টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে সাহেদ মিয়া নামে
একজনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার
(৬ মে) বিকালে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের চকতৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। দেউলী ইউপি চেয়ারম্যান
দেওয়ান তাহমিনা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, দেলদুয়ারের দেউলী
ইউনিয়নের শাহেদ আলীর স্ত্রী মনিরা বেগম (২৭) ও তাঁর দুই ছেলে মুসফিকুর রহমান (৮) ও
মাশরাফ (২)। শনিবার বিকেলে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের চকতৈল গ্রামে জনৈক সাহেদ আলীর
ঘর থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইগাতীতে বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে বন্য হাতির মৃত্যু
এই মৃত্যু নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
কেউ বলছেন মাদকাসক্ত সাহেদ আলী স্ত্রী–সন্তানদের হত্যা
করে পালিয়েছেন। কেউ বলছেন স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মনিরা তাঁর সন্তানদের হত্যা
করে আত্মহত্যা করেছেন।
মনিরা বেগমের ভাই আল আমিন বলেন, উভয় পরিবারের
সম্মতির ভিত্তিতে ১১ বছর আগে দেউলী ইউনিয়নের ফজলু মিয়ার ছেলে সাহেদ আলীর সঙ্গে মকবুল
হোসেন খানের মেয়ে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সাহেদ স্ত্রীর ওপর
অত্যাচার নির্যাতন চালাতেন। ধীরে ধীরে হেরোইন সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে অত্যাচারের
মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বহু নির্যাতন সহ্য করেও ঘর সংসার করছিলেন মনিরা। তাঁদের দুটি
সন্তানও হয়েছে। আজ বিকেলে মনিরা ও তাঁর দুই সন্তান মুসফিক ও মাশরাফকে হত্যা করে সাহেদ
আলী পালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাহেদ
আলী নিজেই আজ বিকেলে বাড়ির আশপাশের লোকজনকে ডেকে বলেন তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
করেছেন। লোকজন গিয়ে দেখতে পান, সাহেদের স্ত্রী মনিরা বেগম ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস
লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন। তাঁর পা মাটিতে ঠেকানো। পাশেই বিছানায় শিশু দুটির নিথর দেহ
পড়ে আছে।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। শাহেদ পলাতক। তাঁকে খুঁজে
পেলে এবং লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।