টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে
সিফাত মিয়া (১৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে পৌর
এলাকার ত্রিমোহন মাঝিপাড়া এলাকার একটি ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায়
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক প্রতিবেশীকে আটক করা হয়েছে।
সিফাত উপজেলার
ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিণপাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে। সে সদরের আফাজ উদ্দিন দারুল
উলুম দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক
সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে সিফাত একই গ্রামের বাসিন্দা তার বন্ধু নুরুল আমিনকে
নিয়ে মির্জাপুর রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খাচ্ছিল। এ সময় দুটি ছেলে এসে কানে কানে সিফাতকে
কিছু বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা হলেও সিফাত বাড়ি না ফেরায় তার বাবা মুঠোফোনে বার
বার ফোন দেন। কিন্তু রিসিভ না করায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন।
পরে সিফাতের বন্ধু
নুরুল আমিনকে ফোন দিলে সে জানায়, সন্ধ্যায় রেলক্রসিং এলাকা থেকে সিফাতের দুই বন্ধু
তাকে ডেকে নিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত বারোটার দিকে ত্রিমোহন মাঝিপাড়ার একটি
ক্ষেতে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার
করা হয়। তার মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই
সিফাতের বাবা শহিদ মিয়া মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শহিদ মিয়া জানান,
গত এক মাস আগে তুচ্ছ ঘটনায় পাশের বাড়ির তালে সিদ্দিকী ও তার নাতি হিরন (২৭) মিলে সিফাতকে
বেধরক মারপিট করে তার হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিশে তালে সিদ্দিকী ও তার নাতিকে
১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০টি জুতার বাড়ি দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার ছেলেকে
নির্মমভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ প্রতিবেশী তালে
সিদ্দিকীকে আটক করেছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। সিফাত হত্যাকরীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।