মাত্র দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে। এখনো শুকায়নি হাতের মেহেদীর রং। অথচ বিয়ের এই দেড় মাসের মাথায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন নববধু হালিমা।
ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কামারকাঠি এলাকায়। আত্মহত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত হালিমা কামারকাঠি গ্রামের আব্দুস সত্তারের মেয়ে এবং একই গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী। সে কামারকাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমিন খান লিটু জানান, তার ওয়ার্ডের আব্দুস সত্তারের মেয়ে স্কুলছাত্রী হালিমার সাথে একই এলাকার মো. বাদশা মিয়ার ছেলে মো. মিজানের প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রায় দেড় মাস আগে মিজান ও হালিমা একে অপরকে বিয়ে করে ঢাকায় থাকতেন। গত তিন দিন আগে হালিমা স্বামী মিজানকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাবার বাড়ি আসেন। মিজান হালিমাকে বাবার বাড়িতে রেখে কাজের জন্য আবার ঢাকায় চলে যান। সোমবার বিকেলে হালিমা স্কুল থেকে ফিরে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সকলের অগোচরে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, সোমবার রাতেই পিতার ঘর থেকে ওই নববধুর লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তে পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।