আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বচ্ছ লেনদেন খাঁটি মুমিনের পরিচয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একবার নবীজি (সা.) সাহাবীদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি জানো নিঃস্ব কে? তারা বললেন, যার অর্থ-সম্পদ নেই আমরা তো তাকেই নিঃস্ব মনে করি। তখন নবীজি (সা.) বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের ময়দানে নামাজ, রোজা, জাকাতসহ (অনেক নেক আমল) নিয়ে হাজির হবে। তবে সে হয়ত কাউকে গালি দিয়েছে বা কারো উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে বা কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে বা কাউকে খুন করেছে অথবা কাউকে আঘাত করেছে। ফলে প্রত্যেককে তার হক অনুযায়ী এই ব্যক্তির নেক আমল থেকে দিয়ে দেয়া হবে। যদি কারও হক বাকি থেকে যায় আর এই ব্যক্তির নেক আমল শেষ হয়ে যায়, তাহলে হকদার ব্যক্তির পাপ পাওনা অনুসারে এই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে। (সহীহ মুসলিম, হাদিস ২৫৮১; জামে তিরমিজি, হাদিস ২৪১৮)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের ময়দানে কোনো বান্দা তার এক পাও নড়াতে পারবে না। যতক্ষণ না তাকে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে- ১. সে তার জীবন কোন পথে শেষ করেছে। ২. যতটুকু ইলম শিখেছে তার উপর কতটুকু আমল করেছে। ৩. সম্পদ কোন পথে আয় করেছে। ৪. এবং কোন পথে ব্যয় করেছে। ৫. নিজের যৌবনকে কোন পথে শেষ করেছে। (জামে তিরমিযী, হাদিস ২৪১৭)

অন্যের অবৈধ সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কঠোরতা

কোনো মুমিন নিজে তো অস্বচ্ছ ও অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করবেই না। এমনকি অন্যের অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদও সে ব্যবহার করবে না।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জেনেশুনে চুরি করে আনা মাল ক্রয় করল, সেও চুরির পাপের মধ্যে শামিল হল। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস ২২৫৩)

লেনদেনে অস্বচ্ছতার কারণে দুআ-ইবাদত কবুল হয় না

আমরা নামাজ-রোজাসহ অন্যান্য ইবাদত পালন করি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আর তিনি সেই আমলের দ্বারাই সন্তুষ্ট হন, যে আমল তার কাছে গ্রহণযোগ্য। যে ব্যক্তি অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ থেকে তার প্রয়োজন পুরা করে; আল্লাহ পাক তার ইবাদত-বন্দেগী ও দুআ-মুনাজাত কবুল করেন না। হাদিস শরীফে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র (আমল) ছাড়া গ্রহণ করেন না। তিনি রাসূলগণকে যে আদেশ করেছেন। একই আদেশ করেছেন মুমিনদেরকে। তিনি বলেছেন- (হে রাসূলগণ! আপনারা উত্তম (হালাল) রিযিক থেকে আহার করুন এবং নেক আমল করুন।

তিনি মুমিনদেরকেও বলেছেন- হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার প্রদত্ত হালাল রিযিক থেকে আহার কর। অতপর নবীজি একজন লোকের বর্ণনা দিলেন যে ,দীর্ঘ সফর করেছে। চুলগুলো এলোমেলো, শরীর ধূলি ধূসরিত। আসমানের দিকে হাত উত্তোলন করে দুআ করছে- হে আমার রব! হে আমার রব!! অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দুআ কবুল হবে? (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১০১৫; জামে তিরমিজি, হাদিস ২৯৮৯)

ইবনে রজব হান্বলী রাহ. হাদিসটির ব্যাখ্যায় লিখেছেন, এই হাদিসে উদাহরণস্বরূপ শুধু দুআর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। নতুবা হারাম দ্বারা প্রতিপালিত হলে তার কোনো আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। (জামিউল উলূমি ওয়াল হিকাম, পৃ. ১৮৫)

আল্লাহ তায়ালা অবৈধ সম্পদের দান কবুল করেন না

ইসলামের সুস্পষ্ট ঘোষণা হচ্ছে, কেবলমাত্র নেক আমলই বদ আমলকে নির্মূল করে। বদ আমল কখনো অন্য বদ আমলকে নির্মূল করতে পারে না। অর্থাৎ আমরা দান-সদকা, জাকাত-ফিতরা আদায় করি, যাতে আমাদের পাপ মোচন হয় এবং সম্পদ পবিত্র হয়। কিন্তু এ কাজ পাপের পথে অর্জিত সম্পদ দ্বারা সম্ভব নয়। কারণ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করাই একটি পাপ। সুতরাং সেই পাপ দ্বারা অন্য পাপ মাফ হওয়ার আশা নেই। তেমনই অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ অপবিত্র, সুতরাং তা দ্বারা নিজের সম্পদ পবিত্র করাও অসম্ভব। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এমন হবে না যে, কোনো বান্দা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করবে অতপর তা থেকে (বৈধ ও নেক কাজে ) খরচ করবে আর তাতে বরকত দান করা হবে। সে তা থেকে সদকা করবে আর তা কবুল করা হবে। বরং ঐ ব্যক্তি ঐ সম্পদ (মিরাছ হিসাবে) তার মৃত্যুর পর রেখে গেলেও তা তাকে আরো বেশি করে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা পাপ দ্বারা অপর পাপকে নির্মূল করেন না। তবে নেক আমল দ্বারা পাপকে নির্মূল করেন। নিশ্চয়ই নাপাক বস্তু অপর নাপাক বস্তুর নাপাকি দূর করতে পারে না। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস ৩৬৭২; মুসনাদে বায্যার, হাদিস ২০২৬)

হাদিস শরীফে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করেন না এবং আত্মসাতের মালের ছদকা কবুল করেন না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২২৪)

এর বিপরীতে হালাল ও বৈধ সম্পদ সদকা করার ব্যাপারে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক কেবল (হারামের মিশ্রণ থেকে) পবিত্র বস্তুই কবুল করেন। যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে এক মুষ্ঠি খেজুরও দান করে আল্লাহ পাক তা নিজ হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তা ওই  ব্যক্তির জন্য প্রতিপালন করতে থাকেন। যেমন তোমাদের কেউ উটের বাচ্চা প্রতিপালন করে। বৃদ্ধি পেতে পেতে এক সময় ওই সামান্য খেজুরমুষ্ঠি পাহাড়সম হয়ে যায়। (সহিহ বুখারী, হাদিস ১৪১০; সহিহ মুসলিম, হাদিস ১০১৪)

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যখন তুমি তোমার সম্পদের জাকাত আদায় করলে তখন তুমি এ সম্পদের ব্যাপারে তোমার অবশ্যকরণীয় বিধান পালন করলে। যে ব্যক্তি হারাম মাল উপার্জন করবে অতপর তা সদকা করবে সেই সদকায় তার কোনো সওয়াব হবে না বরং অবৈধ উপার্জনের পাপের বোঝা তার ঘাড়ে চেপেই থাকবে। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩২১৬) তাবেঈ কাসেম বিন মুখায়মিরাহ রাহ. (সাহাবীর মধ্যস্থতা উল্লেখ না করে সরাসরি রাসুলের থেকে) যেসকল হাদিস বর্ণনা করেছেন তার একটি হল, নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো পাপের পথে সম্পদ উপার্জন করল অতপর তা আত্মীয়তা রক্ষায় খরচ করল বা সদকা করল অথবা তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল; তাহলে (কিয়ামতের মাঠে) এসবকিছুই একত্রিত করা হবে অতপর তা জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। (কিতাবুল মারাসীল, আবু দাউদ, হাদিস ১৩১)

বিখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. কে একবার জিজ্ঞাসা করা হলো, যে ব্যক্তি এখন নেক আমল করছে। তবে পূর্বে জুলুম-অত্যাচার করত এবং হারাম গ্রহণ করত। এখন সে নেকদিলে তওবা করে পূর্বের সেই সম্পদ দিয়ে হজ্ব করল, গোলাম আযাদ করল এবং আল্লাহর রাস্তায় দান-সদকা করল (তার ব্যাপারে কী বলেন?)। জবাবে তিনি বললেন, নিশ্চয়ই নাপাকী অপর নাপাকীকে দূর করতে পারে না। (মুসনাদে বায্যার, হাদিস ৯৩২)

সুতরাং যারা হারাম পথে সম্পদ উপার্জন করে আর মনে মনে ভাবে, এখান থেকে কিছু সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেব;  ব্যস, সাত খুন মাফ, তাদের উচিত, নবীজি (সা.) এর এই বাণীগুলো ভালোভাবে স্মরণ রাখা।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর একটি বড় শিক্ষণীয় ঘটনা আছে। তার সময়ে বসরার আমির ছিল আব্দুল্লাহ বিন আমের। সে মুসলমানদের বায়তুল মাল থেকে তার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি গ্রহণ করত। কিন্তু তার স্বভাব ছিল, সে এসব সম্পদ গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিত, মসজিদ নির্মাণের কাজে খরচ করত, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করত। যখন সে মৃত্যুশয্যায় উপনীত হল তখন লোকজন তার চারপাশে ভীড় জমাল এবং তার দান-দাক্ষিণ্য ও মানুষের প্রতি তার অনুগ্রহের ভূয়সী প্রশংসা করতে লাগল। তবে ইবনে ওমর রা. চুপচাপ রইলেন। যখন বসরার আমির ইবনে আমের স্বয়ং তাকে কথা বলতে ও নিজের জন্য দুআ করতে আবেদন করল।

তখন তিনি তাকে নবীজি (সা.) এর একটি হাদীস শোনালেন-আল্লাহ পাক আত্মসাতের মালের ছদকা কবুল করেন না। অতপর তাকে বললেন, তুমি তো বসরা শহরেরই আমির ছিলে। অর্থাৎ আমি তোমার কীর্তি-কর্ম সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত যে, তুমি বায়তুল মালের সম্পদ না-হকভাবে গ্রহণ করতে। সুতরাং কীভাবে তোমার এসকল দান-সদকা কবুল হবে? আর তোমার জন্যে দুআ করলে সেই দুআই বা কীভাবে কবুল হবে? (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২২৪)

হারাম হতে সৃষ্ট শরীর জান্নাতে যাবে না

হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন-এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৪৪৪১; মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, হাদীস ২০৭১৯; মুসনাদে আবদ ইবনে হুমাইদ, হাদীস ১১৩৮

নবীজী (সা.) একবার হযরত কাব বিন উজরাহ রা.-কে ডেকে বললেন, হে কাব! শুনে রাখো, ওই দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম হতে সৃষ্ট। কেননা জাহান্নামের আগুনই তার অধিক উপযোগী।-জামে তিরমিযী, হাদীস ৬১৪; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, ১৯/২১২


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধবিরোধী এই প্রতিবাদের সূচনা হয় দেশটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তা দ্রুত সময়ের মধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে চাপে পড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিক্ষোভ থামাতে বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃপক্ষ। আটক করা হয়েছে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট প্রেসিডেন্ট মিনোশি শফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি ৬২-১৪ ভোটে পাস হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখার মতো বিষয়।

শুক্রবার রাতে এনবিসি টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকাজুড়ে ৪০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বোস্টনের ইমারসন কলেজেও। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশি।

জর্জিয়ার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন দর্শন বিভাগের প্রধান নো লি ম্যাকাফিকে আটকের পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। আটকের আগে তিনি আটলান্টা পুলিশকে শিক্ষার্থীদের তাঁবুর দিকে এগোনোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তিনি ওই সময় পুলিশকে থামতে বলার পর তাকে আটক করা হয়। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিনকেও আটক করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতে হাতকড়া পরানো হয়।

ওহাইওতেও পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের আটকের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। সেখানে ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে লাগাম টানতে আইনপ্রণেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল কলাম্বিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যক্রম তদন্ত শুরু করেছে।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি সৌদি বাদশাহ সালমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে জেদ্দার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ এপ্রিল) এমনটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষক বাদশাহ সালমান ক্রাউন প্রিন্স এবং উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহকে শেষ বার ২০২২ সালের মে মাসে কোলনোস্কোপি এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।


আরও খবর



চাঁদ দেখা যায়নি সৌদি আরবে, ঈদ বুধবার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মঙ্গলবার নয়, বুধবার দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র দুই মসজিদ কাবা এবং মসজিদে নববির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনে নিশ্চিত করা হয়েছে এই তথ্য।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৭ মিনিটে দেওয়া এক পোস্টে ইনসাইড দ্য হারামাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আজ সৌদি আরবের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

আজ সোমবার সৌদিতে চাঁদ দেখা না যাওয়ার অর্থ, দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী পরশুদিন বুধবার। সেই হিসেবে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে ঈদ হবে তার পরের দিন বৃহস্পতিবার।


আরও খবর



রাত ১টার মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে রাত ১টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে  ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এদিন (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ; বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলাসহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।


আরও খবর



মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘অপহরণের’ ভিডিও পোস্ট, তোপের মুখে ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অপহরণের ভিডিও পোস্ট করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসন্ন নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন ডেমোক্রেট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান ট্রাম্প। একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে জো বাইডেন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে আছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

প্রায় সাত সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, পিকআপের পেছনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের একটি ছবি প্রিন্ট করে লাগানো হয়েছে।  অর্থাৎ তাকে অপহরণ করা হয়েছে- এমনটাই বোঝানো হয়েছে ছবিতে। যদিও ছবিটি পুরোপুরি ড্ক্টরেট (সম্পাদিত)। পতাকা ও ডেকাল সম্বলিত দুটি ট্রাক ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে যেখানে দ্বিতীয় ট্রাকের পেছনে ছিল বাইডেনের ছবি।

এ ঘটনায় ডেমোক্র্যাট সমর্থকেরা ট্রাম্পকে দানব বলেও আখ্যা দিয়েছেন।  ভিডিওটি শেয়ার করে ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপশন লিখেছেন, ৩/২৮/২৪, লং আইল্যান্ড, নিউ ইয়র্ক।

ভিডিও পোস্ট করা মাত্রই বাইডেনের সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। বাইডেনের প্রচারণার যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক মাইকেল টেইলর বলেন, শুক্রবার রাতে ট্রাম্পের পোস্ট করা ছবিটি তার বিরোধীদের শারীরিকভাবে ক্ষতির করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রতিনিয়তই রাজনৈতিক সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছেন। এখন সময় এসেছে যেন মানুষ তাকে বয়কট করার।

এদিকে, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক বিবৃতিতে বলেন, ছবিটি একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে ছিল, পিকআপটি হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে শুধু ঘৃণ্য সহিংসতার ডাকই দেয়নি, তারা আসলে তার বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ভিডিওতে বাইডেনের ছবির উপস্থিতি নিছকই কাকতালীয় ঘটনা তা মনে হচ্ছে না। কারণ ভিডিওর শেষের দিকে বাইডেনের সম্পাদিত ছবিটি জুম করে দেখানো হয়েছে।

এদিকে ছবিটি নিয়ে অনেক টুইটার ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হাভার্ডের আইন বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স ট্রাইব এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, দানব এটা পোস্ট করেছে। ট্রাকের পেছনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাত-পা বাঁধা একটি ছবি। তিনি (ট্রাম্প) প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিচ্ছেন। এটি একটি অপরাধ। অন্য কেউ এটা করলে, তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। এখন কী করা হবে?

ওবামা প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমান সিএনএন জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জুলিয়েট কায়েম লিখেছেন, ট্রাম্প সবকিছু ফেলে সহিংসতাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছেন।


আরও খবর