পারিবারিক কলহের জের ধরে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে স্বামী জাহারুল ইসলাম উজিরকে (৪৫) কুপিয়ে দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে জাহারুলের বোন পারভীন আক্তার বাদী হয়ে জাহারুলের স্ত্রী মুর্শিদা বেগমসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে ওই মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জাহারুলের স্ত্রী মুর্শিদাকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে পিরোজপুর কোর্টে প্রেরণ করেছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মুর্শিদা স্বামী কর্তৃক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে তার স্বামীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন।
তিনি আরও জানান কোপানোর কাজে ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মুর্শিদার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ির পাশের খালে বিচ্ছিন্ন দুই হাতের কব্জি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু শেষে মুর্শিদাকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে পিরোজপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। পুরো ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ ব্যাপক অনুসন্ধানমূলক তদন্ত করছে। জাহারুলের ভাগিনা নাসির জানায়, বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহারুলের শরীরে রক্ত দেয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের বালিহারী গ্রামের দিনমজুর জাহারুল ইসলাম উজিরকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে তার স্ত্রী মুর্শিদা। জাহারুলের ভাগিনা নাসির স্থানীয়দের সহযোগীতায় শুক্রবার দুপুরে মুমুর্ষ অবস্থায় জাহারুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জাহারুল মুর্শিদা দম্পতির নয় ও পাঁচ বছর বয়সের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।