পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলা করে কুপিয়ে জাহারুল ইসলাম (৪৭), মো. জাহারুল (৪৩), মো. জাহিদুল ইসলাম (৪০) ও মো. সাগর (৩৬) নামের ৪ জনকে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। কোপে আহত জাহারুলের অবস্থা আশংঙ্কা জনক। ঘটনার মূল হোতা হামলার নেতৃত্বদানকারী সোহাগ ঘরামী (৪৫) উল্টো মামলা করতে এসে সহযোগী আকাশ (২২) সহ গ্রেফতার হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃত দু’জনকে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে সাবেক চেয়ারম্যান আকরামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ির সামনে সড়কে ওই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে গুরুতর আহত জাহারুল ইসলামের ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে ৮ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে নেছারাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাদীর দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার জাবেদ মিয়ার ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক সোহাগের সাথে তার প্রতিবেশি বিভিন্ন পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিসহ নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুরে সোহাগের প্রতিবেশি সাগর তার দোকানে যাবার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান আকরামুল ইসলাম বাবুলের বাড়ির কাছে পৌছুলে সোহাগ ও তার ভাই মাকছুদসহ অন্তত ১১ জন অটোযোগে এসে সাগরের উপর হামলা চালায়। এতে সাগরের হাত ভেঙ্গে যায়। সাগরকে রক্ষার্থে প্রতিবেশি জাহারুল ইসলাম জাহিদুল ইসলামসহ অন্যরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়িভাবে পিটাতে থাকে। এসময় সোহাগ তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদীর ভাই জাহারুল ইসলামের বাম হাতে কোপ দেয়। এছাড়াও হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে জাহিদুল ইসলামের মাথা ফেটে ও জাহারুলের হাতে জখম হয়। পরে আহতদের চিৎকারে আসে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সোহাগ ও তার দলবল হত্যার হুমকি দিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহারুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে দ্রুত বরিশাল শের এ বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাদী জানান, সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সাথে হয়রানি মূলক কর্মকান্ড করে আসছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এরপূর্বে নিরাপত্তা চেয়ে ওই এলাকার একাধিক ব্যাক্তি সোহাগের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছেন।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সোহাগ নিজে ঘটনা ঘটিয়ে উল্টো থানায় এসে মামলা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে তাকে থানায় বসিয়ে রেখে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের পর মামলা হলে তাকে সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।