আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ৩৯ যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে চীনের ৩৯টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমএনডি)। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রণালীর চারপাশে ২৬টি আকাশযান ও ১৩টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি আজ সকাল শুরুর প্রথম ঘণ্টায় শনাক্ত করা গিয়েছে।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ও কানাডার রণতরী প্রণালীটি পাড়ি দেয়। এরপরেই তাইওয়ানের চারপাশে চীনের যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা গেল। 

আরও পড়ুন>> প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

এমএনডি বলছে, চীনের শানডং যুদ্ধবিমান আজ তাইওয়ানের দক্ষিণতম প্রান্ত ইলুয়ানবি থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে শনাক্ত করা হয়েছিল। পূর্ব দিকে যাত্রা করে আকাশযানটি প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাংশে প্রবেশ করে।

চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অপরদিকে, তাইওয়ান প্রণালীতে বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় চীনের।

এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতি বছরগুলোতে তাইওয়ানে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব চরমভাবে বিস্তার করছে বেইজিং। প্রায়শ তাইওয়ান প্রণালীতে নৌমহড়া ও যুদ্ধবিমান দিয়ে মহড়া চালায় তারা। আর এমনটা করা হয় এমন সময়ে যখন কি না তাইপে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়।

তাইওয়ান বলছে, সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া ৩৯টির মধ্যে ২২টি আকাশযান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। 

আরও পড়ুন>> মরক্কোয় থামছে না মৃত্যুর মিছিল, নিহত বেড়ে ২১২২

এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আমাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিক্রিয়া জানাতে বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



আরও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২৭তম বছরে পদার্পণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের মহান নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হতো না। কৃতজ্ঞতা জানাই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে- যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

ঢাকার প্রথম তিন তারকা হোটেল ছিল হোটেল শাহবাগ। নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৬ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ভবনটি নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের স্থান হিসেবে নির্বাচন করেন। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরে এ ভবনেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে এটিকে সংস্করণ করে হোটেলে রূপান্তর করা হয়, যা ঢাকার প্রথম আন্তর্জাতিক হোটেল। পঞ্চাশের দশকে বিদেশি অতিথিদের আবাস ও আহারের ব্যবস্থা, বড় আকারের অভ্যর্থনা সবই এখানে হতো। এটিই বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগে এর নাম ছিল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ। সাধারণ মানুষের কাছে পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ” এবং ইফতিখার-উল-আউয়াল সম্পাদিত ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরী: বিবর্তন ও সম্ভাবনা বইটিতে এই হাসপাতাল তৈরির ইতিহাস লেখা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের জন্য শাহবাগের এই জায়গা অধিগ্রহণ করে সরকার। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৬৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপদেষ্টা স্যার জেমস ডি এস কেমেরন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক এ কে এস আহম্মদকে নিয়ে এই ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠে। পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠিত স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের সঙ্গে এটি যুক্ত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের অনুরোধে তৎকালীন মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী মুসলিম লীগের পরিত্যক্ত ভবনটি (ব্লক-এ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে এখানেই পিজি হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। তবে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল মহান জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। এখন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন সময়ে দেশের ১৩টি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নিপসমসহ পাঁচটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম হচ্ছিল না। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দেশে একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সব মেডিকেল কলেজের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে আসছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, ৬৯-এর ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দেওয়া ১১দফার মধ্যেও চিকিৎসকদের দাবির কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও আইপিজিএমআর শিক্ষক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারও আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ নেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ৫১টি অধিভুক্ত মেডিকেল/নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের ছাত্রদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, বতসোয়ানা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ১০০ বিদেশি ছাত্র বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ১০ হাজার নতুন ও পুরাতন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এখন আটটি অনুষদসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরও সুশৃঙ্খল এবং ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা। আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সকল মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ভরসাস্থল হিসেবে।

রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অর্থোস্কোপিক সার্জারী ও অর্থোপ্লাস্টি, হ্যান্ড এন্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি ও ইউমিনো রিউম্যাটোলজি।

মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনে মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো পরপর দুটি ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভারসহ অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সকল শিক্ষক, ছাত্র, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে সাফল্য নিয়ে। প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ- দেশি-বিদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের ছাত্র এবং তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ নিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চিকিৎসক সমাজের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি যেমন বাস্তবায়ন করছেন, তেমনি এদেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিকিৎসক সমাজ কৃতজ্ঞতার সাথে চিরদিন স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।

রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাব, ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



তাপমাত্রা কমাতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিলেন হিট অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

নগরীর ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এবার তা তাপপ্রবাহ কমিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বুশরা আফরিন বলেন, নগরে বনায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের প্রয়োজন। তবে তার জন্য এখন কিছু না করে বসে থাকার মানে নেই। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য। একই সঙ্গে কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বলেন, গত এক বছরে আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ, তারা অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। এসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে এবং এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরসহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি এবং এনজিওর সঙ্গে আমরা শিগগিরই যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।

জানা গেছে, নিষ্প্রাণ প্রকৃতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। কৃত্রিম বৃষ্টি-র দেখা মিলবে প্রতিদিনই। তীব্র দাবদাহে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা কৃত্রিম বৃষ্টির দেখা পাবে নগরবাসী। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিরদেখা মিলবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর তাপপ্রবাহ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির তৈরির জন্য ব্যবহার করছে বড় বড় জলকামান। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার।


আরও খবর



হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০০৪ সালে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলাকারী জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে এটিইউর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া জুঁই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০০৪ সালে বইমেলায় অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ওপর সরাসরি হামলাকারী এবং হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা নূর মোহাম্ম ওরফে সাবু ওরফে শামীমকে এটিইউ গ্রেপ্তার করেছে। জেএমবি নেতা সাবু চাপাতি দিয়ে সরাসরি অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ঘাড়ে গলায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে অধ্যাপক আজাদ জার্মানিতে মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজ দুপুরে এটিইউর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



জয়পুরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের দুই সমর্থকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল নলপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বারইল নলপুকুর গ্রামের মৃত বাদেশ সাখিদারের ছেলে পলাশ সাখিদার (৩৮) এবং একই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন (৩২)। তারা দুজনই চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বারইল নলপুকুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে এশার নামাজ চলাকালীন সময় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদার ও বকুল মণ্ডলের লোকজন পটকা ফাটায়। এ নিয়ে দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক পলাশ তাদের নিষেধ করলে তারা পলাশকে মারধর করে। পরে পলাশ তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের উপর আঘাত করতে চাইলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে।

এ সময় নাসির হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার বলেন, আমি আহতদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারকে কয়েকবার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।


আরও খবর