আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে দুই বামনের বিয়ের উৎসবের আমেজ বইছে গোটা এলাকায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

দিন আগেও আল আমিনকে কেউ তেমন একটা গুরুত্ব দিতেন না। বাওন (বামন) বলে খেলাধুলা বা আড্ডায় ছিলো না তার কোনো বন্ধু-বান্ধব। তাকে ঘিরে ছিলো না কারো কোনো আগ্রহ। সেই আল আমিনকে নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে তার পাড়ার প্রতিটি ঘরে। এই আলোচনা অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপজেলায়। শুধুই কী মানুষের মুখে মুখে, একপর্যায়ে আল আমিনের কাণ্ড ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। সবার মুখে একই কথা- আল আমিন বিয়ে করেছেন, তাও আবার তার মতো আরেক বামন পাত্রীকে।

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শর্ষিনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আল আমিনের (২২) সাথে একই উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শাহজাহানের কন্যা শাম্মি আক্তারের (২০) বিয়ের কথাই বলা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিবাহের অনুষ্ঠান অত্যান্ত ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বর আল আমিন লম্বায় ৪৪ ইঞ্চি এবং কনে শাম্মি লম্বায় ৩৩ ইঞ্চি। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আল আমিন তৃতীয় এবং দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে শাম্মি সবার বড়। শাম্মি উপজেলার কলেজিয়েট একাডেমিতে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তার নানা শামসুল হক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার দেড় শতাধিক গণ্যমান্য লোকদের দাওয়াত করে কনেপক্ষ। কিন্তু ছেলেকে একনজর দেখার জন্য কনের বাড়িতে ওই এলাকার বহু লোক ভিড় জমান। তাদের বিয়েতে এক লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে। উভয় পরিবারের লোকজনসহ পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই উৎফুল্লভাবে কনের বাড়ি থেকে বর-কনেকে বিদায় জানান। রাতে বউ নিয়ে আল আমিন বাড়ি ফিরলে এলাকার শত শত উৎসুক লোকজন বর-কনেকে একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমান। নবদম্পতিকে আশির্বাদ জানানোর পাশাপাশি তাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছেন অনেকেই।

আল আমিন ও শাম্মির এ বিয়েকে ঘিরে উভয় পরিবারের মাঝে আনন্দের ফোয়ারা বইছে। সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দেব কুমার সমদ্দার জানান, কোনোপ্রকার নিমন্ত্রণ না করলেও খবর পেয়ে এলাকার শত শত মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর-কনেকে বরণ করেছেন। উপজেলার বাইরের এলাকা থেকেও বিভিন্নজন তার কাছে ফোন করে এই বিবাহের সংবাদ জানতে চাচ্ছেন। তাদের এই বিয়েকে ঘিরে পুরো এলাকায় এখন একপ্রকার উৎসবের আমেজ বইছে। ভবিষ্যতে তারা দাম্পত্যজীবন যেন সুখে ও শান্তিতে কাটাতে পারেন এজন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন নবদম্পতি।


আরও খবর



শেষ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সকালে দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে।

গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে। মূলত এতদিন ছুটি না পাওয়া ও নানা কারণে রাজধানীতে থেকে যাওয়া মানুষরাই মূলত এখন বাড়ি ফিরছে। শেষ সময়ে জট কম থাকে এমন অভিজ্ঞতা থেকেও এখন বাড়ি ফেরার কথা বলেছেন যাত্রীরা।

খুলনাগামী যাত্রী শাহিন রেজা জানান, গতকাল জেনেছিলাম পথে অনেক যানজট, তাই রওনা হইনি। আজ ফজরের নামাজ পড়েই রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ পথে কোনো যানজট পাইনি। সুন্দর সড়কের কারণে স্বল্প সময়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেতে পারছি।

আরেক যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কাজ করি। ছুটি পাইছি গতকালকে। কিন্তু যেতে পারি নাই, তাই আজ বাসায় যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে একটা দিন অন্তত আনন্দ ভাগাভাগি করতে হবে। সকাল সকাল রওনা হয়েছি যেন ভোগান্তিতে না পড়ি, এসে দেখলাম রাস্তা আজ অনেকটাই ফাঁকা।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আয় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রাকিফ পুলিশের কাজ করার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



গড়াই নদীতে গোসলে নেমে ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ বাসিন্দাপাড়া জামে মসজিদের পাশে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই ভাই-বোন হলো- মোছা. সেফা (১৭) ও শাহাজাদা (১২)। সেফা উপজেলার জয়নাবাদ এলাকার শামিম হোসেনের মেয়ে ও শাহাজাদা কুমারখালী থানার আলমগীর হোসেনের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন।

জানা গেছে, নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২ টার দিকে দুজন গোসল করার জন্য নদীতে নামলে স্রোতের কারণে তারা নদীর তলে ডুবে গেলে পানি থেকে তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গড়াই নদীতে পরিবারের লোকজনদের সাথে গোসল করতে নেমে পানির প্রবল স্রোতের কারণে তলিয়ে যায় দুজনা। অনেক সময় ধরে পানির মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে উদ্ধার করলেও আর বাঁচাতে পারেনি পরিবারের লোকজন। একসাথে একই পরিবারের দুজনার মৃত্যুর কারণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জয়নাবাদ এলাকায়।

এ বিষয়ে চাঁপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মন্জু বলেন, নদীতে ডুবে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছি। মরদেহ দুটি এখন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে আছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, নদীতে ডুবে দুজনার মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনা স্থানে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর



চেক ডিজঅনার কেন হয়, টাকা পেতে যা করবেন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়াও নানা সময়ে চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। সেই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা যায়। আবার কেউ চাইলে চেকের বিপরীতে নগদ টাকাও ব্যাংক থেকে নিতে পারেন। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকে জমা দিয়ে এই টাকা উত্তোলন করতে পারেন গ্রহীতা।

তবে অনেক সময় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মূলত চেকে নামের মিল না থাকা, অ্যাকাউন্টধারীর অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, চেকে অ্যাকাউন্টধারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা কিংবা চেকে টাকার পরিমাণ অঙ্কে ও কথায় মিল না থাকার মতো কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এটিকেই চেক ডিজঅনার বলা হয়ে থাকে।

অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে যদি চেক ডিজঅনার হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ দেন। আর চেক ডিজঅনার হলে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করতে হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুণ অর্থ জরিমানা হতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার বিষয়ে ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান জানান, আইনে তিন গুণ জরিমানার কথা থাকলেও বাস্তবে সাধারণত আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা করেন না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই দোষীকে জরিমানা করেন আদালত। আবার বিবাদী যদি স্বেচ্ছায় জরিমানার টাকা না দেয় তবে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে টাকা আদায় করা যেতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রথমেই স্লিপ নিতে হবে। এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হবে। বিবাদী ওই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।

এক্ষেত্রে মামলার সময় বাদীকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে মামলার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মামলার আবেদনের সঙ্গে প্রসেস ফি জমা দিতে হবে।

চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর ও ৬ মাসের আগে গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার সঙ্গে সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ অর্থ গ্রহীতাকে দিতে হবে।

মামলা হওয়ার ৬ মাস পর ও এক বছরের আগে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার এক বছর পর ও দুই বছরের আগে উল্লেখিত অর্থ গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকা ও এর তিন গুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি টাকা না দেন, তবে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা ছাড়াও প্রয়োজন মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শ্যালককে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মোবাইল ফোনে তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় শুক্রবার রাতে লুৎফুল হাবীবকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ কথা নিশ্চিত করেছেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।

পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশসহ একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতের মধ্যেই লুৎফুল হাবিবকে নোটিশটি পাঠানো হবে। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে আগামীকাল শনিবার লুৎফুল হাবীবকে আরও একটি চিঠি পাঠানো হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন লুৎফুল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দলীয় এই নির্দেশনা অমান্য করলে লুৎফুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।

এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবীবকে তলব করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নোটিশে ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা, মারধর ও অপহরণের ঘটনার কথা তুলে ধরে আগামী তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবীবকে ফোন দিলেও কল না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে যান সিংড়ার সংসদ সদস্য এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে সোনার ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের বাজারে। গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারেও। বাজার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ভরিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

১ আউন্স = ২৮.৩৫ গ্রাম। আর ১ ভরি = ১১.৬৬ গ্রাম। সে হিসাবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় এক ভরি খাঁটি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যেখানে বর্তমানে দেশে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি চলে গেছে। কারণ মানুষ অস্থির পরিস্থিতিতে স্বর্ণে বিনিয়োগকেও অধিকতর নিরাপদ মনে করছেন।

সোনার ফিউচার ট্রেডিংয়ের (আগাম ক্রয়বিক্রয় চুক্তি) জন্য সবচেয়ে চাঙা বাজার ছিল গত বছরের জুনে। গতকাল সোমবার সেই বাজার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি ২ হাজার ৩৮৩ ডলার হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকবে।

মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গতকাল (১৫ এপ্রিল) একটি নোটে লিখেছে, সাম্প্রতিক সোনার বাজারের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে। এই বাজার রেকর্ড ইক্যুইটি সূচক স্তরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

গত শনিবার রাতে ইরান সরাসরি ইসরায়েলে ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যতিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বেশির ভাগ হামলাই ঠেকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছে।

বাজার পর্যবেক্ষকেরা ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিশোধ প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রাখছে। ইসরায়েল সরকার শনিবারের পর থেকেই ইরানকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এমন কোনো পদক্ষেপকে ওয়াশিংটন সমর্থন করবে না।

এরপরও ইসরায়েল প্রতিশোধ নিতে চাইলে এই সংঘাত উপসাগরীয় অঞ্চলও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ সোনার বেচাকেনা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম, আরও শক্তিশালী হবে মার্কিন ডলার। আর্থিক পরিষেবা সংস্থা কনোটক্সিয়া ফিনটেকের বাজার বিশ্লেষক বার্তোসজ সাউইকি এমনটিই মনে করছেন।

স্বর্ণ সব সময় মূল্যস্ফীতির বিপরীতে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বাজারে উচ্চমূল্য ধরে রাখে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিনিয়োগকারীরা যখন ইক্যুইটি বা শেয়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এড়িয়ে চলেন তখন স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।

গত শুক্রবার বুলিয়নের (খাঁটি সোনা) দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৪৪৮ দশমিক ৮০ ডলারে পৌঁছায়।

বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নানা নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

স্বর্ণের দাম সাধারণত সুদের হারের সঙ্গে বিপরীত সম্পর্ক রাখে। সুদের হার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডের মতো স্থায়ী মুনাফার সম্পদের তুলনায় সোনা বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও সোনায় বিনিয়োগ থেকে তুলনামূলক কম মুনাফা আসে।

গত মার্চে ধারণার চেয়েও বেশি মূল্যস্ফীতি কমে গেছে। এরপরও বিশ্লেষকেরা, স্বর্ণের বাজারে ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা দেখছেন। সরাসরি স্বর্ণ কেনার চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এটিকে বেছে নিচ্ছে মানুষ।

সিটির উত্তর আমেরিকার পণ্য গবেষণার প্রধান আকাশ দোশির নেতৃত্বে বিশ্লেষক দল বলছে, আগামী ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার হবে বলে আমাদের ধারণা। পাশাপাশি স্বর্ণের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যও প্রায় ১ হাজার ডলার থেকে ২ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।

গত শুক্রবার, গোল্ডম্যান স্যাস সোনার বাজারকে একটি অপ্রতিরোধ্য ঊর্ধ্বমুখী বাজার হিসেবে উল্লেখ করেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মূল্যবান ধাতুর দাম প্রতি আউন্স ২ হাজার ৩০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪