বগুড়ার ধুনটে
তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে মারা গেল সিয়াম হোসেন (৭) ও মোস্তাকিম আলী (৫) নামে ঘুমন্ত
দুই সহোদর ভাই। শনিবার বিকালে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ভ‚তবাড়ি গ্রামে যমুনা নদীর
বাঁধে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ফায়ার
সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব কাঠমিস্ত্রি লিটন মিয়া স্ত্রী
গোলাপি বেগম, দুই ছেলে সিয়াম হোসেন ও মোস্তাকিম আলীকে নিয়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ভূতবাড়ি
গ্রামে যমুনা নদীর বাঁধে টিনশেড ঘরে বসবাস করেন। তাদের অপর সন্তান তামিম নানাবাড়িতে
থাকে। লিটন মিয়া টাঙ্গাইলে কাজের জন্য গেছেন। সম্প্রতি সিয়াম ও মোস্তাকিমের খতনা করানো
হয়েছে। শনিবার বিকালে মা গোলাপি বেগম ঘরে ঘুমন্ত দুই ছেলেকে ঘরে তালা দিয়ে যমুনা নদীর
চরে ছাগল আনতে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।
ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন
পরিষদের সদস্য আব্দুল বারিক ও প্রতিবেশীরা জানান, বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ ঘরে আগুন লাগে।
মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে
ফোন দেন। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই
দুটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। সে সময় ঘরে থাকা ঘুমন্ত সিয়াম ও মোস্তাকিম পুড়ে মারা যায়।
প্রতিবেশীরা পুড়ে যাওয়া খাট থেকে দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন। তাদের মৃত্যুতে শুধু
পরিবারে নয়, পুরো গ্রামের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।’
ধুনট ফায়ার সার্ভিসের
লিডার হামিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত
হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মা খতনা করানো দুষ্ট দুই ছেলেকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে
মাঠে গিয়েছিলেন।
ধুনট থানার ওসি
রবিউল ইসলাম জানান, অভিযোগ না থাকায় দুই শিশু সহোদরের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
করা হয়েছে।