আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
বিএফইউজে নির্বাচন

সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক এবং মহাসচিব দীপ আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফল ঘোষণা করে।

ঢাকাসহ সারাদেশের ১০টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একযোগে ভোটগ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনের জন্য গঠিত ছয় সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ জার্নাল পত্রিকার সম্পাদক শাহজাহান সরদার।

বিএফইউজের নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ, দফতর সম্পাদক ও চারটি নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৪ জন প্রার্থী।

সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আবদুল জলিল ভুঁইয়া, আবু জাফর সূর্য ও ওমর ফারুক। সহ-সভাপতি পদে লড়েন অমিয় ঘটক পুলক, আজমল হক হেলাল, মধুসূদন মণ্ডল, মফিদা আকবর ও সালাম মাহমুদ।

মহাসচিব পদে লড়েন আবদুল মজিদ, দীপ আজাদ ও লায়েকুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব পদে নাসিমা আক্তার সোমা, বরুন ভৌমিক নয়ন, মানিক লাল ঘোষ ও শেখ মামুনুর রশীদ, কোষাধ্যক্ষ পদে খায়রুজ্জামান কামাল, নজরুল কবির ও মোহাম্মদ আবু সাঈদ।

দফতর সম্পাদক পদে এম শাহজাহান, মাসুম আহাম্মদ, মীর আফরোজ জামান, রেজাউল করিম রেজা, শাহ আলম ডাকুয়া ও সেবিকা রানী ভোটে লড়েন। চারটি সদস্য পদের বিপরীতে লড়েন, আবদুল খালেক লাভলু, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এম এ রহিম রনো, ড. উৎপল কুমার সরকার, নূরে জান্নাত আখতার সীমা, মো. সফিউর রহমান, শাহজাহান স্বপন, শেখ নাজমুল হক সৈকত, শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম।


আরও খবর



জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।

এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।


আরও খবর



বেনাপোলে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে র‍্যাব। এ সময় দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত এলাকার পুটখালী গ্রামের অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পুটখালি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও বালুন্ডা গ্রামের সিরাজুল গাজির ছেলে ইসরাফিল গাজি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাবিব হোসেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার পুটখালী গ্রামে স্থানীয় ওলিয়ার রহমানের মালিকানাধীন বিশাল গরু ফার্মে বিক্রির জন্য ফেন্সিডিল মজুদ করেছে মাদক কারবারিরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। ঘটনাস্থল থেকে হাফিজুর রহমান ও ইসরাফিল গাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ফার্মের উত্তর পাশের একটি জমির কলা গাছের ঝোপ থেকে দুটি বস্তা পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা মেজর সাবিব হোসেন জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিল কিনে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। গ্রেপ্তার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মো. ইসরাফিলের বিরুদ্ধে মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জব্দকৃত মাদক ও গ্রেপ্তারকৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাদের যশোর জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।


আরও খবর



গীতিকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

খায়রুন লো, তোর লম্বা মাথার কেশ গানের গীতিকার আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা (৫০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। এক সপ্তাহ আগে, ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে তার মৃতদেহ শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী পীরগঞ্জ বাজার এলাকার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। বাদ আছর নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, লোককাহিনী নিয়ে নির্মিত কালজয়ী সিনেমা খাইরুন সুন্দরী সিনেমার খায়রুন লো তোর লম্বা মাথার কেশ গানটি লিখেন ওয়াদুদ রঙ্গিলা। এর মূল চরিত্র খাইরুন সুন্দরীর ছোট ভাই রফিক চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে তার সিনেমায় অভিষেক হয়। এরপর তিনি চিনিবিবি, মালেকা সুন্দরীঅগ্নিসাক্ষীসহ বেশ কিছু সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একাধিক সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজক, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। লিখেছেন নাটক ও কবিতাও।

নিউজ ট্যাগ: ওয়াদুদ রঙ্গিলা

আরও খবর



সংসদে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী

অননুমোদিত ১৩০০ ভবন চিহ্নিত করা হলেও ভাঙা সম্ভব হয়নি (ভিডিও)

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি। 

তিনি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার আহ্বান জানান।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম এ কথা জানান। 

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর সেই সময় আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি তখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম, তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তার পর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি। 

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে ৫২ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করালো। সেই প্রক্রিয়ার আসামিরা সব জেলে গেছেন, আজ পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা যেটা বিরোধী দলের চিপ হুইপ বলেছেন। এই জায়গায় আমার দাবি, এই জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করা না হলে শুধু এই অপরাধের না, অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। 

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে ভবনের প্ল্যান সঠিক নাই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অনুমোদিতভাবে নেওয়া হয়েছে সেই ভবনগুলো কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকারের দায়মুক্তি দেওয়া। কাজে আমি আশা করব সেটা করা দরকার। আর একটা বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন, আমি বলব আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ কায়েম করেছি কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থা অপব্যবহারে ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত যারা তাদেরও বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। আমি একটি মামলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছি। আসামিরা স্বীকারোক্তি করার মামলায় তিন বছরে চার্জশিট দেওয়া হয় না। এই অজুহাতে আসামিরা জেলখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দরকার কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থার অপব্যবহার করে যারা তাদেরও বিচারের জন্য যদি ব্যবস্থা না হয় সেটাও কিন্তু এক প্রকার দায়মুক্তি তাদের জন্য হয়ে যায়। আমি আশা করি এই বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করে, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু আর্থ সামাজিক উন্নয়ন না, অবকাঠামো উন্নয়ন না; আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক লক্ষ্য যেটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়াগায় আমাদের পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে, আমাদের একদিকে উন্নয়ন হলো অন্যদিকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্বেও সঙ্গে বিবেচনা করবেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা দেখা দিত। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন বাংলাদেশের সংবিধান। সেখানে সংবিধানের বিধিবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার আর একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর মধ্যবর্তী কোনো অবস্থা নাই। যেটা আমাদের সাংবিধানিক অবস্থান এবং একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতির মধ্য থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এর ফলে আজকে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা পেয়েছে,উন্নয়ন পেয়েছে, সমৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের জাদুকর শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছেন সে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে আমার বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার কারণে। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



আসামি ছিনিয়ে নেওয়া যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরকে (৩৫) ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাগর মাদবর জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের টেকেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা। সাগর বড় গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে থানায় মারামারি ও হত্যাচেষ্টাসহ ৮টি মামলা চলমান রয়েছে।

স্থানীয়, পুলিশ ও র‍্যাব সূত্র জানায়, বুধবার রাতে উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমণি বাজারে অভিযান চালিয়ে আধা কেজি গাঁজাসহ আরিফ মাদবর ও সবুজ মাদবরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় খবর পেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাগর মাদবর ও তার লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মাদকসহ আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সাগর মাদবরসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা সাগর মাদবর। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাগর মাদবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।


আরও খবর