
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করাকে নিজেদের জন্য প্রধান দায়িত্ব এবং নির্বাচন ঘিরে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যাঘাত ঠেকানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার থাকে, বিরোধী দল থাকে। নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন হয়। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে নির্বাচন কমিশনের অধীন। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে শেষ করা যায়।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন র্যাবের ডিজি খুরশীদ হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ডিআইজি) ইমতিয়াজ আহমেদ, র্যাব-৬ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর, গোপালগঞ্জ সদরের কোম্পানি কমান্ডার বদরুদ্দোজা।
খুরশীদ হোসেন বলেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করতে পারে বা করবে। এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। কেউ যাতে দেশের সম্পদ ধ্বংস করতে না পারে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে—এসবই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা কঠিন হস্তে দমন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। র্যাবকে করা হয় এলিট ফোর্স। র্যাব সাতটি বাহিনী নিয়ে কাজ করে। এর বাইরে আমাদের কিছু নির্ধারিত এজেন্ডা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি। এ দেশ আমাদের, এ দেশের মানুষ আমাদের। এ দেশ ও দেশের মানুষকে অন্যদের চেয়ে আমাদের চিন্তা বেশি।
র্যাবপ্রধান বলেন, র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছিলাম গত বছরের অক্টোবরে। এ বছরের জুনে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে আরও এক বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই।