ময়মনসিংহের নান্দাইলে
ধান খেতে পাওয়া গলাকাটা মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। টাকা ধার না দেওয়ায় ফজলুল হককে
(৭৩) গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ধানখেতে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার
দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল হাসান (৩৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত ফজলুল হক
নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি নরসিংদী
সদরের খাটেহারা পূর্বপাড়ায় নিজ বাসায় বসবাস করতেন।
গ্রেপ্তারকৃত
আবুল হাসান জেলার নান্দাইল উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে
নিহত ফজলুল হকের বাসায় সপরিবারে ভাড়া থেকে একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়, নিহত ফজলুল হকের বাড়িতে প্রায় দেড় বছর আগে আবুল হাসান স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া
ওঠেন। ভাড়া থাকার সুবাদে ফজলুল হকের সঙ্গে আবুল হাসানের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এমতাবস্থায়
আবুল হাসান স্ত্রীর সিজার করার জন্য টাকার প্রয়োজন হলে বাসার মালিক ফজলুল হকের কাছ
থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেয়।
তখন থেকেই আবুল
হোসেন ধারণা করেন, ফজলুল হকের কাছে আরও নগদ টাকা থাকতে পারে। এই ধারণা থেকে আবুল হাসান
আবারও তাঁর কাছে টাকা ধার চান। ফজলুল হক টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে আবুল হাসান ফজলুল
হকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং পুরো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে।
পরিকল্পনা মোতাবেক
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফজলুল হককে নিজ বাড়ি নান্দাইলে বেড়াতে যান আবুল হাসান। এ সময় মোয়াজ্জেমপুর
ইউপির কামালপুর গ্রামের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে ধারালো
দা দিয়ে পেছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেন তিনি।
পরে পাশের ধান
খেতে গলা কেটে হত্যা করে দা কিছুটা দুরে রেখে দেন। পরে হত্যার পর ফজলুল হকের সঙ্গে
থাকা ৩০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল নিয়ে আবুল হাসান পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার
মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চৌকিদার মজিবুর রহমান বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি
করে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ
পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা
জানতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরও
বলেন, এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আবুল হাসানকে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার ফুলতলা
গ্রামের চাঁন মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।