পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে ডাক্তার ও নার্সদের
অবহেলায় কলি বেগম (২১) নামে অন্তঃসত্তা এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার
রাতে উপজেলার আব্দুর রহমান হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার এ ঘটনায় নেছারাবাদ থানায় মৃত
কলি বেগমের স্বামী নূরে আলম শেখ একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসকসহ ৪
জনকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর আহম্মেদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চিকিৎসক মানবিক সরকার,
নার্স মোসা: শরিফা (২৭), নার্স মোসা: ইয়াসমিন (৩৪) এবং ক্লিনিক একাউন্ট ম্যানেজার মোসা:
উম্মে সালমা (৩৪)।
মৃত কলি বেগমের বাড়ি (২১) পিরোজপুরের নাজিরপুর
উপজেলার কলারদোয়ানীয়া এলাকায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নুর আলম শেখ বাদি
হয়ে নেছারাবাদ থানায় ডাক্তার আসাদুজ্জামান ও ডাক্তার মানবিক সরকার সহ ৭ জনকে আসামী
করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, নাজিরপুর উপজেলার
কলারদোয়ানিয়া গ্রামের নুর আলম শেখের অন্তঃসত্তা স্ত্রী কলি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের
লোকজন রবিবার দুপুরে নেছারাবাদ উপজেলার আব্দুর রহমান হাসপাতাল ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে
নিয়ে ভর্তি করেন। সন্ধ্যায় কলিকে সিজারিয়ান
অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। দীর্ঘ সময় পর নুর আলম স্ত্রীর শারীরিক খোজ
খবর নিতে গেলে কর্তব্যরত নার্সরা তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বলে তাকে জানান। রাত ৮টার
দিকে স্ত্রীর কোন খোঁজ খবর না পেয়ে নুর আলম ও স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারে যান এবং সেখানে অচেতন অবস্থায় অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে পান।
তৎক্ষনাৎ কলিকে ঐ ক্লিনিক থেকে উদ্ধার করে নেছারবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে নিয়ে
এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই সংবাদ পেয়ে নেছারাবাদ- কাউখালি
সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাবিহা মেহেবুবা ও ওসি জাফর আহম্মেদের নেতৃত্বে
পুলিশ হাসপাতালে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া জানান, গর্ভবর্তী ওই রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা
গেছেন।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর আহম্মেদ
বলেন, এ ঘটনায় মৃত কলি বেগমের স্বামী নূরে আলম শেখ বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে থানায়
মামলা করেছেন। মামলায় এক ডাক্তারসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না
তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।