আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

স্বপ্নের পদ্মা সেতু: লাভবান হবেন বাগেরহাটের খামারিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণাঞ্চলের প্রান্তিক জেলা বাগেরহাটের মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম কৃষিকাজ। তবে কৃষিনির্ভর জীবিকার এ জেলায় আজীবনই উপেক্ষিত কৃষকরা। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য আর সিন্ডিকেটের প্রভাবে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন তারা। তাই রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে উৎপাদিত ফসল বিক্রির সময় হাসির বদলে মুখটা মলিন থাকে তাদের। অনেকটা লাভের গুড় পিঁপড়ায় খাওয়ার মতো অবস্থা। বাগেরহাটের হাজারো চাষি আর কৃষকের জীবনের নির্মম বাস্তবতা এটিই। কৃষক পর্যায় থেকে খুচরা বাজারে আসতে কৃষি পণ্য কয়েক হাত বদল হয়। এতে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম তিন-চার গুণ বেড়ে যায়। ফলে লাভের সব টাকা চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে।

তবে কৃষকদের সেই কষ্ট আর গুমরে ওঠা কান্নার বাস্তবতা অতীত হতে চলেছে। উদ্বোধন হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু দিয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য, সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ সহজেই ঢাকার বাজারে নিয়ে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন বাগেরহাটের কৃষক-চাষিরা। এতে একদিকে যেমন লাভবান হবেন তারা, অন্যদিকে পণ্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা কমে যাবে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার সাদুল্লাহপুর গ্রামের চাষি শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনটি ঘেরে গত বছর লাউ, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়াসহ কয়েক প্রকার সবজির চাষ করি। উৎপাদনও ভালো হয়। কিন্তু দেড় লাখ টাকা খরচে লাভ হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। অথচ এই সবজি স্থানীয় ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি না করে যদি ঢাকায় পাঠাতে পারতাম, তাহলে লক্ষাধিক টাকা লাভ হতো। পদ্মা সেতু চালুর খবরে ইতোমধ্যে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সরাসরি সবজি নেবেন বলে কথা দিয়েছেন। খানপুর এলাকার গাউস মল্লিক ১০ বিঘা জমিতে বর্ষাকালীন বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন দুই দশক ধরে। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে উৎপাদিত সবজি কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই আমরা। এখন পদ্মা সেতুর ফলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে যাবে। তবে সিন্ডিকেট ও ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য কমাতে প্রশাসনের সহযোগিতাও প্রয়োজন।

জেলার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া এলাকার সবজি চাষি আব্দুল হাকিম শেখ বলেন, শীতকালীন সবজির জন্য এ অঞ্চল প্রসিদ্ধ। আগে নদীর পাড়ে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে আমরা ঢাকার বাজারে সময়মতো কৃষিপণ্য পৌঁছাতে পারতাম না। পথেই অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যেত। তাই স্থানীয় বাজারে বা ফড়িয়াদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হতো। এখন সেতু দিয়ে সহজেই আমরা গাড়ি ভাড়া করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সবজি পাঠাতে পারব। এছাড়া ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাগেরহাটে এসে সবজি কিনতে পারবেন।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটে কৃষক পরিবার রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৮টি। চলতি অর্থবছরে জেলায় ধান উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন। সবজি উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। বাগেরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা। বাগেরহাট থেকে বছরে অন্তত ৭০ হাজার মেট্রিক টন সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যায়। সেতুর ফলে কম খরচে, অল্প সময়ে এই কৃষিপণ্য পৌঁছে যাবে সর্বত্র। জেলার কৃষি বাণিজ্যিকীকরণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে চলেছে।

সরেজমিনে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, ডেমা, কাশিমপুর এলাকার একাধিক মৎস্যচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিংড়ি ও কার্পু জাতীয় মাছসহ (রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, পারসে, বেলে, তেলাপিয়া, পাতাড়ি) উৎপাদিত মাছের বড় অংশের বাজার ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা। দূরবর্তী জায়গা হওয়ায় প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ফড়িয়া ও আড়তদারদের কাছে মাছ বিক্রি করে দিতে হয়। এতে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না প্রান্তিক চাষিরা।

স্থানীয় চাষিরা সরাসরি ঢাকার বাজার ধরতে না পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন ফেরি পারাপারজনিত সংকটকে। সময় মতো ফেরি না পাওয়ায় পদ্মা নদীর পাড়েই তাদের কাটাতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আবার চাইলেও প্রক্রিয়াজাত করে মাছ নিয়ে ঢাকায় যেতে পারেন না দরিদ্র চাষিরা। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে বাগেরহাট থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। ফলে ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাষিরা সরাসরি ঘের থেকেই মাছ গাড়িতে করে ঢাকায় পাঠাতে পারবেন।

তিন যুগের বেশি সময় ধরে মিশ্র চিংড়ি (বাগদা, গলদা) ও সাদা মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত কাড়াপাড়া এলাকার মানিক শিকদার। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের অনেক লাভ হবে। আগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার দিয়ে চিংড়ির রেনু পোনা এসে মাওয়া ফেরিঘাটে ১৫-২০ ঘণ্টা অপেক্ষা করত। ঘের পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক পোনা মারাও যেত। তবে এখন আর আমাদের সেই সমস্যায় পড়তে হবে না।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬৬ হাজার ৭১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬৮৫টি বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। জেলায় চাষি রয়েছেন প্রায় ৫৬ হাজার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাড়ে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ হাজার মেট্রিক টনে। টাকার অংকে বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই সময়ে সাদা মাছ উৎপাদন হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টন। টাকার অংকে মূল্য ১৪ হাজার কোটি টাকা।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, বাগেরহাটের স্থানীয় চাষিরা পুকুর-ঘের থেকে যে মাছ ফজরের সময় ধরবেন, সকাল ১০টার মধ্যে সেই মাছ পাওয়া যাবে ঢাকার বাজারে। এতে চাষি যেমন লাভবান হবেন, তেমনি রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভোক্তারা টাটকা মাছ পাবেন। বাগেরহাটের মাছের বড় অংশের ক্রেতা রাজধানী শহরের মানুষ। এখন থেকে চাষিরা সহজেই মাছ ঢাকার বাজারে পাঠাতে পারবেন। এর মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যাবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মধ্যে বাগেরহাট সবচেয়ে বেশি উন্নত হবে। অর্থনৈতিকভাবে এ জেলায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো। কৃষকরা যেমন ন্যায্যমূল্য পাবেন, তেমনি তাজা ও টাটকা কৃষিপণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে দেশের অন্য জেলায়। পাশাপাশি পর্যটন ও বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর



মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিলেন খলিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার গরুর মাংসের দাম বাড়ালো আলোচিত ব্যবসায়ী খলিল। কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করা হয়েছে। ২৫ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেও ১০ রোজা শেষে দাম বাড়িয়ে দিলেন। রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের এই ব্যবসায়ী।

খলিল জানান, নানামুখী চাপে আছেন তিনি। খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে পোষাতে পারছেন না। এতে লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্রেতাদের ভিড় হওয়ায় বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।

এর আগে, বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন খলিলুর রহমান ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ খলিল গোস্ত বিতান থেকে মাংস কিনছেন। গত শুক্রবার তিনি এক কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন।

বাজারের দরের চেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে ব্যাপক সাড়া পান খলিলুর রহমান।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




এবার ঈদযাত্রায় যানজট ও দুর্ঘটনা কম হয়েছে : বিআরটিএ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত কয়েকবছরের তুলনায় এবার সড়ক-মহাসড়কে যানজট কম হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা অনেক নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়েছে। যানজট ও দুর্ঘটনা এবার কম ছিল। ফিরতি যাত্রায় যেন এমন নির্বঘ্ন হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

তিনি বলেন, ভাড়ার তালিকা আপডেট করে আমরা প্রতিটি কাউন্টারে দিয়েছি। তারপরেও কিছু কিছু পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, এদিন দুপুরে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেছি।

তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল খুলনা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে জন্ম নেওয়া নবজাতক শিশুকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের যে সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল তার সবই দিয়েছি।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

দুই ঘণ্টার ব্যবধানে কুষ্টিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা ও দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ও হরিনারায়নপুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় খেলাধুলা করতে গিয়ে খোকসা উপজেলার কোমরভোগ গ্রামের শয়ন হোসেনের আড়াই বছর বয়সি মেয়ে জান্নাতী খাতুন, রতন হোসেনের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে মুসলিমা খাতুন পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়। তাদের এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাড়িতে শোকার্ত স্বজনদের আহাজারি-কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

এদিকে, খেলার সাথীদের সঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে রিয়াসাদ (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রিয়াসাদ হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ইন্তাজ শেখের ছোট ছেলে। সে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে খোকসা ও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হবে।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছে ৬০ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনকে বলা হচ্ছে বিজেপির মাইল ফলক ও বিরোধীদের টিকে থাকার লড়াই।

প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সময় বিকাল ৫টায় পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ভোট পড়েছে ৬৩.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৫০.৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৫৭.৫ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ৬৩.৩ শতাংশ। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনের জন্য, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে যথাক্রমে ৬৭.৫ ও ৬৪.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে৷

তামিলনাড়ুর ৩৯, রাজস্থানের ১২, উত্তর প্রদেশের ৮, মধ্যপ্রদেশের ৬, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশের ২, মেঘালয়ের ২, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের১, পুদুচেরির ১, সিকিমের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১ আসনে প্রথম দফার ভোট হয়েছে।

এছাড়া আসাম ও মহারাষ্ট্রে পাঁচটি করে, বিহারে চারটি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি, মণিপুরে দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু ও কাশ্মীর ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসন প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত।

চারটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) এবং সিকিম (৩২) প্রথম স্থানে রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা কোচবিহারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং পোল এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। তবে কোনো সহিংসতা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মণিপুরের বিষ্ণুপুর ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইম্ফল জেলায় একটি ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর সালেম জেলার ভোটকেন্দ্রে দুজন বয়স্ক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এর পর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে।

ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভূক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম।

গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এসব কারণেই, সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


আরও খবর