সাভারের আশুলিয়ায়,
শশুর বাড়িতে এসে জামাই নববধূকে নিয়ে যেতে চাইলে, নিতে না পারায় ও কথা কাটাকাটি হওয়ায়
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে স্বামী। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে
আশুলিয়া থানায়।
সোমবার ( ১৬ জানুয়ারী)
সকালে আত্মহত্যা করা জামাইয়ের মৃত্যু দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা ঢাকা সহরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানায়,
এস আই আবজালুল হক। এর আগে রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার
কাদের মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকা শশুরের ঘরে, গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে নব
বিবাহিত হাবিবুর রহমান (২৬) ।
বাগেরহাট জেলার,
মোংলা থানার, আবুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান গত তিন মাস আগে একই জেলার মোহিব্বুল্লাহ
খানের, নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে আনিকা তাবাচ্ছুমকে বিয়ে করে।
নববধূর ছোট ভাই
জানায় আমার বোনের বিয়ের বয়স মাত্র ৩ মাস। কিছু দিন আগে ১২ লক্ষ টাকা বিট কয়েনের
ব্যাবসায় ইনভেস্ট করে, ধরা খেয়ে দুশ্চিন্তা
গ্রস্থ ছিলেন দুলাভাই। রোববার সন্ধ্যায় আমার বোনকে সাথে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা
কাটাকাটি হয়। যেহেতু বিয়ের আগে কথা হয়েছিল বিয়ের পরে, আমার বোন এখানে থেকে পড়াশোনা
করবে, তাই আমার বোন যেতে রাজি হচ্ছিল না এই নিয়ে দুজনের ভিতর কথা কাটাকাটি হয়। ঝগড়াঝাঁটির
একপর্যায়ে রুমে ঢুকে দরজা আটকে গলায় ফাঁস নেয় দুলাভাই। তখন আমার বাবা বাড়িতে না
থাকায় আমরা কোন কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। একপর্যায়ে আশপাশের মানুষের সহযোগিতায় ঘরের
দরজা ভেঙে দেখি ভাইয়া রশিতে ঝুলে আছে। পরে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসলে
ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
আশুলিয়া থানার
এস আই আবজালুল হক বলেন, হাসপাতাল থেকে আমরা খবর পেয়ে রাত দশটায় লাশের সুরতহালের জন্য
আসি। গলায় অর্ধাকৃতি কালো দাগ দেখতে পেয়েছি। যার দরুন প্রাথমিক ভাবে আত্নহত্যা বলে
ধারণা করা হচ্ছে। প্রথমে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।একন ময়নাতদন্তের জন্য
ঢাকা সহরোয়ারদিতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও মৃত ব্যক্তির স্বজনদের কোন
অভিযোগ থাকলে তার ভিত্তিতে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তবে মৃতের বাবা ফোনে আমাকে জানিয়েছেন
ছেলেটি ব্যাবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তা গ্রস্থ ছিলো। এবং এই বিষয়ে
তার কোন অভিযোগ নেই বলেও জানান আমাকে। তবে যাই হোক না কেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং
তাদের লিখিত বক্তব্যের উপরেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।