আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন, ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫ টায় ট্রেনে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, আজ ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আমাদের কাছে সংবাদ আসে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৩টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আমাদের ৩টি ইউনিট সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন নির্বাপন করে। একটি বগি থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মরদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। এর মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন।

গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহল্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়ার চিলাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় এক যাত্রী নিহত এবং ট্রেনের লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।


আরও খবর



দৈনিক আসছে হাজার কো‌টি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের আগে রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এবারও ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। ঈদের আগে বে‌শি বে‌শি রেমিট্যান্স পাঠা‌চ্ছেন প্রবাসী বাংলা‌দে‌শিরা।

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ৫ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসেবে এপ্রিলের প্রথম পাঁচ দিনে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, চলতি এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার (৪৫৫ মিলিয়ন)। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

এর আগে মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে আসে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার। 

 গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা ছিল সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রশিদ শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আব্দুর রশিদ শিকদার। রোববার আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শিকদারের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন আব্দুর রশিদ শিকদার। আজ আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রশিদ শিকদার বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। আব্দুর রশিদ শিকদার লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পুরান ঢাকার উষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি এম শোয়েব এবং বেজগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাকি মল্লিক।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রশিদ শিকদার ও বি এম শোয়েবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারদের অভিমত।

নির্বাচন অফিস জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


আরও খবর



বিরল সূর্যগ্রহণ কখন কোথায় দেখা যাবে জানাল নাসা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

একটি বিরল মহাকাশীয় ঘটনার বাকি আর মাত্র একদিন। আগামী ৮ এপ্রিল উত্তর আমেরিকায় পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এদিন সূর্যের পথে চলে আসবে চাঁদ এবং আলোকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা দেবে। ফলে উত্তর আমেরিকার আকাশ সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যাবে। এই ধরণের ঘটনা অন্তত আগামী ২০ বছরে আর ঘটবেনা।

লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আমেরিকার ১৫টি রাজ্যে চার মিনিটের জন্য ভয়ঙ্কর অন্ধকারের এই অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। তবে সমস্ত আমেরিকান তাদের নিজ নিজ রাজ্য থেকে আংশিক গ্রহণ দেখতে পারবে।

নাসার মতে, এদিন সূর্যগ্রহণটি আংশিক গ্রহণ হিসেবে শুরু হবে এরপর সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণে পরিণত হবে। পরে আবার আংশিক গ্রহণ হিসেবে শেষ হবে। এটি টেক্সাসের ডালাস শহরে ১২টা ২০ মিনিটে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে চার মিনিটের জন্য পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে।

এছাড়া, ওকলাহোমার ইডাবেলে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে, আরকানসাসের লিটল রকে দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে, পপলার ব্লাফে দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে, কেন্টাকির পাদুকাহে দুপুর ২টায়, ইলিনয়ের কার্বনডেলে দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে, ইন্ডিয়ানার ইভান্সভিলে দুপুর ২টা ২ মিনিটে, ওহাইও এর ক্লিভল্যান্ডে বিকেল ৩টা ১৩ মিনিটে, পেনসিলভেনিয়ার এরিতে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে, নিউইয়র্কের বাফেলোয় বিকাল ৩টা ১৮ মিনিটে, ভারমন্টের বার্লিংটনে বিকাল ৩টা ২৬ মিনিটে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ল্যাঙ্কাস্টারে বিকাল ৩টা ২৭ মিনিটে ও মেইনের ক্যারিবউয়ে বিকাল ৩টা ৩২ মিনিটে চার মিনিটের জন্য পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা দেবে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটি ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ তথা ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল রয়েছে বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।

গ্যাভির কর্মসূচি বিভাগের প্রধান নির্বাহী অরেলিয়া এনগুয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে তৎপরতা চলছে, এ কর্মসূচি তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর