পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার ৫ নং জলাবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব জলাবাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের জমি দখল করে পাঁকা ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে একদল প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ওই মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিতিশ মন্ডল পিরোজপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সেখানে ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে সেখানে সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই প্রভাবশালীরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেও তারা সেখানে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রিতিশ মন্ডল।
আদালতে ওই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রিতিশ মন্ডলের দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৪ জুন ওই এলাকার প্রভাবশালী রবিন হালদারের নেতৃত্বে সাগর বড়াল, রথীন হাওলাদার, নান্টু মন্ডল, জয়ন্ত মিস্ত্রী, প্রশান্ত মিস্ত্রী ও মিল্টন মজুমদার সহ আরও ১০/১১ জন ব্যাক্তি একটি দল ওই মন্দিরের পাশে খালি জমিতে পাঁকা ঘর নির্মান করতে যায়।
এসময় প্রিতিশ সহ মন্দির পরিচালনার সদস্য বিশ্বজিৎ মজুমদার, হরলাল মন্ডল, কৃষ্ণ কান্ত সমদ্দার, বাবুল সমদ্দার, আকাল সমদ্দর, প্রমথ রঞ্জন মিস্ত্রী গিয়ে তাদেরকে ভবন নির্মানে বাধা দেয়। এসময় দখলকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে সেখানে ভবন নির্মানের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। পরবর্তিতে তারা এ বিষয়ে আদালতের দারস্থ হলে আদালত গত ৬ জুন সেখানে ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে নিশেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু ওই প্রভাবশালীরা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেখানে ১৫ জুন বুধবার পূনরায় তাদের কার্যক্রম চালায় বলে অভিযোগ করেন প্রিতিশ মন্ডল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রবিন হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ওই জমি দূর্গা মন্দিরের স্বীকার করে তিনি বলেন মন্দিরের খালি জায়গায় আমরা একটি হরি মন্দির করতে চাচ্ছি। ১৪৪ ধারা অমান্য করার বিষয়ে তিনি জানান, আমরা সেখানে বুধবার কিছু পূজা অর্চনার কাজ করেছি মাত্র।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দুই পক্ষকেই ১৪৪ ধারার ব্যাপারে অবহিত করে তাদের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।