আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বামীকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজীপুরে চলন্ত বাসে এক পোশাক কর্মীকে (২৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। স্বামীকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে ওই পরিবহনের পাঁচ শ্রমিক মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার ও বাস জব্দ করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন। গ্রেফতাররা হলেন, মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজিব (২৩), মো. সুমন হাসান (২২) ও মো. শাহিন মিয়া (১৯)।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও ভিকটিমের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নওগাঁ থেকে গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাসে স্বামীর সঙ্গে বাস থেকে নামেন ওই নারী। ময়মনসিংহের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে যেতে অপর একটি গাড়ির জন্য অপক্ষা করছিলেন তারা। রাত ৩টা ১০ মিনিটে স্কয়ার মাস্টারবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তাকওয়া পরিবহনে উঠে বাসে আরও ৬-৭ জন যাত্রী দেখতে পান। রওনা দেওয়ার কিছু সময় পর বাসটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়ায় পৌঁছালে দুই যাত্রী নেমে যান।

রাত ৩টা ৪০মিনিটে বাসটি মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার পার হয়ে কিছুদূর সামনে গেলে চলন্ত বাসে থাকা অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন লোক হঠাৎ ওই নারীর স্বামীকে মারধর শুরু করেন। তাদের হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন নারী। এ সময় অজ্ঞাত লোকজন ওই নারীর মুখ চেপে ধরে রাখেন এবং স্বামীকে মারপিট করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজার এলাকায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে বাসটি নিয়ে ঢাকার দিকে চলে যান। ওই নারীর স্বামী বাস থেকে পড়ে আঘাত পেয়ে স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকার বোনের বাসায় চলে যান। শনিবার সকালে অপরিচিত একটি মোবাইল থেকে ফোন করে ওই নারী বিস্তারিত ঘটনা এবং জয়দেবপুর থানায় আছেন বলে স্বামীকে জানান। পরে স্বামী ওই নারীর কাছে যান এবং বিস্তারিত ঘটনা শোনেন। এ সময় ভিকটিম তার স্বামীকে জানান, তাকে (স্বামী) গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার পর অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন তার চোখ বেঁধে ও মুখ চেপে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় নারীর কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন, নগদ ১০ হাজার ৫শ টাকাসহ সঙ্গে থাকা অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যান।

গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, ভিকটিম নারীর অভিযোগ ও শ্রীপুর থানায় তার স্বামীর মামলা রুজুর পর অভিযানে নামে শ্রীপুর থানা ও গাজীপুর জেলা পুলিশের একাধিক দল। জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার ও বাসটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীকে গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: তাকওয়া পরিবহন

আরও খবর



কুকি-চিন আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ৩ ব্যাংকে ডাকাতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইদানিংকালে আমরা দেখছি কুকি-চিন আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীও অভিযানে যোগ দেবে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রুমাতে সাবস্টেশন বন্ধ করে তারা সোনালী ব্যাংকে যায়। সেইসময় পুলিশ এবং শৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা ছিল তারা তারাবির নামাজ পড়ছিল। আজকে থানচিতে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকেও তারা চেষ্টা করেছে। এটা প্রতিরোধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব বিষয় দেখা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কুকি-চিনের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান চলছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও যোগ দেবে।

এরআগে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকটির ম্যানেজারকেও তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ১৬ ঘণ্টা পর আজ বুধবার বেলা ১টার দিকে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়।


আরও খবর
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খুজদার শহরে রোববার রাতে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত দুইজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, খুজদারের ব্যস্ত শপিং এলাকা উমর ফারুক চকে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন। খবর ডনের।

একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, বিস্ফোরণে দুজন নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনী বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছেছে। তারা মৃতদেহ ও আহতদের খুজদার টিচিং হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে৷

হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেছেন, আমরা হাসপাতালে দুটি মরদেহ ও পাঁচজন আহত ব্যক্তি পেয়েছি।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)উমর ফারুক চকে রেখে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলের আইইডিটি রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে বিস্ফোরণ করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে বজলু মিয়া নামে এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মাওয়ায় সেনানিবাস চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বজলু মিয়ার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি মাওয়ায় বেড়াতে এসেছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাওয়ার সেনানিবাস চেকপোস্ট এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বজলু মিয়া অসাবধানতাবসত রেললাইনে উঠে পড়েন। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাসান উর রহমান বলেন, ট্রেন আসার সময় অসাবধানতাবশত রেললাইনে উঠে পড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। বজলু মিয়ার মরদেহ মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



বান্দরবানে সন্ত্রাসী হামলা রুখতে গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট এবং সন্ত্রাসী হামলা রুখতে কারও গাফিলতি বা ব্যর্থতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি আরও বলেন, রুমা এমন একটি জায়গায়, যে জায়গায় কোনো দিন এ ধরনের একটা অশান্ত পরিবেশ হবে আমরা চিন্তা করিনি। আমরা সব সময় দেখেছি, শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকেন। হঠাৎ করে এই ঘটনা কেন ঘটল, এটাই আজকে আমাদের কাছে প্রশ্ন। ডাকাতির মূল উদ্দেশ্য ছিল বোধ হয় অর্থ সংগ্রহ করা, এখন পর্যন্ত আমরা যা মনে করছি। আমরা সব কিছুই দেখব। অস্ত্র সহকারে এবং পোশাক সহকারে এখানে ঢুকবে; আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে এটাও কাম্য নয়। যা করার নিরাপত্তা বাহিনী এখন সেটা করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। আমরা কোনো ক্রমেই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে আর দেবো না। এই শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সব সময় বইতো, এখানে অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না। আমরা অবশ্যই এর কারণ, কারা করেছে, কাদের সহযোগিতা ছিল সবগুলো আমরা বের করব এবং আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

অভিযান শুরু হবে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে নিরাপত্তা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে, তারা তাদের মতো করে করবেন। কোনো কিছুকেই আমরা আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। উৎস কোথায়, কীভাবে হলো সবগুলো আমরা বের করব।

এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে রুমা পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিদর্শন করেন সেখানকার সোনালী ব্যাংক শাখা। এছাড়া পাশের একটি মসজিদ কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

গত মঙ্গলবার রাতে একদল বন্দুকধারী রুমা সোনালী ব্যাংক শাখায় তাণ্ডব চালায়। অপহরণ করে ব্যাংকের ম্যানেজারকে। পরদিন থানচি বাজার ঘেরাও করে সোনালি ও কৃষি ব্যাংকেও হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ লুট করে। স্থানীয়রা জানায়, হামলাকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনএফের পোশাক পরিহিত ছিল।


আরও খবর