লোহিত সাগরে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এবার যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইরান। সম্প্রতি লোহিত সাগরে হুথিদের হামলার প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র একটি সম্মিলিত টাস্কফোর্স মোতায়েন করে। এর মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরে হুথিদের হামলার শিকার জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) লোহিত সাগরে নতুন একটি জাহাজ আটকের সময় হুতি বিদ্রোহীদের তিনটি ছোট নৌকা ধ্বংস করে দিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। এরই প্রেক্ষিতে যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ করলো ইরান।
ইরানের আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজ লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে বলে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আলবোর্জের মিশন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তাসনিম। তবে ইরানের যুদ্ধজাহাজগুলো ২০০৯ সাল থেকে জলদস্যুতা প্রতিরোধসহ অন্যান্য কাজের জন্য নিয়োজিত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন>> লোহিত সাগরে মার্কিন হামলায় ১০ হুথি যোদ্ধা নিহত
প্রেস টিভির তথ্য অনুযায়ী, আলভান্দ ধাঁচের ওই ডেস্ট্রয়ারটি ইরানের নৌবাহিনীর ৩৪তম নৌবহরের অংশ। যুদ্ধজাহাজগুলো ২০০৯ সাল থেকে পণ্য পরিবহনের অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক রুট লোহিত সাগরে জলদস্যুদের প্রতিরোধ এবং অন্যান্য কাজ সম্পাদনের জন্য নিয়োজিত রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির এই আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা।
সামাজিক মাধ্যমের কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ইরানের এই যুদ্ধজাহাজটি শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে প্রবেশ করেছে। যদিও এমন দাবি যাচাই করা যায়নি।
গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। ফলে এ পথে পণ্য পরিবহন কঠিন হয়ে পড়ে দেশগুলোর জন্য। হুথিদের হামলায় বিশ্বের অনেক বড় শিপিং কোম্পানি সুয়েজ খাল দিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের আশপাশের দীর্ঘ এবং অত্যধিক ব্যয়বহুল রুটে জাহাজ পরিচালনা করছে। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পণ্যসামগ্রী সুয়েজ খালের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়।