আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। 

বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৬০৭ ও ২৭৯৭ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৪৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

বৃহস্পতিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৪৩টি কোম্পানির শেয়ার।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো- লাফার্জহোলসিম, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, অরিয়ন ফার্মা, পাওয়ার গ্রীড, ইন্দোবাংলা, এডভ্যান্ট ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, ইফাদ অটোস, সাইফ পাওয়ার ও শাইনপুকুর সিরামিক।

এর আগে লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইর সূচক বাড়ে ২২ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি নিম্নমুখী দেখা যায়। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ৬০২ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ের ৬১টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৫টি কোম্পানির দর। অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টি কোম্পানি শেয়ারের দর।


আরও খবর



চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জুলাইয়ে রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যাচ্ছেন। আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশে যেতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। পরে জুলাইয়ে চীন সফরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রী স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে চীনা রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের উন্নয়ন অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।

সাক্ষাতে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ সময় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণাঞ্চল এতদিন অবহেলিত ছিল। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকারই এই এলাকার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হয়েছে। তার সরকার চায় এই অঞ্চলকে আরও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে চীন সহায়তা করবে।

সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তাকে শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতা বলে আখ্যায়িত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় চীন সবসময় পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।

সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।


আরও খবর



ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ব্রাজিল বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম কোনো ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। খুব সফল আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাজিল সফর করবেন তা এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বৈঠকে তুলা আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে কথা হয়েছে। বাণিজ্যে শুল্ক কমানোর কথাও জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন এখন দুই দেশের বড় একটা সংকট। এটি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকায় অবতরণের পর দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। যেখানে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে পশু আনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।


আরও খবর



তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রধান নগরীগুলোতে বড় জয় পাওয়ার দাবি করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি। ধারণা করা হচ্ছে, ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারায় দুই দশকেরও বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সবচেয়ে বড় পরাজয় হতে যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (৩১ মার্চ) ইস্তাম্বুলে স্থানীয় নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

শহরটির মেয়র সিএইচপি পার্টির একরেম ইমামোগলু জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।

ভোটের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক ব্যবসায়ী ইমামোগলু জানিয়েছেন, যারা জাতির বার্তা বোঝে না তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে। আজ রাতে ইস্তাম্বুলের এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছে সিএইচপি দলীয় মেয়র মনসুর ইয়াভাস। তুরস্কের তৃতীয় বড় শহর ইজমিরেও এগিয়ে আছে সিএইচপি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতেই জয় পেয়েছে সিএইচপি।

এদিকে ভোটে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পর বিরোধী সমর্থকেরা উদযাপন করতে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ মশাল জ্বালিয়ে এবং তুর্কি পতাকা নেড়ে ভোটের ফল উদযাপন করে।

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, সারা দেশে তার দলের জনপ্রিয়তা কমেছে। এই ফল মূল্যায়ন করে ভুলগুলো সংশোধন করা হবে।’

২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের নির্বাচনে সিএইচপির ইমামোগলু হারিয়ে দিয়েছিলেন এরদোয়ান ও তার দলকে। দুই দশক পর তিনি ইস্তাম্বুলকে এরদোয়ানের হাতছাড়া করেছিলেন। এবারের পরাজয়ও এরদোয়ানের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর



কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জন দুই দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত কেএনএফ সন্দেহে আটক ৫২ জনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। দুটি মামলায় তাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এর মধ্যে লাল নুন বমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইনের আদালত (আমলি আদালত) এ আদেশ দেন। পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড দেন।

কোট পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন, চেওচির বম, ভান লাল দিক বম, সাইরাজ বম, রুয়াল কামলিয়ান বম, গিলবার্ট বম, লাল রাম তিয়াম বম, লিয়ান নোয়াই থাং বম, নল থন বম, পেনাল বম, লাল মুন লিয়ান বম, জাসোয়া বম, জৌনুন বম, ভান লাল সম বম, লাল ধাম লিয়ান বম, রেন থন বম, সাপ লিয়ান থাং বম, লমজুয়েল বম, পাসুম বম, লাল বাউ খম বম, ভান রোয়াত ময় বম, লাল রুইয়াই বম, লাল দিন থার বম, লাল রৌয়াত লন বন, লাল ফ্লেং কিং বম, রৌসাং লিয়ান বম, লাল থাং পুই বম, ভারৌ সাং বম, লাল ইমানুয়েল বম পায়েল, লাল রিং সাং বম, মুন থাং লিয়ান বম, জেমস মিল্টন বম, রাম থাং লিয়ান বম, মেলরী বম, জিংরুথং বম, ভান রিম কিম বম, লেরী বম, নেম্পেল বম, লাল তলাহকিম বম, পারঠা জুয়েল বম, লাল নুন কিম বম, লাল নুএং বম, টিনা বম, লাল নুর জির নম, জিং রেম ঙাক বম, আল মন বম, ঙাইন কিম বম, লালসিং পার বম, শিউলি বম, লাল রোবত বম আপেল, লাল লম থার বম, মিথু সেল বম, লাল রুয়াত লিয়ান বম।

আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ জানান, বান্দরবানের রুমায় ব্যংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ৫৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  ৫৭ জন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত।

কোট পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক জানান, রাষ্ট্রপক্ষের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি ও ৫২ জনের প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।

এর আগে, রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ৬৬ জনকে বান্দরবান কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।


আরও খবর