আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সুপ্রিম কোর্ট বারে সভাপতি আ'লীগের, সম্পাদক বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু।

সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থী আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।

শুক্রবার (১২ মার্চ) ভোট গণনা শেষে রাত একটার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আহ্বায়ক সাবেক বিচারপতি এএসএম আবদুর রহমান ফল ঘোষণা করেন।

এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়।

সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি, সহসভাপতির একটি পদে, সহসম্পাদকের একটি, কোষাধ্যক্ষসহ মোট আটটি পদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে সম্পাদক, সহসভাপতির একটি পদে, সহসম্পাদকের একটি পদসহ ছয়টি পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থীরা।

সভাপতি পদে আবদুল মতিন খসরু ২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেলের মো. ফজলুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ১৩২ ভোট। সহসভাপতির দুটি পদের একটিতে জয় পেয়েছেন সাদা প্যানেলের মুহাম্মদ শফিক উল্ল্যা এবং অন্যটিতে নীল প্যানেলের মো. জালাল উদ্দিন।

সম্পাদক পদে নীল প্যানেল থেকে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ৩ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আবদুল আলিম মিয়া পেয়েছেন ২ হাজার ২০৪ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. ইকবাল করিম। সহসম্পাদকের দুটি পদের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন নীল প্যানেলের মাহমুদ হাসান, অন্যটিতে সাদা প্যানেলের সাফায়েত সুলতানা।

সাতটি সদস্য পদের মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা হলেন এ বি এম শিবলী সাদেকীন, মাহফুজুর রহমান, মিন্টু কুমার মণ্ডল, মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। সদস্য পদে জয়ী নীল প্যানেলের তিন প্রার্থী হলেন এস এম ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, পারভীন কাওসার ও রেদওয়ান আহমেদ।

এবারের নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোটার ৭ হাজার ৭২১ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৮৬ জন ভোট দিয়েছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর



সোনার দাম বেড়ে ভরি এক লাখ ১৭ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বেড়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৮, ৬ ও ৫ মে তিন দাফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৮ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা এবং ৬ মে ৭৩৫ টাকা ও ৫ মে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে চার দফায় ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ৮ হাজার ১১৯ টাকা।

এই দাম বাড়ার আগে আট দফায় সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৮ টাকা, ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।

আট দফা দাম কমার পর এখন চার দফায় সোনার দাম বাড়নোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার (১২ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (১১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটের এক মাদ্রাসার সবাই ফেল!

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ২১ জন পরীক্ষার্থী। তাদের একজনও পাশ করতে পারেননি।

রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার এই মাদ্রাসার ফল প্রকাশের পর বিষয়টি জানা গেছে।

ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাদ্রাসা থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগে ১১, সাধারণ বিভাগে ১০ জনসহ মোট ২১ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ওই প্রতিষ্ঠানের সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়াও একই উপজেলার কয়াশোবলা দাখিল মাদ্রাসার ২০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন মাত্র একজন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার নয়টি মাদ্রাসা থেকে মোট ২০৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ৪১ জন কৃতকার্য হয়েছেন। বাকি সবাই অকৃতকার্য। মাদ্রাসা থেকে এ উপজেলায় পাসের হার ২০.০১%।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ও ম মোবারক আলী বলেন, মাদ্রাসার সবাই ফেল করায় আমি বিস্মিত। কীভাবে এই বিপর্যয় ঘটল বুঝতে পারছি না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসান বলেন, আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। কেউ কৃতকার্য না হওয়ায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নাজিরপুরে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে সাংবাদিক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও সমাজসেবক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী (শাহিন)।

নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।

নাজিরপুরের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর শাহিন ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।

সাংবাদিক সাকিল আহমদ অরণ্য বলেন, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্কার ঘূর্ণিঝড় সিডর। সেই সময় শাহিন ভাই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে দুস্থ মানুষের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হয়, যা তাঁর রয়েছে। একারণেই নাজিরপুরবাসী আগামী ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির বলেন, শাহিন ভাই একজন মানবিক মানুষ, যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত সময়ে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তারা ব্যস্ত ছিল নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু শাহিন ভাই ব্যতিক্রম। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন নাজিরপুরের উন্নয়ন। শাহিন ভাই মনে করেন নাজিরপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন।

রুহুল আমীন হাওলাদার নামে একজন প্রবীন বলেন, তাকে (এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী) ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি, কিন্তু তার ভিতরে কখনও অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট-টা তাকেই দিব।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহিনের পিতা ও তিন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার ভাগ্য বদলাতে হবে না। তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সিডর, আইলা, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দলের সংকটকালে নেতা-কর্মীদের কাছে পেয়েছি। তাই তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী (শাহিন) বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নাজিরপুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি-মাদকমুক্ত মডেল উপজেলা হবে নাজিরপুর উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের প্রয়োজন নেই, আমি চাই নাজিরপুরের মানুষ ভালো থাকুক।  

নাজিরপুর উপজেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে দেখা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ৬৮টি মৌজা ও ১৭১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত নাজিরপুর উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শ ১৩ জন। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৮শ ৪০ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ২শ ৭৩ জন নারী।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর