অনেক সময় বরাদ্দ
অর্থ ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট ঠিকঠাক ব্যবহার হয় না জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ
মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে এসব ঘাটতি থাকলে দেশ এগোতে পারবে না।’
আজ বুধবার রাজধানীর
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত
ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, এই মুহূর্তে দায়বদ্ধতা ও তদারকি সবচেয়ে বেশি দরকার। দুর্নীতি যদি বন্ধ করা যায়,
তাহলে অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা
নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে।
জাহিদ মালেক
বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির পকেট খরচ অনেক বেশি। এই সেবায় সরকার কী পরিমাণ ব্যয়
করে, সেটিও সামনে আসা উচিত। অনেক লজিস্টিক লাগে, প্রচার-প্রচারণার দরকার হয়। নতুন নতুন
অবকাঠামো তৈরি হয়, সেখানেও খরচ হয়। মহামারি এলে আবার বাড়তি ব্যয় হয়, যেটা ভ্যাকসিনেশনে
হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতে
বরাদ্দের বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া
হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরসহ যা প্রায় ৪০ হাজার
কোটি টাকা। এর বাইরে এনজিও সংস্থাগুলোও রয়েছে। আমাদের মাথাপিছু ব্যয় ৫৪ ডলার, যেখানে
শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের চেয়েও কম। আমরা হয়তো জিডিপির শেয়ার কম পাচ্ছি, এটা বাড়ানো দরকার।
পকেট খরচ কমাতে হলে প্রাইভেটের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আবার বিদেশে বড় একটা অংশ চিকিৎসা
নেয়, সেটিরও একটা প্রভাব এতে পড়ে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় যন্ত্রপাতিসহ অনেক কিছু
নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ জন্য তদারকি ও জবাবদিহি
বাড়াতে হবে। তবে আশার কথা হলো, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের
ব্যয় বাড়ছে।