আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বজনহারা মানুষগুলোর কাছে নির্বাচন এক আতঙ্কের নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

গতবছরের ২৭ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়ন নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়েছিলো।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। ওই সময় কেন্দ্রের পাশে ভাংবাড়ি বেল মার্কেটের সামনে ৮মাস বয়সী সুরাইয়া আক্তারকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মা মিনারা বেগম। সেই গুলির আঘাতে ছোট্ট সুরাইয়া মায়ের কোলেই মারা যায়।

এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রিজাইডিং অফিসারসহ পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। নিহত শিশুর মরদেহ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী রাণীশংকৈল থানা ঘেড়াও করে।

ওই দিন রাতেই জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রটকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। আর নিহত সুরাইয়া'র মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা। পর দিন বিকেলে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত শিশুটির ময়নাতদন্ত শেষে নিজ কাঁধে সন্তানের মরদেহ বহন করে দাফন করেছেন ফেরিওয়ালাবাবা মো. বাদশা মিয়া। নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ৮০০ জনের বিরুদ্ধে।

ঘটনার ২দিন পর বুলেট বা ভারী বস্তুর আঘাতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, শিশুটির মাথায় আঘাত ছিলো। এটি লোহার রডের আঘাতেও হতে পারে, বুলেটের আঘাতেও হতে পারে। খুলির একটি অংশ পাওয়া যায়নি।

নিহতের বাবা বাদশা মিয়া জানান, নিষ্পাপ শিশুটি কী অন্যায় করেছে যে তাকে প্রাণ হারাতে হলো। এই হত্যার বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ওই সময় অনেকে অনেক সান্তনা আর প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কেউ খোঁজ রাখেনি তার পরিবারের। নির্বাচনের কথা আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে মেয়ের মাথার খুলি উড়ে যাওয়া বীভৎস মৃত মুখ। তাই ভোট নিয়ে আর কোনো আগ্রহ নেই তার।

ওই সময় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেছিলেন, ভোটের ফল ঘোষণা শেষে কেন্দ্র ত্যাগ করার সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তিনি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি তখন।

এরপর কেটে যায় এক বছরেরও বেশি সময়। সন্তান হারিয়ে শোকে কাতর সুরাইয়া আক্তারের বাবাকে আশ্বাসের অংশ হিসেবে দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি, চিকিৎসার খরচসহ পরিবারটিকে নানা রকম সহায়তার কথা বলা হয়। কিন্তু বাদশার অভিযোগ, একটি ঘর পেলেও আরেকটি ঘরের জন্য ধরনা দিয়েও ঘর পাননি তিনি। তার চিকিৎসার ওষুধ পত্রের সহায়তার কথা বললেও, তা দেয়া হয়নি তাকে। এমনকি পরে কোনো খোঁজও নেয়া হয়নি পরিবারটির।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে বাদশা বলেন, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছি। ভোট কেন্দ্রে কোনো নিরাপত্তা নাই। আবারও গুলি চলবে না, আমার মাথার খুলি উড়বে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এর আগে ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গুলিতে ৩জন নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন, পীরগঞ্জ উপজেলার ঘিডোব গ্রামের আদিত্য কুমার রায়, হাবিবপুর গ্রামের মো. সাহাবুলি ও ছিট ঘিডোব গ্রামের মোজাহারুল ইসলাম। এ ছাড়াও নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক নারী পুরূষ। স্বজন হারানো এসব এসব মানুষগুলোর কাছে নির্বাচন যেন এক আতঙ্কের নাম।

ভোট কেন্দ্র্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের এক কলেজ শিক্ষক। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে আমরা যারা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা দায়িত্ব পালন করি, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সব সময় শঙ্কায় থাকি। ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাহিরে যারা দায়িত্ব পালন করেন সবারই নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার।

এছাড়াও একই বছরের ২৭ ডিসেম্বরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নে নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন স্থানীয় হামিদুর রহমান। ওই সময় এসপি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছিলেন, মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে দ্বন্দের জেরে সরকারি কাজে বাধা দেয় একটি পক্ষ। সেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের গুলিতে একজন মারা গেছেন।

সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে নিহত হামিদুর রহমানের ছেলে হাসিবুল ইসলাম জানান, সেদিন আমার বাবা ভোট কেন্দ্রের পাশে বাজারে অবস্থান করছিল। বিকেলে কেন্দ্রে ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গুলি চালায়, আমার বাবা নিহত হন। নির্বাচনী সহিংসতায় বাবাকে হারিয়েছি, বিচার চাইনি। কার কাছে বিচার চাইব?

এ বিষয়ে কথা হয় সুশীল সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় ভোট কেন্দ্র কেন এত সহিংসতা প্রবণ ও এর থেকে উত্তোরণের উপায় কী? তারা বলেন, নির্বাচন এলেই দেখা যায় ভোট কেন্দ্রগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের দখলে থাকে। তখন সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে বা স্বাধীন মতামত দিতে ভয় পায়। এর জন্য নির্বাচন কমিশনের যেভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন, সে ধরনের নিরাপত্তা ভোট কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় না।

তারা আরো বলেন, এ ছাড়াও ফলাফলকে কেন্দ্র করে কোনো পক্ষ পেশিশক্তি প্রয়োগ করার চেষ্টা করে। এ জন্য নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটে আর প্রাণ হারায় নিরীহ সাধারণ মানুষ। তাই সাধারণ মানুষ ভোট দেয়ার সাহসটুকু হারিয়ে ফেলেছে। কাজেই নির্বাচনী সহিংসতায় যেসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং মানুষ যে এখন ভোট দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে এর দায় নির্বাচন কমিশন কোনোমতে এড়াতে পারে না।

নিউজ ট্যাগ: নির্বাচন

আরও খবর



জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি আর নেই

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি আর নেই। ক্যানসার আক্রান্ত এ শিল্পী সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতার ভাগিনা ফয়সাল আহমেদ। সব শেষ তিনি ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

রুমির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিনেতা অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ভারতের চেন্নাইয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসাও হয়। পরে দেশে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

অভিনয় জীবনের তিন দশকেরও বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। অভিনয় নৈপুণ্য দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।

গত কয়েক বছর এই অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাতে বেশি অভিনয় করে আসছিলেন। রুমির জন্ম বরগুনায়। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রুমি।

তার অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের এখনও ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। সেটা ১৯৮৮ সালে। একই বছর কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। ২০০৯ সালে দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন।

এরপর থেকে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন রুমি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক হলো- সাজেশন সেলিম, বোকাসোকা তিনজন, মেকাপ ম্যান, ঢাকা টু বরিশাল, ঢাকা মেট্রো লাভ, বাপ বেটা দৌড়ের উপর, আমেরিকান সাহেব, জার্নি বাই বাস, বাকির নাম ফাঁকি, রতনে রতন চিনে, আকাশ চুরি, চৈতা পাগল, জীবনের অলিগলি, মেঘে ঢাকা শহর ইত্যাদি।

এছাড়া তিনি জমজ’ নাটকে অভিনয় করে বেশ দর্শক প্রশংসা লাভ করেন।

তার মৃত্যুতে শোবিজ পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশেষ করে নাটক পাড়ায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে বেশ।

অভিনেতা জিয়াউল হক অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অলিউল হক রুমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শোক প্রকাশ করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিনেতার প্রথম জানাজা সকাল ৯টায় শহীদবাগ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজা হবে তার গ্রামের বাড়ি বরগুনায়।


আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সিয়াম সাধনার মাস রমজান ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে। ঘনিয়ে আসছে খুশির ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

দিন যত এগিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। এতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। ক্যাম্পাসের চিরচেনা কোলাহলেও পড়তে শুরু করেছে ভাটা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকতে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ক্যাম্পাসে এখন প্রতিদিনই শিক্ষার্থী কমছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জিয়া হলসহ ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোর সামনে দাঁড়ালেই এখন ব্যাগ-বস্তা ও বিভিন্ন মালপত্র চোখে পড়ছে। বিশেষত সকাল ও সন্ধ্যা সময় এ দৃশ্যটা বেশি দেখা যাচ্ছে। হলগুলো থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছে গ্রামে ফেরার আনন্দের ঝিলিক। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে তাদের কথাবার্তায়ও।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সিয়াম কবির বের হয়েছেন ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে। পিঠে ও হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হলের গেটে রিকশার অপেক্ষায়। কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ক্লাস ও পরীক্ষার কারণে দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয় না। অনেকদিন পর গ্রামে যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগছে। রমজানের শেষ কয়েকটা দিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে ইফতার ও সেহরি করবো, এটা ভেবে খুব আনন্দ লাগছে।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সুলতানা বলেন, বাড়িতে সবাই অনেক অপেক্ষা করে আছে। শেষ সময়ে এখন যেন আর তর সইছে না। কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবো, নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে। পড়াশোনার কারণে পরিবার ছেড়ে দিনের পর দিন বাইরে থাকতে হয়। মাঝেমাঝে বাবা-মাকে খুব বেশি মিস করি। একে তো বাড়ি যাচ্ছি, তার ওপর ঈদ- সব আনন্দ যেন মিলেমিশে একাকার। খুব ভালো লাগছে।

তবে শিক্ষার্থীদের এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাওয়ার আনন্দঘন দৃশ্যের বিপরীতে কিছু বেদনাঘন চিত্রও রয়েছে। কারণ, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি যাচ্ছেন না। কারও কারও বিসিএস লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। তারাও যাচ্ছেন না। যদিও আবাসিক হলগুলোতে এ ধরনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখন খুবই নয়।


আরও খবর



দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রফিক এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরিন ট্রফিক ডটকম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমালিয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছিল। এতে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন জাহাজের ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর



পদ্মায় গোসলে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় ওই তিন কিশোর। পরে বিকেল ৩টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলো রাজশাহী মহিতার থানা এলাকার রেন্টুর ছেলে মো. যুবরাজ (১২), মতিহার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১২) ও একই এলাকার লিটনের ছেলে আরিফ (১৩)।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু শামা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে যায় বেশকিছু কিশোর। তাদের মধ্যে তিনজন পানিতে ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাজশাহী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে বাঁচাতে মার্কিন রণতরী প্রেরণ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইসরায়েলকে বাঁচাতে অবস্থান পরিবর্তন করেছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন রণতরী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অবস্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেছে।

মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইজেনহাওয়ার সহ নৌবাহিনীর আরও যুদ্ধযান বর্তমানে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, মিত্র ইসরাইলের ওপর ইরানের যেকোনো হামলা রুখে দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত মার্কিন বাহিনী। আর তা জানান দিতে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন রণতরী স্থান পরিবর্তন করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় নিবেদিত। আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন করব। আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করব। ইরান হামলা চালিয়ে সফল হতে পারবে না।


আরও খবর