আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

তাজরীন ট্র্যাজেডি ৯ বছর: দুঃসহ যন্ত্রণায় ভুগছে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাভার থেকে আসাদুজ্জামান খাইরুল

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ৯বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১২ সালের ২৪শে নভেম্বর সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নেয় ১১৩জন শ্রমিকের প্রাণ। পঙ্গু হয়ে সংসারের বোঝা হয়েছেন কয়েক'শ শ্রমিক। যারা এখনো ভুলতে পারেন না দুর্বিষহ সেই স্মৃতি।

তাজরীন ফ্যাশন নামের আটতলা পোশাক কারখানাটি ৯ বছর ধরে নিশ্চিন্তপুরবাসীর কাছে বধ্যভূমি হয়ে আছে। আগুনে আটতলা ভবনটির প্রায় সব মালামাল পুড়ে যায়। যার চিহ্ন এখনো রয়েছে ভবনটির গায়ে। মালামালের সঙ্গে পুড়ে যায় সেখানে কর্মরত অধিকাংশ শ্রমিক ও তাদের স্বজনদের স্বপ্ন।

সংসারে সচ্ছলতা আনতে গিয়ে ওই পোশাক কারখানায় যারা কাজ করছিলেন, তারা উল্টো সংসারের বোঝায় পরিণত হয়েছেন। সব হারিয়ে গত ৯ বছরে নিশ্চিন্তপুর ছেড়ে চলে গেছেন প্রায় সব শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। কেউবা সেখানে থেকে আশপাশের পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছেন। কিন্তু অন্য শ্রমিকদের মতো স্বাভাবিক কাজের মানসিকতা আজও ফিরে পাননি তারা। এক অজানা আতঙ্ক এখনো তাদের পিছু তাড়া করছে।

অগ্নিকাণ্ড আহত জরিনা বেগম (২৬) নামের এক শ্রমিক আগুনের হাত থেকে বাঁচতে পাঁচতলা থেকে মাটিতে লাফিয়ে পড়েছিলেন। এখন স্থানীয় অন্য একটি কারখানায় কাজ করছেন। কিন্তু সেই দুর্বিষহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি তিনি। জরিনা বেগম বলেন, দগ দগ কইরা আগুন জ্বলছিল। সিঁড়ি দিয়ে নামতে যাইয়্যা দেখি তালা দেওয়া। উপায় না পাইয়া পাঁচতলা থেইকা লাইফা পড়ি। তারপর আর কইতে পারি না। 

জরিনার ক্ষোভ, প্রথমে আগুনের বিষয়টি বুঝতে পেরে শ্রমিকরা বের হতে চাইলে মালিকপক্ষের লোকেরা একে গুজব বলে শ্রমিকদের কাজ করতে বলেন। এমনকি,  শ্রমিকরা যেন বের হতে না পারে, সে জন্য কারখানার সিঁড়ির প্রধান ফঁটকেও তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এর ফলেই এত প্রাণহানি ঘটে।

ঘটনার পর বিভিন্ন তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানেও প্রাণহানির জন্য কারখানার মালিকপক্ষকে দায়ী করা হয়। ইনস্যুরেন্সের টাকা আদায়ের জন্য মালিকের নির্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তোলে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এ ঘটনায় সে সময় দুটি মামলা হয়। যাতে তাজরীন ফ্যাশনের মালিক দেলোয়ার হোসেন গ্রেপ্তার হন। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। মামলা দুটির তদন্ত এবং বিচারে ধীরগতির কারণে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে কি না, সেই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এর সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ ইমন শিকদার বলেন, তাজরীন ফ্যাশনের ট্রাজেডির দীর্ঘ ৯বছর অতিবাহিত হলেও আজও পর্যন্ত মালিক দেলোয়ারের সুষ্ঠ বিচার হয়নি। সে গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে মহাসুখে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ অনেক হতাহত শ্রমিকরা এখনও মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বর্তমানে যে সব শ্রমিকরা বিকলাঙ্গভাবে জীবন-যাপন করছে তাদের জন্য তাজরীন ফ্যাশনের পরিত্যক্ত ভবনটিতে বসবাসের সুযোগ করে দিলে তাহলে তারা একটু হলেও মনে প্রশান্তি পাবে বলেও এই শ্রমিক নেতা আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। অন্যদিকে এ বিষয়ে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অরেবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, তোবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান তাজরিন ফ্যাশনের মালিক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সুপরিকল্পিতভাবে কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এঘটনায় ১১৪জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এই হত্যাযজ্ঞের কর্মকাণ্ডের মূলহোতা কারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ দোষীদের এখন পর্যন্ত শাস্তি হয়নি। নিহত শ্রমিকের পরিবার ও আহত শ্রমিকরা সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পয়সাও পায়নি। আর্থিক ক্ষতিপূরণ, পূর্ণবাসন ও সুচিকিৎসার অভাবে শ্রমিকরা এখনও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এবিষয়ে সরকারের নজর থাকলেও কোনো প্রকার শ্রমিকদের সহায়তা করছে না। কারখানার মালিক গ্রেপ্তার হয়েছিলো বটে নামমাত্র কিন্তু জামিনে বের হয়ে শরীরে হাওয়া লাগিয়ে ঠিকই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই হত্যাকারীদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনাসহ নিহতের পরিবার ও আহতদেরকে পুর্নবাসন এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে জোর দাবী জানাচ্ছি।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তুবা গ্রুপের মালিকানাধীন তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে সরকারি হিসাবে প্রাণ হারান ১১১জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরো দুজন। বহু শ্রমিক জীবন বাঁচাতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন মাটিতে। তাদের অনেককে বিকলাঙ্গ জীবন যাপন করতে হচ্ছে।


আরও খবর



সুন্দরবনে হরিণ ও শূকরের ৪০ কেজি মাংসসহ শিকারী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবন থেকে ইয়াসিন হাওলাদার নামে এক হরিণ শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ নাইলনের দড়ির ফাঁদ ও হরিণ শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক এই চোরা শিকারীরর বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার চরদোয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে। আটক শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরর পর বুধবার সকালে বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, পাথরঘাটার চরদুয়ানি এলাকার একটি চোরা শিকারী দল চরখালীর গহীন বনে হরিণ শিকারে লিপ্ত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরখালী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে চরদুয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে ইয়াসিনকে আটক করেন।

এসিএফ আরও জানান, বনরক্ষীদের টের পেয়ে শিকারী দলের আরো চার সদস্য পালিয়ে যায়। তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। আটক শিকারীর নৌকা তল্লাশি করে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস এবং এক বস্তা ফাঁদ পাওয়া। শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক শিকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। চোরা শিকারীরা শূকরের মাংস হরিণের মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এর পর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে।

ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভূক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম।

গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এসব কারণেই, সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


আরও খবর



ওপার বাংলায় ফেলুবক্সীর লাবণ্য হয়ে আসছেন পরীমনি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির প্রতি দারুণ অনুরাগী ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। রাবিন্দ্রিক সাজে প্রায়ই ফেসবুকে দেখা দেন তিনি। কখনও-সখনও পোস্ট করেন কবিগুরুর কবিতা বা গানের লাইন। তার সাহিত্যের চরিত্রে কাজ করতেও আগ্রহী পরী। হয়তো কোনো দিন রবিঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস শেষের কবিতার নায়িকা লাবণ্য হিসেবে পরীমনিকে দেখা যাবে।

তবে আপাতত তিনি বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত দুই গোয়েন্দা ফেলুদা আর ব্যোমকেশ বক্সীর মিশ্রণে নির্মিতব্য সিনেমায় লাবণ্য হয়ে আসছেন। কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন পরী সে খবর বেশ পুরোনো। ছবির নাম ফেলুবক্সী’। সম্প্রতি প্রকাশ হলো সে সিনেমায় পরীর লাবণ্য চরিত্রের ফার্স্ট লুক।

ফেসবুকে নিজেই সেই লুকের ছবি পোস্ট করে সবার সঙ্গে ফেলুবক্সীর লাবণ্যকে পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলা সিনেমার ডানাকাটা পরী। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, মধুমিতা সরকারদের সঙ্গে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এতে কাজ করা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, লাবণ্য চরিত্রটা যখন পড়লাম, তখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, এই চরিত্রটা সঠিকভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পারব। এবার কতটা ভালো পেরেছি, সেটা দর্শক বলবেন।’

ছবিতে সব রহস্য পরীমনির চরিত্রটা কেন্দ্র করেই ঘনীভূত হবে। তবে পরিচালক বললেন, এখানে প্রোটাগনিস্ট সোহম। এই চরিত্রটা মজাদার, টেক স্যাভি, বিশ্বের নিত্যনতুন টেকনোলজির বিষয়ে নিজেকে আপডেট রাখে। এমনিতেই বাঙালির প্যাশান খাওয়াদাওয়া আর রহস্য সমাধান জমিয়ে রেসিপি পড়ার মতো করে রহস্যের কিনারা করে সে। ফেলুবক্সী নামটা শুনেই নিশ্চয় দর্শকরা বুঝতে পারছেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি চরিত্রের প্রভাব রয়েছেন তার মধ্যে। তবে আবার নাম শুনেই এ সিনেমা নিয়ে দর্শককে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বারণ করলেন নির্মাতা। কারণ চিত্রনাট্যের মজা নিতে ছবিটা দেখতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে পিকআপচালক খুন, মরদেহ মিললো রেললাইনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক পিকআপচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশে রেললাইন থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করে রেললাইনে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মৃত হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এক শিশু তৌহিদুল ইসলাম খোকনের মরদেহটি রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করে মরদেহটি বাড়ি নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গতকাল (বুধবার) রাতে একই এলাকার শাহাজাহান মেম্বারের বাড়িতে তাঁর ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় বখাটে ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাসেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেনি। সকালে রেললাইনে মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য। আমার স্বামীর হত্যায় জড়িতদের শাস্তি চাই।

হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়েছি খোকন মারা গেছে। কে বা কারা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। তবে মাদকের কারণে খুন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর