একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মেয়র এবং দলীয় পদ হারাচ্ছেন এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম এমন সংবাদের কোন ভিত্তি নেই
স্কুল থেকে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা। সেখান থেকে জেলা ও কেন্দ্রে। এরপর গাজীপুরের সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে গাজীপুর সিটির মেয়র, তিনি জাহাঙ্গীর আলম। সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে ছড়ানো একটি গুজবকে কেন্দ্র করে নিজ দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। তবে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই রাজনীতিবিদ সেই নোটিশের জবাবও ইতোমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন।
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই নামসর্বস্ব কিছু কথিত গণমাধ্যম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দলীয় পদ হারাচ্ছেন বলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যার কোন ভিত্তি নেই। বরং অনুসন্ধান করে দেখা গেছে স্বপদেই বহাল থাকছেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। এমনকি গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো কোনো অভিযোগ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জমা পরেনি। তাই বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলারই সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মেয়র এবং দলীয় পদ হারাচ্ছেন এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম এমন সংবাদের কোন ভিত্তি নেই। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি বা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ফলে স্বপদেই বহাল থাকছেন তিনি ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুব আ. লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে শোকজের জবাব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে দলীয় ফোরামে কোনো কথাই হয়নি। তবে তাকে আরো সতর্কভাবে ভবিষ্যতে রাজনীতি করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। এরচেয়ে বেশি এই মুহুর্তে করার নেই বলেও মনে করেন প্রেসিডিয়াম সদস্যরা।
ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলোর মধ্যে অনেক কিছু সুপার এডিট করা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এ বিষয়টা নিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে চাপে রাখতে বিষয়টিকে খুব করে সামনে নিয়ে আসছে। এটাও বিবেচনায় নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে সতর্ক করে দিয়ে রাজনীতি করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।