কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রুবেল (২২) নামের
এক ঘোড়ারগাড়ি চালকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় নিহতের স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে আটক
করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে চালকের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা
করেন। মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরো ৫জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের
জেরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। মামলায় ঘটনার দিন আটককৃত স্ত্রী মারজিয়া
খাতুন ও শাশুড়ি মর্জিনা খাতুনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের
মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় আসামিরা হত্যায় দায় স্বীকার করেছে
বলে জানান পুলিশ।
জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার
শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে মেজবার শেখের মেয়ে মার্জিয়ার সাথে রুবেলের দ্বিতীয়
বিয়ে হয়। গত রবিবার তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে একটি মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সন্ধ্যায়
রুবেলের স্ত্রীর মেজো ভাই মিঠু শেখ তাকে ফোনে তার স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ডেকে
নিয়ে যায়। গত সোমবার সকালের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল
হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে
ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সঠিক বিচারের আসায় থানায়
মামলা করেছি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো: আকিবুল ইসলাম জানান, চালকের বাবা বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে আটককৃত স্ত্রী ও শাশুড়ির নাম থাকায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে
পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পারিবারিক কলহের
জেরে আসামীরা চালককে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।