ব্যাটিং ফর্মটা ঠিকঠাক যাচ্ছিল না, ইনজুরি
এসেও বাগড়া দিচ্ছিল বারবার। তাতে ক্রমেই চাপ বাড়ছিল অধিনায়ক তামিম ইকবালের ওপর।
এর মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম
ওয়ানডেতে হেরে যায় বাংলাদেশ। নিজেও করতে পারেননি আশানুরূপ পারফর্ম। এর পরদিনই আচমকা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার সিদ্ধান্তের কথা জানান তামিম।
মাস তিনেক পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্ট
ঘিরে বাংলাদেশের বড় স্বপ্ন। কিন্তু তামিম নেতৃত্বে থাকবেন কি না, এই নিশ্চয়তা সেভাবে
মেলেনি কখনও। এ নিয়ে তামিমের মনে অসন্তোষ থাকতে পারে বলে ধারণা অনেকের।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) তামিমের অবসরের
পর বিসিবি কর্তারা রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে বৈঠকে বসেন। পরে মধ্যরাতে সাংবাদিকদের
সঙ্গে কথা বলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট।
দুই ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এসে বিসিবি
সভাপতি মুখোমুখি হন নানা প্রশ্নের। এর মধ্যে তামিমের অধিনায়কত্ব থাকবে কি না, এই দুশ্চিন্তার
প্রসঙ্গটিও আসে। পাপন অবশ্য দাবি করছেন, বোর্ড থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল তামিমকে।
আরও পড়ুন: তামিমের জায়গায় ওয়ানডে দলে রনি
পাপন বলেন, প্রশ্নই উঠে না (বিশ্বকাপের
আগে অধিনায়ক বদলানোর)। আপনাদের কী কারও মনে হয় এই হঠাৎ করে এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের
আগে এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব? কী ধরনের কথা বলছেন আপনারা! আমার ধারণা এটা
(তামিমের অবসর) আবেগী সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, যদিও তিনি বলেছেন এক-দুদিন
নয়, বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তা ভাবনা করে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। কিন্তু কিছু একটা ফ্যাক্টর
তো আছেই। যদি জানতে পারি তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের জন্য ভালো। তিনি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
এবং তাকে আমাদের ওয়ানডে দলে দরকার। যদি তিনি সিদ্ধান্ত বদলান, আমরা খুশি হব।
তামিম যদি শেষ অবধি না ফেরেন? এই প্রসঙ্গে
যেতেই চাইলেন না পাপন। তিনি জানান, বিসিবির কাছে এখনও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমই আছেন।
যদি তিনি কোনো কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে না খেলেন তাহলে সহ-অধিনায়ক লিটন
দাস নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: তামিমের অবসর নিয়ে যা বললেন পাপন
এ নিয়ে পাপনের ভাষ্য, আমাদের কাছে ওয়ানডে
অধিনায়ক তামিম। এখন অবধি সেটা আছে। কোনো কারণে তামিম না খেললে ভাইস ক্যাপ্টেন খেলা
চালাবে।
এ সময় তামিমের সিদ্ধান্ত দলে প্রভাব ফেলবে
কি না এমন প্রশ্নে পাপন বলেন, দলের ওপর প্রভাব না পড়ার কোনো কারণ নাই। ইতোমধ্যে পড়ে
গেছে। এই সিরিজ কেন। আমাদের সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ আছে। আর কয় মাস বাকি? আমরা যেখানে
ভাবছিলাম, আশা করছিলাম; বাংলাদেশ এবার বিশ্বকাপে ভালো করবে। এমন একটা সময়ে এমন একটা
সিদ্ধান্ত, এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করি।