমার বন্ধু ছিল। তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে রমজানের মধ্য ১০ দিন ইতিকাফে ছিলাম। তিনি ২০ তারিখ সকালে বের হন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে বলেন, আমাকে কদরের রজনী দেখানো হয়েছিল, অতঃপর ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা তা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো। আমি নিজেকে মাটি ও পানিতে সিজদা করতে দেখেছি। তাই যারা রাসুলের সঙ্গে ইতিকাফে ছিল, তারা যেন ফিরে আসে। তখন আমরা ফিরে এসেছি। আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখিনি। হঠাৎ একরাতে মেঘ এলো, বৃষ্টি হলো, মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। তা ছিল খেজুরগাছের ঢালের এবং নামাজ শুরু হলো, তখন আমি রাসুল (সা.) কে দেখেছি, তিনি পানি ও মাটিতে সিজদা করছেন। এমনকি তার কপালে মাটির চিহ্ন ছিল। (বুখারি, হাদিস : ২০১৬)

শবে কদর অনুসন্ধান ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভে প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইতোমধ্যে ইতিকাফে বসেছেন।

ইতিকাফ হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের এক অনন্য সুযোগ। রমজানের ইতিকাফ শুরু করতে হয় ২০ তারিখের সূর্যাস্তের আগ থেকে। আর তা শেষ হয় রমজান শেষ হলে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা গেলে বা ৩০ তারিখ পূর্ণ হলে। সুতরাং যারা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে ইতিকাফ পালন করবেন, তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যে মসজিদে যেয়ে অবস্থান নেবেন।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা হাফেজ ইবনে রজব বলেছেন, ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করা। আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় যতো গভীর হবে, সম্পর্ক ও ভালোবাসা ততো নিবিড় হবে এবং তা বান্দাকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।

শবে কদর তালাশ করতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানে ইতিকাফে বসতেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাজিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তার সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়। (মুসলিম শরীফ)

মুহাক্কিক ইমামগণ বলেছেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই (ছাব্বিশ দিবাগত) সাতাশ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বিদ্যমান রয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি)।

শবে কদরে নির্ধারিত ফরজ ইবাদতগুলো সযত্নে পালনপূর্বক সামর্থ্যমতো সর্বাধিক নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে আত্মমূল্যায়নসহ কদরের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩০, হাদিস : ৩৪)।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ধেয়ে আসছে যুদ্ধ, প্রস্তুতি নেই ইউরোপের : ডোনাল্ড টাস্ক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউরোপ বর্তমানে যুদ্ধপূর্ববর্তী সময়ে অবস্থান করছে। দিনকে দিন এই মহাদেশে যুদ্ধ ধেয়ে আসছে। তবে এই যুদ্ধ হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপের কোনো প্রস্তুতিই নেই।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিভিন্ন ইউরোপীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। তিনি এমন একসময়ে এই সতর্কবার্তা দিলেন যখন ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, আমি কাউকে ভয় দেখাতে চাই না। তবে যুদ্ধ এখন আর অতীতের কোনো বিষয় নয়। এটি এখন বাস্তব। বলতে গেলে এটি দুই বছর আগেই শুরু হয়েছে। ইউরোপ এখন যুদ্ধপূর্ব যুগে অবস্থান করছে। তবে আসন্ন এই হুমকি মোকাবিলার জন্য আমাদের আরও দীর্ঘ পথ যেতে হবে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আর হয়নি।

পোলিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি আমি যা বলছি তা ভয়ংকর শোনাচ্ছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। কিন্তু আমাদের মানসিকভাবে নতুন যুগের আগমনে অভ্যস্ত হতে হবে। আর সেটা হলো যুদ্ধপূর্ব যুগ। আমি বাড়িয়ে বলছি না। এটা দিনকে দিন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউরোপকে এখনো অনেক পথ যেতে হবে। এ জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলোকে ন্যাটোর বেঁধে দেওয়া প্রতিরক্ষা বাজেটের টার্গেট পূরণ করা। দেশের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে।

ডোনাল্ড টাস্ক আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য যতটা সম্ভব যুদ্ধ সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ কিনতে হবে। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের পর আমরা এখন সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে বসবাস করছি। আগামী দুই বছর সবকিছু নির্ধারণ করে দেবে। আমরা যদি ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তা না করতে পারি, যদি যুদ্ধে ইউক্রেন হেরে যায়, ইউরোপের কেউ নিরাপদ বোধ করবে না।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর থেকেই পশ্চিমা মিত্র ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা এই যুদ্ধ ইউরোপের অন্য দেশে ছড়িতে পারতে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বলে আসছেন, সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশে তিনি আক্রমণ করবেন না।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য স্থায়ী দোকান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টিসিবি পণ্য বিক্রির জটিলতা কাটাতে স্থায়ী দোকান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, টিসিবির পণ্যগুলো এতদিন বিভিন্ন জায়গায় টেম্পোরারিভাবে বিক্রি হতো। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে একটি স্থায়ী জায়গায় নিয়ে আসার। যাতে মানুষের একটি দিন নষ্ট না হয়। তারা যাতে সেখানে যেয়ে ন্যায্যমূল্যে তাদের পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সেটার একটা কার্যক্রম আমরা চলমান রেখেছি।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

টিটু বলেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসি সাহেবরা বাকি পণ্যগুলোকেও আটকে রাখেন। সবগুলো পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু আমি যখন ফিক্সড দোকান করে দেব তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে তখনই সেই মাল বিক্রি শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। এছাড়া আমাদের যেসব ডিলার রয়েছে তাদেরও পণ্য এক মাস সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত স্টোরেজ না থাকাটাই প্রধান সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবি শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে একটা কাঠামোতে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করতেছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যেকোনো পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার। বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। চট্টগ্রামে আমরা ৪০ হাজার স্কয়ারফিটের একটি নতুন গুদাম করেছি। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম করছি। আমরা চেষ্টা করব অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করতে পারি।

সারা বছর টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবিব মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য দিয়েছি। সেটা ১২ মাসই দেওয়ার করব। এতদিন জরুরি ভিত্তিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে করেছি। টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানে নিয়ে এসেছি।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশি যুবক হত্যা: অভিযুক্তদের শাস্তি দাবিতে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নিউইয়র্কে মা ও ছোট ভাইয়ের সামনে পুলিশ বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিওকে (১৯) গুলি করে হত্যা করায় প্রবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৯ মার্চ) কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় জড় হন বিপুল সংখ্যক মানুষ।

প্রবাসী বেঙ্গলী খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনর র‌্যালিতে জড় হয়েছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বকারীরা। ছিলেন পেশাজীবী এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে গণমাধ্যম কর্মীরাও। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখায় এই র‌্যালি থেকে। র‌্যালিতে ছিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।

তিনি জানান, উইন রোজারিওর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালানোর জন্য তার সহযোগী ফার্মকে নিযুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যেই তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বডি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। আনুসঙ্গিক সবকিছু তাদের ফার্মের বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন।

ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী এ সংবাদদাতাকে আরও জানান, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী উইন রোজারিওর হত্যাকাণ্ডের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছেন স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল। পাশাপাশি আমাদের ফার্মও তদন্তে নেমেছে। ন্যায় বিচারের জন্য আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়ে যাবো।

বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রবাসী বেঙ্গলী খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনর সাবেক সভাপতি গ্যাব্রিয়েল তাপস গমেজ, বিকাশ গমেজ, লুথারেন চার্চের প্যাস্টর জ্যামস রয়, দক্ষিণ এশিয়ান-আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত স্যাফেস্টর প্রধান নির্বাহী মাজেদা এ উদ্দিন, কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট এ এফএম মেসবাহউজ্জামান প্রমুখ।

১৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি আমেরিকান উইন রোজারিওর ছবিসহ প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস। প্রত্যেকে ছিলেন সরব। একই দাবিতে ১ এপ্রিল সোমবার অপরাহ্নে একইস্থানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে গাজীপুর জেলা অ্যাসোসিয়েশন

এই সংগঠনের সেক্রেটারি ইছহাক মোল্লা বাবু এ সংবাদদাতাকে জানান, নিহত উইনের বাড়ি গাজীপুর জেলার পূবাইলের হারবাইদ গ্রামে। উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও এবং মা ইভা কোস্টা পুত্রকে এভাবে হারানোর বেদনায় কাতর।

এদিকে, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের অস্ত্র কেড়ে নেয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)র কর্মকর্তারা নাম গোপন রাখার শর্তে এ সংবাদদাতাকে বলেছেন, তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে বডি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। উইন পুলিশের দিকে কাঁচি হাতে তেড়ে আসায় আত্মরক্ষার্থে গুলি করতে বাধ্য হয়েছেন কর্তব্যরত অফিসারেরা।

যদিও উইনের মা ইভা কোস্টা বলেছেন যে, সামান্য মানসিক বিকারগ্রস্ত উইন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় ৯১১ এ কল করা হয়েছিলো পুলিশের জরুরি সহায়তার জন্য। দ্রুত আসেন পুলিশ অফিসারেরা। তারা বাসায় ঢুকেই উইনকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। উইন তাতে সাঁয় দেননি। অধিকন্তু রান্না ঘরে ব্যবহৃত কাঁচি হাতে নিয়ে পুলিশকে ভয় দেখায়। সে অবস্থায় তিনি উইনকে জড়িয়ে ধরেন যাতে সে কোন অপকর্ম করতে না পারে। এমনি অবস্থায় অন্তত: ৫ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে উইনকে হত্যা করা হয়েছে।


আরও খবর