আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বর্ণ গায়েব করে চাকরি হারালেন এসপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ মে ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ মে ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধারের পর মাদক বানিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আলতাফ হোসেন ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে পরের বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ছিলেন। এখন ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

তার দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক সোনা কারবারি আটক হন। তার কাছ থেকে ১২০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। পাটকেলঘাটা থানায় উদ্ধার করা সোনার জব্দ তালিকাও করা হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কিন্তু ওই ঘটনায় থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রেকর্ড না হয়ে মাদক মামলা রেকর্ড হয়। স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনাটিকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাজানোর বিষয়টি জানা সত্ত্বেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেননি আলতাফ হোসেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ২০১৯ সালে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর তার ব্যাখ্যাও নেওয়া হয়। পরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করেন। সেখানে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

আলতাফ হোসেনের জবাব পর্যালোচনা করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আলতাফ হোসেনের চাকরিচ্যুতির ওই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর (খ) অনুযায়ী আনা অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বিধিমালার ৪(৩) গ বিধি মোতাবেক গুরুতর দণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর



পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৫ জন। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি গাজার খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চলে নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

এদিকে ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার আল-জাজিরাকে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ের পরিবারের আরও সদস্য এর আগে নিহত হয়েছেন। তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৫৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৪ জন।


আরও খবর



ট্রলের জবাবে যা বললেন রাশমিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দফায় দফায় বিতর্কের মুখে পড়েছে রণবীর-রাশমিকার অ্যানিমেল ছবি। নারীবিদ্বেষীর তকমা মেলে। সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার একটি অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পর্দার গীতাঞ্জলি

তিনি বললেন, রণবীরের চরিত্র বিজয় তার বাবার জন্য যত দূর ইচ্ছে যেতে পারে। মাথার মধ্যে বিশৃঙ্খল চিন্তাভাবনা। ছবির শুটিংয়ের সময় এই কথাটা মাথায় গেঁথে নিয়েছিলাম আমি। এটা নিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। কারণ এই চরিত্রকে ঘিরেই গল্প। ছবির স্বতন্ত্রতা, পটভূমি ও প্রকৃত স্বাদ বজায় রাখার নিদর্শন এই ছবি। ছবি দেখার পর নারীবিদ্বেষী বা অন্য কিছু বলে লাভ নেই। ছবি যদি উপভোগ করে থাকেন তা হলে এই বিষয়গুলো বাদ দিন।

রণবীরের সঙ্গে তৃপ্তি ডিমরির সাহসী দৃশ্য, রাশমিকার অভিনয় এমনকি শারীরিক গঠন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দর্শকের একাংশ। নারীদের শারীরিক গঠন নিয়ে ট্রলিং সমর্থন করি না। আমার সংলাপ বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ট্রল করা হলে অসুবিধা নেই, বলেন রাশমিকা মান্দানা।

রাশমিকার হিন্দি সংলাপ নিয়েও দর্শকের সমালোচনার শিকার হন এই দক্ষিণী তারকা। তার কথায়, সেটে সবাই করবাচৌথের দৃশ্যটি পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর আমাকে ওই দৃশ্য নিয়ে ট্রল করা হয়। আমি কিন্তু ভেবেছিলাম, এই ৯ মিনিটের দৃশ্যটি আমি খুব ভালো করেছি। তা হলে কি আমি বুদবুদে বাস করছিলাম এতদিন? আমি জানি, আমি যা করছি সবই সুন্দর নয়। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম, ছবি মুক্তি পাওয়ার পর অধিকাংশ দর্শকের কাছে আমার এই দৃশ্যটি প্রশংসা পেয়েছে, তখন বুঝলাম প্রথম থেকে আমার ভাবনা সঠিক ছিল।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকার ঘোষণা এরদোয়ানের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আজ বুধবার নিজ দল একে পার্টির (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, আমাকে একঘরে করে রাখলেও আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমন অবস্থায় এরদোয়ান বলেছেন, যতক্ষণ আমার শরীরে প্রাণ আছে আমি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবো। তাদের সংগ্রামের সঙ্গে থাকবো।

হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানতেও নারাজ এরদোয়ান। হামাস যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একমাত্র সাহসী জাতি যারা হামাসকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন মনে করি।

এরদোয়ান বলেন, যখন কেউ কথা বলেনি, আমরা বলেছি। জাতিসংঘে আমরা দাঁড়িয়ে বলেছি হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়।


আরও খবর