ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম ফিরেছিলেন ১ রানে।
তবে হাল ধরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান। আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সতীর্থ, টিম
ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা করতালিতে বরণ করে নিলেন তাকে। কেউ পিঠ চাপড়ে দিলেন তো কেউ বুকে
টেনে নিলেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ড্রেসিংরুমে ফেরার
আগে খুলনা টাইগার্সের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে যে সেঞ্চুরি তুলে নেন। অনূর্ধ্ব-১৯
বিশ্বকাপজয়ী এই ওপেনারের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই প্রথম শতক।
বিপিএলের দশম আসরে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি।
এমনিতে বেশ শান্ত মেজাজের, তবে ব্যাট হাতে ঠিক তার বিপরীত তানজিদ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংকেই
শেষ কথা মানেন এই তরুণ।
যার একটা ঝলক আজ দেখলেন তিনি। জহুর আহমেদ
চৌধুরী স্টেডিয়াম তানজিদ মাতান দারুণ সব চার-ছক্কায়। সেই ঝড় থামে ১১৬ রানে। ৬৫ বলের
ইনিংসটি সমান ৮টি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে।
অথচ কদিন আগে ডাউন ফর্মের কারণে একাদশের
বাইরে থাকতে হয় তাকে। তবে চট্টগ্রামে পর্বে ফিরে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন এই বাঁহাতি
ব্যাটার। আজকের শতকের আগে ৭০, ১৩ ও ৪১ রানের তিনটি ইনিংস খেলেন তানজিদ।
আজ ১৭৮.৪৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে একবারই
তানজিদ স্নায়ু চাপে ভুগেছেন বলে মনে হয়েছে। ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে জেসন হোল্ডারের বল ব্যাকওয়ার্ড
পয়েন্টে ঠেলে ১ রান নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।
পরের বলে অবশ্য আসে সেই মুহূর্ত। সিঙ্গেল
নিয়ে তানজিদ পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। রানটা সম্পূর্ণ করে বুনো উদযাপনই
করেন তানজিদ।
তানজিদের সেঞ্চুরি আর টম ব্রুসের অপরাজিত
৩৬ রানের ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম। আগে ব্যাট করে ৪
উইকেটে তাদের ইনিংস থামে ১৯২ রানে। প্লে-অফের লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে আজ জয় প্রয়োজন
চট্টগ্রামের।