আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

নতুন বছরের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৪৮ ও ২১৮৮ পয়েন্টে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। মঙ্গলবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৯২টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ার।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৫ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে ৬ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচকের গতি নিম্নমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ের ৫টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানি শেয়ারের দর।


আরও খবর



স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের (কোড নম্বর ৩৮০১৩) সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।

জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) পদে আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে দ্বিতীয়বারের মতো একই পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।

২০২০ সালের ২৩ জুলাই তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এর আগে, খুরশীদ আলম ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমসহ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ সব কর্মকর্তার অপসারণসহ দুই দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন হাসপাতাল-স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দ্রুততম সময়ে এসব দাবি মেনে না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জন

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমেছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক, পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক এবং কীটনাশকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মুমেন। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বলবৎ থাকবে।

জানা গেছে, আলুতে কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এছাড়া আগে এ পণ্যটির ওপর প্রযোজ্য থাকা ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটিতে মোট শুল্ক কমানো হলো ১৩ শতাংশ।

আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে কীটনাশকের ওপরে প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যটির ওপর সমুদয় রেগুলেটরি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে পেঁয়াজ, আলু, ডিমে শুল্ক কর প্রত্যাহার চেয়ে এনবিআরে চিঠি দেয় এনবিআর।

এনবিআর জানায়, বিগত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এসব পণ্যের শুল্ক কমানো কারণ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে যেহেতু দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের ওপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়, ফলে কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেওয়া কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে। দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যেকোনো রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।

এর আগে ১১টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব বিবেচনায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছিল ট্যারিফ কমিশন।


আরও খবর



সাবেক মন্ত্রী আবদুল রহমানসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে  ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ফরিদপুরের মধুপুরে ভবন নির্মাণ, রাজউকের পূর্বাচলসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনা, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র, তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের নামে শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২, করবী, ফ্ল্যাট নং-৩ ই, ৩/৩ এ, পরিবাগ ঢাকাসহ ৪ টি ফ্ল্যাট, এছাড়া দেশের বাইরে টাকাপাচার করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং কানাডায় একাধিক বাড়ি কেনার তথ্য দুদকের কাছে এসেছে। যে কারণে কমিশন প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়াদ্দারের (ছেলুন) বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে তিন তলা বিলাসবহুল জোয়াদ্দার কুটির নামে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি এসি-ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় (বাড়ি নং-১২, সেক্টর নং-১০, রোড নং-১২, উত্তরা মডেল টাউন) ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়ি, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, ২টি গাড়ি (ঢাকা মেট্রে-গ-৩৪-৬৮৮৮ ও ঢাকা মেট্রে-ঘ-২১-৫১৬২), নিজ নামে দিনাজপুরের উথরাইল মৌজা, পুচকুর মৌজা, রামপুর মৌজা ও জালালপুর মৌজায় বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

অপরদিকে, মো. সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে মাগুরা জেলার জাগলায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা, মাগুরা জেলার চাওলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নগর পদ্দবিলে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে মৎস্য খামার, তার নিজ নামে ১০টি ট্রাক, শ্যালকের নামে ২টি এবং খালকুড়া নবাবের ছেলের নামে ২টি গাড়ি কেনা, ২১৯ সৈয়দ আতর আলী রোড, সদর উপজেলা, মাগুরায় তার মালিকানাধীন মনোয়ারা কমপ্লেক্স নামে বহুতল মার্কেট, মাগুরার বিভিন্ন জায়গায় তার  নামে অনেক জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।


আরও খবর



আম্বানিকে টপকে ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট-২০২৪-এ শীর্ষ স্থানে চলে এসেছেন গৌতম আদানি ও তার পরিবার। এতে দেখা গেছে, ১১ দশমিক ৬ লাখ কোটি রুপির সম্পত্তি নিয়ে মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে সামনে চলে এসেছে আদানি ও তার পরিবার।

২০২০ সালের তালিকায় আদানির অবস্থান ছিল চতুর্থ। গত এক বছরে আদানির সম্পত্তি বেড়েছে ৯৫ শতাংশ। হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের পর ধনীদের তালিকায় ধস নামে আদানির। যদিও এরই মধ্যে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে আদানি গ্রুপের সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যেমন আদানি পোর্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৯৮ শতাংশ। তাছাড়া আদানি এনার্জি, আদানি গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি পাওয়ার-এভারেজ শেয়ারের দামে ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

১০ দশমিক ১৪ লাখ কোটি রুপির সম্পত্তি নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। ৩১ জুলাই ২০২৪-এ নেওয়া স্ন্যাপশটের ওপর ভিত্তি করে সম্পত্তির পরিমাণ হিসাব করা হয়েছে।

দেশটিতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা রেকর্ড ৩৩৪ জনে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

হুরুন ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনায়েদ বলেন, ভারত এশিয়ায় সম্পদ তৈরির ইঞ্জিন হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, ভারতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২৯ শতাংশ বাড়লেও চীনে ২৫ শতাংশ কমেছে।


আরও খবর
উত্তরপ্রদেশে ভবন ধসে নিহত ৮, আহত ২৮

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অজ্ঞাত স্থান থেকে ব্যারিস্টার সুমনের ভিডিও বার্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিতে শুরু করে। এ দিকে সামাজিকমাধ্যম থেকে সর্বত্র কৌতূহল শুরু হয়, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন কোথায় আছেন।

এবার অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। যেখানে তিনি দাবি করেন, শুরু থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিজের অবস্থান যথাযথভাবে বোঝাতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

ভিডিওতে সুমন বলেন, আমি শুরু থেকে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম এবং এই আন্দোলনে যারা আহত-নিহত হয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পক্ষেও আমি ছিলাম। কিন্তু আমার ব্যর্থতা হলো, আমি আপনাদের বোঝাতে পারিনি। আমি এই ব্যর্থতার জন্য আমার যারা ফলোয়ার আছেন, আমার কাছে যারা প্রত্যাশা করেছেন সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।

গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার ছিলেন তাদের মধ্যে নিজেকে অন্যতম বলে দাবি করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা এখন যে কাঠামোগত সংস্কার চাচ্ছেন, অথচ এই সংস্কারের জন্য দীর্ঘ বছর আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি আমি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, গত ১৫ বছরে যে দুই-তিনজন মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, তাদের মধ্যে হয়তো আমাকে একজন পাবেন। আমি এস আলমের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে টাকা পাচারের জন্য মামলা করেছি।

আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যিনি প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আমেরিকাতে তার নয়টি বাড়ি থাকা নিয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছি। পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে দুদকে মামলা করেছি। জাতীয় সংসদে তার বিরুদ্ধে আমি বক্তব্য দিয়েছি। কর কমিশনার মতিউরের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে মামলা করেছি, ফুটবলের দুর্নীতি নিয়ে কাজী সালাউদ্দিন সম্পর্কে কথা বলেছি। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে আমি নিজে মামলা করেছি, পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার ৮ বছরের সাজা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, আমার জীবনের কত ঝুঁকি ছিল। কোটা আন্দোলন শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে বাধ্য হয়েছি, জিডি করেছি যে আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। সুতরাং এই যুদ্ধে সবসময় আমি চেষ্টা করেছি। এখন আপনারা যে যুদ্ধ শুরু করেছেন, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে যুদ্ধ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, এই যুদ্ধে সবসময় আমি দোয়া করি। এই যুদ্ধে সবসময় আমার জায়গা থেকে শরিক থাকার চেষ্টা করব।

কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন সরকার পতনের এক দফায় রুপ নিল, তখন শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিরোধিতাও করেন তিনি।

এর আগে ব্যারিস্টার সুমন বলেছিলেন, যারা ফেসবুকে প্রোফাইল লাল করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল যতটুকু দাবি যৌক্তিক পর্যায়ে ছিল, কোটা সংস্কারের জন্য ছিল, আমি ততটুকু পর্যন্ত লাল ছিলাম। কিন্তু যখন আমার নেত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাচ্ছেন এবং ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছেন, তখন আমি আপনাদের পক্ষে নেই। কেননা আপনাদের যেমন আমার নেত্রীর বিরোধিতা করার অধিকার আছে, আমারও আমার নেত্রীর পক্ষে দাঁড়ানোর অধিকার আছে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময় নানা সামাজিক ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে কথা বলে আলোচনায় উঠে আসেন ব্যারিস্টার সুমন।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে নির্বাচিত হন তিনি।


আরও খবর
ইনু ফের ৪ দিনের রিমান্ডে

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪