স্বপ্ন দেখে গুরুর জন্য জায়গা রেখেছেন নিজ ঘরের মেঝেতে। গুরুর পরামর্শে মেঝের উপর পাশাপাশি দুই কবরের যত্ন নিতেন প্রতিদিন। এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন নওগাঁর রানীনগর উপজেলার খোরশেদ ও তার স্ত্রী চায়না বেগম। এসকল কর্মকাণ্ডে অবাক স্থানীয়রা।
বিষয়টি পুলিশ সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলে কবর দুটিকে ভেঙ্গে সমান করে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন নওগাঁর রানীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের কৌনুজ গ্রামের খোরশেদ ও তার স্ত্রী চায়না বেগম।
দুইদিন আগে মেঝেতে কবর করে তা তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। উপরে লাল কাপড় বেঁধে সামনে আসন দিয়ে রেখেছিলেন। স্বপ্নে দেখার পর এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বিদেশ পাড়ি জমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন গুরু। স্বপ্নে চাওয়া জায়গার স্থান ঠিক করে গুরুর স্মরণাপন্ন হলে তিনি খোরশেদকে আবারও দুবাই অথবা কুয়েতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
খোরশেদ জানান, গুরু এবং দাদা পীর দুইজনকে একসাথে রাখার স্বপ্ন দেখায় পাশাপাশি দুই কবর। তারা এক সাথে থাকবেন। তাবু টাঙানো, সন্ধ্যায় আগরবাতি জ্বালানোসহ নানাবিধ নির্দেশনা গুরুর পরামর্শে তিনি করে থাকেন ।
এদিকে খোরশেদের স্ত্রী চায়না বেগম জানান, স্বামী স্বপ্নে দেখে কবর নির্মানে তিনিও সাহায্য করেছিলেন। তাদের পরিবারের সকলে গুরুর মুরীদ। তাই গুরুর কথায় এমনটা করেছেন। জায়গা প্রস্তুত করে গুরুর কাছে গেলে গুরু কবরের স্থানটি ঐভাবে রেখে তার স্বামীকে কর্ম করার জন্য বিদেশ পাড়ি জমানোর পরামর্শ দেন।
রানীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এমন কর্মকাণ্ড আইনগত ও সামাজিক উভয় ভাবে প্রতিহত করা হবে। সংবাদ পেয়ে সেখান থাকে কবর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা নির্মূলের কথা জানান ওসি।