আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হেফাজত নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেছেন। সোমবার (১৯ এপিল) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় এ বৈঠক হয়।

বাসভবনে প্রায় একঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে নেতারা বেরিয়ে যান। তবে, এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বৈঠকের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এর আগে, রাত ১০ টার দিকে মন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠক শেষে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম অসুস্থতার কথা বলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যান

তবে, একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, হেফাজত মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী, মামুনুল হকের ভাই মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (দেওনার পীর), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে হেফাজতের কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি হেফাজত ইসলামের তাণ্ডব ও মামুনুল হকসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে মূলত এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সমঝোতায় আসা যায়, সে চেষ্টাই করছেন হেফাজত নেতারা।


আরও খবর



শনিবার ছুটিতে ফিরতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শনিবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সাময়িক। আগামী ঈদুল আজহার পরে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না-ও লাগতে পারে।

রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৯ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। সে জন্য শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। ঈদুল আজহার পরে শনিবার খোলা রাখা না-ও লাগতে পারে

এর আগে এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টায় গণভবনে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন তিনি।

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে।

পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭। বোর্ডের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।


আরও খবর



বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২৭তম বছরে পদার্পণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের মহান নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হতো না। কৃতজ্ঞতা জানাই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে- যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

ঢাকার প্রথম তিন তারকা হোটেল ছিল হোটেল শাহবাগ। নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৬ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ভবনটি নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের স্থান হিসেবে নির্বাচন করেন। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরে এ ভবনেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে এটিকে সংস্করণ করে হোটেলে রূপান্তর করা হয়, যা ঢাকার প্রথম আন্তর্জাতিক হোটেল। পঞ্চাশের দশকে বিদেশি অতিথিদের আবাস ও আহারের ব্যবস্থা, বড় আকারের অভ্যর্থনা সবই এখানে হতো। এটিই বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগে এর নাম ছিল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ। সাধারণ মানুষের কাছে পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ” এবং ইফতিখার-উল-আউয়াল সম্পাদিত ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরী: বিবর্তন ও সম্ভাবনা বইটিতে এই হাসপাতাল তৈরির ইতিহাস লেখা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের জন্য শাহবাগের এই জায়গা অধিগ্রহণ করে সরকার। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৬৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপদেষ্টা স্যার জেমস ডি এস কেমেরন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক এ কে এস আহম্মদকে নিয়ে এই ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠে। পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠিত স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের সঙ্গে এটি যুক্ত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের অনুরোধে তৎকালীন মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী মুসলিম লীগের পরিত্যক্ত ভবনটি (ব্লক-এ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে এখানেই পিজি হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। তবে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল মহান জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। এখন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন সময়ে দেশের ১৩টি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নিপসমসহ পাঁচটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম হচ্ছিল না। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দেশে একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সব মেডিকেল কলেজের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে আসছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, ৬৯-এর ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দেওয়া ১১দফার মধ্যেও চিকিৎসকদের দাবির কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও আইপিজিএমআর শিক্ষক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারও আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ নেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ৫১টি অধিভুক্ত মেডিকেল/নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের ছাত্রদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, বতসোয়ানা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ১০০ বিদেশি ছাত্র বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ১০ হাজার নতুন ও পুরাতন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এখন আটটি অনুষদসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরও সুশৃঙ্খল এবং ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা। আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সকল মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ভরসাস্থল হিসেবে।

রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অর্থোস্কোপিক সার্জারী ও অর্থোপ্লাস্টি, হ্যান্ড এন্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি ও ইউমিনো রিউম্যাটোলজি।

মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনে মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো পরপর দুটি ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভারসহ অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সকল শিক্ষক, ছাত্র, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে সাফল্য নিয়ে। প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ- দেশি-বিদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের ছাত্র এবং তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ নিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চিকিৎসক সমাজের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি যেমন বাস্তবায়ন করছেন, তেমনি এদেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিকিৎসক সমাজ কৃতজ্ঞতার সাথে চিরদিন স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।

রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাব, ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



আগামী ৭ জুন শেষ কর্মদিবস

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গেটস ফাউন্ডেশনের থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। দাতব্য সংস্থাটির কোচেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিশ্বের একসময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা সোমবার তার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন সোমবার এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এটা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নয়, যেটা আমি হালকাভাবে নিয়েছি।

ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। তারপর থেকে ঐ সংস্থার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলিন্ডা বলেছেন, তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি অনুসারে, তিনি অতিরিক্ত ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবেন। এই অর্থ তিনি নারী এবং চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে ব্যবহার করবেন।

তবে এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

এদিকে বিল গেটস এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলেছেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়া দেখে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সে তার ভবিষ্যতের জনহিতকর কাজে বিশাল প্রভাব ফেলবে।

মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তৎকালীন স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিল-মেলিন্ডা জুটি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। তবে তারা যৌথ জনল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া: বাইডেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরায়েলকে সাহায্যের জন্য মরিয়া বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ এক মতামত কলামে বাইডেন লিখেছেন, এই দুটি দেশ নিজেরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম, কিন্তু সেটা করতে তারা সমরাস্ত্র সহ আমেরিকান সাহায্যর উপর নির্ভর করে।

ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য সিনেটে পাস হওয়া সাহায্য প্রস্তাবকে বাইডেন শক্তিশালী এবং বিচক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, রিপাবলিকান দলের হাউস সদস্যদের ছোট একটি উগ্রবাদী গ্রুপের উচিত হবে না এই প্রস্তাবকে আটকে রাখা।

জার্নাল পত্রিকায় বাইডেন যুক্তি দেন যে এই সাহায্য ইউক্রেনের দরকার, যাদের গোলা-বারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের ড্রোন আক্রমণের পর ইসরাইলের সাহায্য দরকার।

তবে তিনি বলেন, এই সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও একই গুরুত্ব বহন করে।

বাইডেন বলেন, ইউক্রেন এবং ইসরায়েল দু’দেশই নির্লজ্জ প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে, যারা তাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। পুতিন ইউক্রেনের জনগণকে বশে এনে নতুন রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে চান। ইরানের সরকার ইসরাইলকে চিরতরে ধ্বংস করে বিশ্বের মানচিত্র থেকে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র মুছে ফেলতে চায়। এরকম ফলাফল আমেরিকার কখনোই মেনে নেয়া উচিত না। এটা শুধু আমাদের মিত্রদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যই নয়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাও এখানে জড়িত আছে।

তিনি রিপাবলিকানদের অভিযোগ, যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইয়ে টাকা খরচ করার সামর্থ্য আমেরিকার নেই, তার জবাবে বলেন, এই সাহায্য একটি সাদা চেক’ হিসেবে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের জন্য সমরাস্ত্র কারখানা তৈরি করা হবে আমেরিকায়।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে ভোট, নেই ভোটার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি উপজেলা (বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুরে) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভোটারের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে দুটি উপজেলার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কয়েকজন ভোটার লাইনে দাড়িয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রদান করেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি।

ভোটকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ ও মোবাইল কোর্টের তৎপরতা দেখা গেছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়ন করা হয়েছে বিজিবি ও র‍্যাব।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ দুটি উপজেলায় মোট ৮ জন চেয়ারম্যান ও ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

এ দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৬০জন। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৩ জন ও হরিপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৯৭জন। আর দুটি উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯০টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮০৮টি।


আরও খবর