আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদকপ্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদান শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে ওই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক।

ইউএনও মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাফর আহম্মেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রনী দত্ত, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী সাইফুদ্দিন তৈমুর প্রমুখ।

সভাশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

নিউজ ট্যাগ: জুলিও কুরি পদক

আরও খবর



পাথরঘাটায় ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার পাথরঘাটায় জালে পেচানো অবস্থায় ১০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা বন বিভাগের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কলেজের পিছনে খালের পাড়ে জালে পেচানো অবস্থায় সাপটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পাথরঘাটার একটি সংরক্ষিত বনে উদ্ধারকৃত অজগর সাপটিকে অবমুক্ত করা হয়।

পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খান বাড়ির বাগানে সালমা বেগম নামের এক নারী দেখতে পায়। তখন সাপটি ফোঁস ফোঁস করে শব্দ করতে থাকে। এ সময় ওই নারী ভয়ে পেয়ে দৌড় দিয়ে বাড়ির মধ্যে যায়। পরে আমাদের খবর দিলে বন বিভাগকে জানালে, তারা এসে সাপটি উদ্ধার করে।

বন বিভাগের উদ্ধারকর্মী বোটম্যান চিন্ময় মজুমদার বলেন, এটি একটি অজগর সাপ। আমরা উদ্বার করে পার্শ্ববর্তী বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



মমতার পদত্যাগের দাবিতে রণক্ষেত্র কলকাতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের কলকাতার বহুল আলোচিত আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে রাজ্য সচিবালয় ঘেরাও করেছে হাজার হাজার মানুষ। আর তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাসের সেল ও জলকামান নিক্ষেপ করেছে দাঙ্গা পুলিশ।

অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় অভিমুখে নবান্ন অভিযান শুরু করেছে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের এক দফা দিবিতে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ডাকে শত শত মানুষ সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার লক্ষ্যে দাঙ্গা পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, প্রতিবাদ মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি দেয়া হয়নি ছাত্র-জনতাকে। এ ছাড়াও শাসক তৃণমূল কংগ্রেস গতকাল সমাবেশে সহিংসতা তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের যেকোনও পথ থেকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।

গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নাড়িয়ে দেয় পুরো ভারতকে।

এরপর থেকেই বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন।


আরও খবর
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য রোববার (২৫ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ  করার ঘটনায় তলবে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা। এই ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন,জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। সেদিন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের নির্ধারণ করা হয়।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

একইসঙ্গে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। ২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।

১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মিছিল সমাবেশও করে আসছে।

গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন-সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।

তিনি বলেন, ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত-এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্র চাই। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্র কী? শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। ভোট দিয়ে রাজা ও মন্ত্রীর পরিবর্তনই গণতন্ত্র নয়। যে গণতন্ত্র মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা, বেকারের চাকরির সংস্থান ও দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি ঘটাতে না পারে-বঙ্গবন্ধু সে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত হবে না, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উন্মেষ ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হবে না, শুধু ভোট দিয়েই এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছি, সে অবস্থায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আবহ ও প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সবকিছু মাথায় নিয়ে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‌সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?


আরও খবর



কষ্ট আর ঝুঁকি নিয়েই গণরুমে থাকছেন রাবির ছাত্রীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

দুই বেডের মাঝখানে মাত্র এক বা দুই ফুটের দূরত্ব। একটি রুমের মধ্যে সাজানো ১৫, ২০, ৩০ কিংবা ৫০টি বেড। হয়তো এ রুমের ধারণক্ষমতা ৫০ জন। কিন্তু ডাবলিং করে থাকছেন ১০০ জন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের ছয়টি হলের চিত্র অনেকটাই এ রকম। কয়েকটি গণরুমে গাদাগাদি করে থাকেন প্রায় দেড় হাজার ছাত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছেন ২৬ হাজার ৩৭০ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ২৯৩ জন ছাত্রী। যেখানে ছয়টি হলে ৪ হাজার ২০৪ জন ছাত্রী অবস্থান করছেন। বাকি ৫ হাজার ৮৯ জন এখনো আবাসিক সুবিধা পাননি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গণরুম যেন এক জেলখানা। হলের গণরুমের বৈদ্যুতিক লাইনে প্রায়ই শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। খালেদা জিয়া হলে রিডিং রুম থাকলেও অধিক শিক্ষার্থীর কারণে সেখানে সবার জায়গা সংকুলান হয় না। আর চারটি গণরুমের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য বাথরুম মাত্র আটটি। বঙ্গমাতা হলে ৮০টি সিটের গণরুমে জানালা রয়েছে মাত্র চারটি। ফলে সব সময় সেখানে প্রচুর গরম। এ অবস্থায় বসবাস অনুপযোগী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্নুজান হলের চারটি গণরুমে দুই শতাধিক, তাপসী রাবেয়া হলের দুটি গণরুমে ২৮০ জন, খালেদা জিয়া হলের দুটিতে প্রায় ২০০ জন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের একটিতে ২১০, বেগম রোকেয়া হলে পাঁচটিতে প্রায় ২৫০ ও রহমতুন্নেছা হলের কয়েকটি গণরুমে প্রায় ২৫০ জন ছাত্রী থাকেন।

ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দরিদ্র পরিবার থেকে আসা অনেক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। যাদের হলে না থাকলে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে হাজার কষ্ট হলেও তারা গণরুমে থাকতে চায়। একটি গণরুমে ১৫০ শিক্ষার্থীর ধারণক্ষমতা থাকলেও ২৫০ জনের মতো শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফলে সমস্যা তৈরি হয়। হলে রুমের সংখ্যা বাড়াতে পারলে কিছুটা কষ্ট কমবে।

খালেদা জিয়া হলের গণরুমে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাইরে থেকে প্রথমবার কেউ গণরুমগুলোকে আসলে বস্তির সঙ্গে তুলনা করেন। শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। চারটি গণরুমের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য বাথরুম মাত্র আটটি, তার মধ্যে দুটি বাথরুমের দরজা আটকানো যায় না।

মন্নুজান হলের গণরুমে থাকা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‌গণরুমের পরিবেশ একদমই অস্বাস্থ্যকর। আমাদের পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নেই। হলে নেই ওয়াইফাই সুবিধা। মাঝেমধ্যেই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়, ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়। সবসময়ই ঝুঁকিতে থাকি। এছাড়া রান্নার কোনো পরিবেশ নেই বললেই চলে।

জানতে চাইলে মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ আশিয়ারা খাতুন বলেন, আমরা সার্বিকভাবে মনিটরিং করে ছাত্রীদের সমস্যা খতিয়ে দেখছি। ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করছি। উপাচার্য স্যারের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে সমস্যাগুলো নিরসনে কাজ শুরু করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব বলেন, ‌আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সমস্যাগুলো প্রশাসন অবগত। হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি। হলে ওয়াইফাই সুবিধা থেকে শুরু করে বাথরুমের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল নির্মাণাধীন। সেখানে সিট সংখ্যা এক হাজার। ফলে কিছুটা সংকট কাটিয়ে নতুন করে জায়গা দেওয়ার সুযোগ হবে।


আরও খবর



বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির নতুন চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বিপদে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং তাদের সহযোগীরা। একে একে পদ হারাতে শুরু করেছেন তারা। সেই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরেই চলছে পালাবদল। ক্রীড়াঙ্গনও তার ব্যতিক্রম নয়। বিসিবি এবং বাফুফে থেকে পদ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নির্বাহী সভা ডেকে ছিল বাফুফে। যেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানকে বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়াম্যান করা হয়েছে। ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের তিন দিন পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সালাম মুর্শেদী। আওয়ামী লিগের এমপি এবং বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

এ বছরই পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট সালাউদ্দিন। তার স্থানে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানও ইমরুল হাসান। আবার বাফুফের আরও একটি নতুন দায়িত্ব নিতে হচ্ছে তাকে।

উল্লেখ্য, কাজী সালাউদ্দিনের পর বাফুফের আরেক শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ২০০৮ সাল থেকে টানা ১৬ বছর বাফুফেতে সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালের পর টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ায় বাফুফেতে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি এবং অভিযোগ পেলেও ব্যবস্থা নেয়নি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ফিফা থেকে শাস্তি পেলেও বাফুফের সহসভাপতি পদে অব্যাহত থাকেন তিনি। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর পদত্যাগ করেন সালাম মুর্শেদী।


আরও খবর
দলের সঙ্গে এখনো যোগ দেননি সাকিব আল হাসান

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪