আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের দায়ে রমজান বেকারীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদার উপজেলার সোহাগদলের হাজিরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে উক্ত টাকা জরিমানা করেন।

অপরদিকে একইদিন বিকেলে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ইন্দুরহাট বন্দরের ইউসুফ হোটেলকে ৩ হাজার টাকা ও দক্ষিণ কৌরিখাড়া খেয়াঘাট এলাকায় কিছুক্ষণ হোটেলকে ১ হাজার ও মোস্তাকিন রেষ্টুরেন্টকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক দেবাশিষ রায় ওই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সেনিটারী ইন্সপেক্টর গাজী মো. হারুন অর রশিদ ও থানা পুলিশের একটি টিম সহায়তা করে।

ইউএনও মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



হরতাল অবরোধে বিপাকে পড়েছে মেহেরপুরের ফুলকপি চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

অনুকুল আবাহওয়া আর প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় মেহেরপুরের গাংনীতে ফুলকপির আবাদ ভালো হলেও তা রপ্তানি করতে না পারাই চাষীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। বিশেষ করে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে বর্গা চাষীদের। উৎপাদন ব্যয় বেশি হলেও কপি বিক্রির অর্থ অনেক কম।

কৃষি বিভাগ বলছে, চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ায় উৎপাদন ভালো হয়েছে। আর ব্যবসায়ী বলছেন, হরতাল ও অবরোধে রপ্তানী বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কপির দর পতন।

গাংনী কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২০৩ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হেক্টর বেশি। এখান মাটি ও আবহাওয়া দুই সবজি চাষের উপযোগি। বিশেষ করে ফুলকপি দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা এ আবাদে ঝঁকে পড়েছে। অনেকেই জমি লিজ ও বর্গা নিয়ে ফুলকপির আবাদ করছেন। বিষমুক্ত সবজী চাষে চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমের দুই তিন জমিতে তিনি ফুলকপি আবাদ করেছেন। বিঘা পতি উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুলকপি রপ্তানি করা সম্ভব হলে উৎপাদন খরচের দ্বিগুন লাভ হতো। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারনে কপি রপ্তানি করতে না পারায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ উঠছেনা।

বর্গা চাষী নওপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান জানান, তিনি এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ফুলকপি আবাদ করেছিলেন। লিজ খরচসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। আর সেই কপি বিক্রি হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকায়। এতে মোটা অংকের টাকা লোকসান হয়েছে তার।

একই কথা জানালেন বর্গাচাষী সামীম হোসেন। তিনি দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে ফুলকপি আবাদ করেছিলেন। এক বিঘা জমির কপি ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাকি এক বিঘা কপির দাম হাঁকছেন ২০ হাজার টাকা। এতে মোটা অংকের টাকা লোকসান গুনতে হবে তাকে।

বামন্দী বাজারের কয়েকজন সবজী ব্যবসায়ী জানান, এমনিতেই ভরা মৌসুমে সবজীর দাম কিছুটা কম থাকে। তার উপর হরতাল ও অবরোধের কারনে কপি রপ্তানি করতে পারছেনা চাষীরা। তাই দর পতন।


আরও খবর



মোংলায় ৮০০ টন কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজ ডুবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

জেলার মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ নামক কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে পশুর নদীর কানাইনগর সংলগ্ন এলাকায় তলা ফেটে লাইটারটি ডুবে যায়।

এরআগে, সকাল পৌনে ৯টার দিকে চরে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে কানাইনগর এলাকায় আটকে যায় ৮০০ টন কয়লা বোঝাই জাহাজটি। তবে লাইটারে থাকা ১২ জন কর্মচারী তাৎক্ষণিকভাবে সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।

লাইটারটি হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থানরত একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। জাহাজটি ডুবে গেলেও চ্যানেলে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজটি কয়লা বোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়া ঘাটে যাচ্ছিল। পশুর নদীর কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে চরে ধাক্কা লেগে লাইটারটির তলা ফেটে যায়। পরে দুপুরের দিকে জোয়ার আসলে লাইটারটি ডুবে যায়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মালিকপক্ষ লাইটারটিকে উদ্ধার করবেন বলে জানান এই শ্রমিক নেতা।


আরও খবর



মসিউর রহমান রাঙ্গার মনোনয়ন স্থগিত

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সাবেক মহাসচিব এবং রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার মনোনয়ন স্থগিত করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

শনিবার রংপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তার মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।

বিকেল ৪টার মধ্যে মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখে মনোনয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এবারের সংসদ নির্বাচনে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মনোনয়ন দেয়নি জাতীয় পার্টি (জাপা)। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জাপা মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু ২৮৯ আসনে দলের মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের যে নাম ঘোষণা করেছেন সেই তালিকায় নেই রাঙ্গার নাম।

রাঙ্গাকে মনোনয়ন না দেওয়ার ব্যাখ্যায় চুন্নু বলেন, তাকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এজন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও দল থেকে বহিষ্কৃত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার নির্বাচনী আসন রংপুর-১। এবার সেখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।


আরও খবর



সরে দাঁড়ালেন ইমরান খান, পিটিআইয়ের নতুন চেয়ারম্যান গহর আলী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলটির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার গহর আলী খান। এছাড়া দলটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ওমর আইয়ুব খান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের সদ্য সাবেক প্রধান ইমরান খান তাদের এ পদে মনোনীত করেন। শনিবার পিটিআইয়ের কয়েকটি পদে ভোটাভুটি হয়। এরপর পিটিআইয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি জানান, ব্যারিস্টার গহর আলী খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

একইসঙ্গে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে আলী আমিন এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ইয়াসমিন রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিটিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর পেশোয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার গহর আলী বলেন, তিনি ইমরান খানের প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যতদিন আমি এখানে আছি, ইমরান খানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করব যিনি তার নীতিগত সংগ্রামের কারণে জেলে আছেন।

আরও পড়ুন>> স্যাটেলাইট আটকালে যুদ্ধ বাধিয়ে দেবে উত্তর কোরিয়া

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, দলীয় নেতৃত্ব অনেক মামলার মুখোমুখি হলেও আদালত থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। এখনও দলের অনেক নেতা আন্ডারগ্রাউন্ড বা কারাগারে রয়েছেন।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রির পদ হারানোর পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ইমরানের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা করা হয়েছে যাতে নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে না পারেন। তোশাখানা (রাষ্ট্রীয় উপহার) দুর্নীতি মামলায় ইমরানের তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। এ মামলায় বর্তমানে সাজা স্থগিত রয়েছে। তবে কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় ইমরান কারাগারে আছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ইমরানকে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তিন বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করলেও মুক্তি পাননি তিনি। এ মামলায় তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

গত বছর ইসলামাবাদে একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন ওয়াশিংটনের পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেটি প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পিটিআই দাবি করছে, নথিতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও আসামি করা হয়েছে।


আরও খবর



১০ ডিসেম্বর দেখে পরবর্তী কর্মসূচি দেবে বিএনপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
জামায়াতে ইসলামীকে সক্রিয়ভাবে পাশে চায় বিএনপি। এ নিয়ে উভয় দলের হাইকমান্ডের মধ্যে কয়েক দফা কথাবার্তাও হয়েছে।

হরতাল-অবরোধের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই কর্মসূচির সময় নির্বাচনকালীন প্রশাসন কী ভূমিকা রাখে, তা পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়ন করার চিন্তা করছে সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দেশের এই অন্যতম বিরোধী দল।

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, তফসিল ঘোষণার পর দেশে বর্তমানে নির্বাচনকালীন প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে- সরকারের পক্ষ থেকে এ রকম দাবি করা হচ্ছে। এই প্রশাসন বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মানববন্ধন কর্মসূচি কীভাবে পালন করতে দেয়, তা থেকেই স্পষ্ট হবে, আসলে তারা কোন ভূমিকা রাখতে চলেছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানাচ্ছেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্র্যাকডাউন চলছে। যে নেতাকর্মীরা এখনও গ্রেপ্তার হননি, মামলা থাকায় তারাও আত্মগোপনে আছেন। ঢাকাসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব নেতাকর্মীর বাড়িতেই হামলা-লুটপাট চলছে। তাই নেতাকর্মীদের কেউই বাইরে বের হতে পারছেন না। এই অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির এখন প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে- ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আত্মগোপনে গিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানো নেতাকর্মীদের রাজপথে উপস্থিত করা; পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষিত হওয়ার পরও বিএনপিকে মাঠে আসতে দিতে চাইছে না সরকার। সে কারণেই সরকার বিএনপির বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের এখনও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে চলেছে। এমনকি পেশাজীবীদের সমাবেশ থেকেও নেতাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ-এসএসপি ও শ্রমিক দলের যৌথ উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ হয়। এই সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নির্ধারিত সময়ের আগেই বক্তব্য দিয়ে চলে যান। তবে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা থাকলেও ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে বিক্ষোভ-সমাবেশজাতীয় কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

এদিকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত রবিবার রাতে ভার্চুয়ালি দলটির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। তাতে নতুন কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত এক নীতিনির্ধারক জানান, বৈঠকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি দেওয়া হবে। আগের মতো দুই দিবসেই যথাক্রমে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী বেদিতে ও সাভারে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার চিন্তা করছে বিএনপি।

এ ছাড়া এক দফার ভিত্তিতে যুগপৎ এবং যুগপতের বাইরে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলকে নিয়ে ঢাকায় গণমিছিল, পেশাজীবীদের উদ্যোগে সারা দেশে সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে পরবর্তী এক মাস কঠোর আন্দোলেন পরিচালনার বিষয় নিয়ে গত রবিবারের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীকে সক্রিয়ভাবে পাশে চায় বিএনপি। এ নিয়ে উভয় দলের হাইকমান্ডের মধ্যে কয়েক দফা কথাবার্তাও হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের অন্য শরিকদের কাছেও এ বিষয়টি তুলেছে বিএনপি। তারা এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে, তার ওপরও নির্ভর করছে আন্দোলনের বিকল্প কর্মসূচির ধরন।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা সরকার পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনে আছি। এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সরকারের আচার-আচরণই বলে দেবে আমাদের আন্দোলনের চরিত্র কেমন হবে।

বিএনপি তার মিত্রদের নিয়ে গত ১২ জুলাইয়ের পর থেকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সরকারের এক দফার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ দলটির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেয়। এরপর থেকে বিএনপি হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে।


আরও খবর