আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীনতার পর স্বপ্নপূরণের পথে চারটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটে একটি সেতুতেই বদলে যেতে চলেছে চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ভাগ্য। বদলে যেতে চলেছে এখানকার অর্থনীতির চিত্র। এলজিইডি'র অধীনে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১ মিটার দীর্ঘ নির্মাণাধীন সেতুটি সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ওকড়াবাড়ি বাজার সংলগ্ন কিশোরঘাট এলাকার সতী নদীর উপর। খুনিয়াগাছ, রাজপুর, মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়ন ঘেঁসে বয়ে চলা এই সতী নদীর দুই পাড়ে বসবাস করছে প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে এই নদীর উপর প্রায় এক কিলোমিটার পর পর থাকা কয়েকটি সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। যদিও নতুন নির্মিতব্য এ সেতুর স্থান হতে কয়েক কিলোমিটার দূরে এই নদীর উপর একটি ত্রিমোহনী সেতু রয়েছে। তবে নদীটির দুই পাড়ে বিস্তৃর্ণ জনপদ রয়েছে। যেখানাকার মানুষজন বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,  হাটবাজার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরে যাতায়াত করে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও একটি সেতুর মুখ দেখেনি চার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার অবহেলিত এই মানুষগুলো। সেই সেতুর স্বপ্ন আজ একটু একটু করে দৃশ্যমান হচ্ছে।  

এলাকাবাসী জানান, সতী নদীর অপর পাশে থাকা গ্রামগুলো থেকে জেলা ও উপজেলা সদরের অবস্থান ১৫ থেকে বিশ কিলোমিটার দূরে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ওকড়াবাড়ি, মহেন্দ্রনগর, বড়বাড়ি হাটসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার যেতে হয় এই নদী পেরিয়েই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বারবার সরকার বদলেছে কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছিল কেবল মুখে মুখেই। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে সেতু করার ওয়াদা দিলেও নির্বাচনী বৈতরনী পার হয়ে গেলে আর খবর নেননি। বর্তমানে সদর উপজেলার এতো উন্নয়নের পরও একটি সেতুর আক্ষেপ ছিল এলাকাবাসীর। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া, কৃষকদের সার, বীজসহ উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা-নেয়া, গর্ভবতী মহিলাসহ অসুস্থ মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকোগুলো দিয়েই। প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বর্ষার সময় এ দুর্ভোগ বাড়ে কয়েকগুণ। সেসময় সাঁকো থেকে পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। এমনকি সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে দুই জন মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় কৃষক আজিবর রহমান  বলেন, আমার বাড়ি থেকে জেলা সদরে যাওয়ার পথ একটিই। সারাজীবন বাঁশের সাকো দিয়ে মালামাল পারাপার করেছি, সন্তানদের স্কুলে আনা-নেয়া করেছি। এখন সেতুটি হলে সেই দুর্ভোগ শেষ হবে, যাতায়াত অনেক  সহজ হবে। কিশোরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই স্কুলে আসাযাওয়া করে।

হারাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক খন্দকার বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ সীমা ছিল না। একটি সেতুর অভাবে বহু মানুষের জীবন-জীবিকায় প্রভাব পড়তো। সেই ভোগান্তি এখন শেষ হতে চলেছে সেতুটি হওয়ার মধ্য দিয়ে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, অবশেষে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জনভোগান্তির কথা ভেবে। যে গতিতে নির্মাণ কাজ চলছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট, দ্রুত চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবে।

লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগের কথা ভেবে বিগত প্রায় পাঁচ বছর আগে তৎকালীন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলালের একটি ডিও লেটার সহ 'উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম উন্নয়নে অনুর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় কিশোরঘাট এলাকায় সতী নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন প্রস্তুত করে অধিদপ্তরে একটি চিঠি পাঠানো হয়। কয়েকদফা যোগাযোগের পর ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর অধিদপ্তর সেতুটি করার জন্য অনুমোদন দেয়। সে অনুযায়ী ওই বছরই ১৫ নভেম্বর টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। টেন্ডারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিএইচবি-এসএস জেভি সেতু তৈরির কাজটি পায়। এরপর গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপণ করেন।

এলজিইডি'র লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, সেতুটির কাজ ইতিমধ্যেই পয়ষট্টি ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যেই সেতুটির কাজ শেষ হলে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে। এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগে পরিসমাপ্তি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


আরও খবর



পথচারীকে চাপা দিয়ে পুকুরে পড়লো বাস, নিহত ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশালের উজিরপুরে পথচারী কিশোরকে চাঁপা দিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় পথচারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে বাসের আরও ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উজিরপুরের সানুহার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান।

নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুমন সরদার (১৫) এক কিশোরের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। সে উজিরপুর উপজেলার সানুহার গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল সরদারের ছেলে।

এ বিষয়ে তৌহিদুজ্জামান বলেন, যশোর থেকে সকাল ৬টায় বরিশালের উদ্দেশ্যে চাকলাদার পরিবহনের ওই বাসটি ছেড়ে আসে। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সানুহার এলাকায় পৌঁছালে রাস্তা পার হতে যাওয়া সুমনকে বাসটি চাপা দেয়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে গিয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর বাসটির চালক পালিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাসে থাকা অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া গৌরনদী ও উজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ও ডুবরি দল প্রায় ২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছেন।


আরও খবর



রমজান মাস কবে শুরু, কীভাবে দেখা হয় চাঁদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। হিজরি বছরের গণনা অনুসারে নবম মাসকে রমজান মাস বলা হয়। এই মাসেই মুসলমানরা ফরজ রোজা পালন করে থাকেন।

হিজরি বর্ষ গণনা করা হয় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। হিজরি মাস ২৯ অথবা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১০ মার্চ হিজরি ২৯ শাবান। এদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন অর্থাৎ ১১ মার্চ থেকে এসব দেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। তবে এবার শাবান মাস ৩০ দিনের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ১২ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরুর সম্ভাবনা বেশি।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ১০ মার্চ হিজরি ২৯ শাবান হলেও, বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোয় এর পরদিন অর্থাৎ ১১ মার্চ ২৯ শাবান।

যেভাবে চাঁদ দেখা হয়

যুক্তরাজ্যে চাঁদ দেখার কাজ করে নটিক্যাল আলমানাক অফিসের অধীন ক্রিসেন্ট মুন ওয়াচ। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ১০ মার্চ গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে চাঁদ উঠতে পারে। সেই হিসেবে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে তখন সময় হবে রাত ৮টা ২৩ মিনিট ও বাংলাদেশে তখন সময় হবে রাত ১১টা ২৩ মিনিট। অর্থাৎ সেদিন রাতে খালি চোখে সৌদি আরব বা বাংলাদেশ থেকে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার সম্ভাবনা কম।

আগামী ১০ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে শুধু প্রশান্ত মহাসাগরের অল্প কিছু এলাকায়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপূঞ্জে ও ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার কিছু এলাকা থেকে দেখা যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে সেদিন খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

তাই বলা হচ্ছে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখে বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে ১১ মার্চ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে সেদিনও অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, তাসমানিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা আছে।

সেই হিসেবে, সৌদি আরবসহ বেশিরভাগ দেশে রোজা শুরু হতে পারে আগামী ১২ মার্চ থেকে। আর বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে ১৩ মার্চ থেকে রোজা শুরু হতে পারে।  


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদেশে দ্বায়িত্বরত ১০ রাষ্ট্রদূতকে পৃথক বদলির আদেশ জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অবসরে যাওয়া বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের দেশে ফিরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পৃথকভাবে রাষ্ট্রদূতদের কাছে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, আপনাকে সদর দপ্তর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতদের তাদের বর্তমান দ্বায়িত্বভার অবিলম্বে ছেড়ে ঢাকায় ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়েছে।

যেসব দেশের দূতদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমান, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম, পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান, জেনেভাস্থ জাতিসংঘ কার্যালয়সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই, গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ ও ইরাকে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ফজলুল বারী।


আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৫

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩১ জন। বুধবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১১৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৪৬ টি দুর্ঘটনায় ৫৯৯ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯৯ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত, ও আহত হয়েছে ৬৪ জন। নৌ-পথে ৫টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৪ জন আহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১৭৩ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১০ জন নিহত, ১২৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও আহতের ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে ১১৫টি। এতে ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম হয়েছে সিলেট বিভাগে ২১টি। এতে ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

মোট দুর্ঘটনার ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার, ১৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষের, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ও ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বিবিধ ঘটনা। চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৩ জন চালক, ৩৪ জন পথচারী, ৪৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯ জন শিক্ষার্থী, ৬ জন শিক্ষক, ৯৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ৩ জন সাংবাদিক, ১ জন চিকিৎসক, ১ জন আইনজীবী, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭১০টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাস, ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ও ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মোট দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে মোট দুর্ঘটনার ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।

সংগঠনটি সড়ক দুর্ঘটনার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ বা দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়া ও সড়ক-মহাসড়কে অবাধ চলাচল, রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কবাতি না থাকা, রাতে ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি ও বেপরোয়া যানবাহন চালানো।


আরও খবর



পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগ দিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) পদে যোগদান করেছেন প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম। এর আগে তিনি প্রধান প্রকৌশলী (পুর) হিসেবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, বাপাউবো রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন।

তিনি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন বিআইটি বর্তমানে (রুয়েট), রাজশাহী থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে যোগদান করেন।

পরবর্তী সময়ে তিনি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী পদে বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর