আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

সুন্দরগঞ্জে প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীকে নিয়ে পলাতক

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে পরকীয়া সর্ম্পকে জড়িয়েছেন স্ত্রী। প্রবাসী স্বামীর বন্ধু প্রেমিকের হাত ধরে  বাবার বাড়ি থেকে পালাতক স্ত্রী। ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ইরাক প্রবাসী সফিউলের স্ত্রীর খোঁজ এখনো মেলেনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেরার ছাপরহাটি ইউনিয়নের দক্ষিন মরুয়াদহ গ্রামে। প্রবাসী সফিউল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ আলীর পুত্র।

ঘটনা সূত্রে জানাযায়, ইরাক প্রবাসীর ঘনিষ্ট বন্ধু ওই গ্রামে মৃত. ফরলার রহমানের পুত্র আঙ্গুর মিয়া। সফিউল ইসলাম বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে আঙ্গুর মিয়া তার বাড়িতে আশা যাওয়া করতো। আর আশা যাওয়ার এক পর্যায় প্রবাসীর স্ত্রী তাহমিনা বেগমের সঙ্গে আঙ্গুরের পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পরেন স্ত্রী। র্দীঘ ১ বছর থেকে পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক প্রবাসী জানতে পারলে স্ত্রীকে ফোনে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামীর কোনো কথা কানে না নিয়ে বাবার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আঙ্গুরের সঙ্গে পালিয়ে যায়। সে সময় শশুর বাড়ির সহযোগিতায় তাহমিনাকে উদ্ধার করে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন স্ত্রী। আবারও শশুর বাড়িতে ঘুরতে যায় তাহমিনা । তাহমিনা উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জহরুলের মোড় গ্রামের ফরিজল মিয়া কন্যা। গত ২৬ মে রোজ বৃহস্পতিবার আবারও বাবার বাড়ি থেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান তাহমিনা বেগম।

বুধবার (৩১ মে) সকালে তাহমিনা পিতা ফরিজল হক ও সফিউলের পিতা আব্দুল হামিদ থানায় উপস্থিত হয়ে হারানোর অভিযোগ করেন।

ইরাক প্রবাসীর বাবা আব্দুর হামিদ বলেন, আমার পুত্র সফিউল ইসলামের সঙ্গে ১২ বছর পূর্বে তাহমিনার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের ৭ বছর পর জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে রেখে আমার ছেলে ইরাক চলে যায়। এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে সে ৫ বছর হলো এখনো দেশে আসতে পারেনি। এই সুযোগে তাহমিনা বেগম আমার ছেলের বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৬ রমজান তাহমিনা তার বাবা বাড়ি থেকে আঙ্গুরের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলো আমরা তাহমিনার বাবাকে সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঘরে তুলে নিয়ে ছিলাম। ঈদের পর তাহমিনা ও তার মেয়েকে নিয়ে বাবা বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বাবার বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে জানতে পারি সে তার প্রেমিক আঙ্গুরের হাত ধরে আবারও পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছি না।

ঘটনার সত্যতা শিকার করে তাহমিনার বাবা ফরিজল হক জানান, এক বছর থেকে এই ঘটনা জানতে পরে আমার মেয়েকে অনেক বুঝিয়েছি এর আগেও একবার আমার বাড়ি থেকে ওই ছেলে সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলো আবারও আমার বাড়ি থেকে সেই ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেলো নিজের সন্তান ফেলে আমি এখন তাদের কি জবাব দিবো।

প্রবাসী সফিউল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার স্ত্রী তাগমিনা বেগম গত দুই বছর পূর্বে জমি কেনার কথা বলে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে নিয়েছে। আমার সংসার জীবন ১২ বছরে কখনো ভাবিনি আমার স্ত্রী এমন কাজ করতে পারবে। তবে আঙ্গুর আমার ছোট বেলার বন্ধু হয়ে আমার এতো বড় ক্ষতি করবে আমি তা কখনো ভাবিনি। তারা আমার ও আমার সন্তানে জীবনটা নষ্ট করে দিলো।

আগুরের আগের স্ত্রী ফেনশি বেগম জানান, এবিষয়ে আমার সঙ্গে আমার স্বামীর অনেক ঝগড়া হয়েছে আমি বলতে গেলে আমার গায়ে হাত এবং মারপিট করেন। এখন আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে কি করে খাবো।

থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া গান্ধী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের প্রধানবিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বুকের সংক্রামকের কারণে গতকাল সন্ধ্যায় সোনিয়া গান্ধীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, মৃদু জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে সোনিয়া গান্ধী চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তার অবস্থা  স্থিতিশীল।

এর আগে সোনিয়া গান্ধী চলতি বছর দুইবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য গত ১২ জানুয়ারি স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সোনিয়া। ছাড়া পেয়েছিলেন ১৭ জানুয়ারি।

এর আগে একই হাসপাতালে গত ২ মার্চ জ্বর নিয়ে ভর্তি হন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সোনিয়া গান্ধী

আরও খবর



‘বিতর্কিত’ ফেসবুক পোস্টের জন্য তানজিমের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের মাত্র কয়েক দিন পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের তরুণ ডানহাতি পেসার। নারীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক পোস্টের কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন তানজিম। তবে বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তরুণ এই পেসার। ভবিষ্যতের জন্য তাকে সতর্ক করে দিয়েছে বিসিবি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

এ বিষয়ে জালাল ইউনুস জানান, ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় সাকিব দুঃখ প্রকাশ করেছে। কাউকে আঘাত করার জন্য সে এমন পোস্ট দেয়নি বলে বিসিবিকে জানিয়েছে। বোর্ড তাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, সাকিব বলেছে মোটেও তিনি নারীবিদ্বেষী নন। এমনকি আমার মা একজন নারী। সুতরাং আমি নারীবিদ্বেষী হতে পারি না।

এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ৮ বলে অপরাজিত ১৪ রান করার পর নিয়েছেন ২ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে রাতারাতি নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু অভিষেকেই এমন দারুণ নৈপুণ্যের একদিন পরেই যুব বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে।

তানজিম সাকিবের পুরনো কিছু ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। এর মধ্যে কর্মজীবী নারীদের হেয় করে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসই বেশি সমালোচিত হচ্ছে। যা নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন ২০ বছর বয়সী এই পেসার। তার এই ইস্যু ইতোমধ্যেই নজরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। বিসিবির তরফেও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়।

তরুণ উদীয়মান তারকার সেসব পোস্ট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত সমর্থকরা। অনেকেই তরুণ এই ক্রিকেটারের সমালোচনা করলেও অনেকে সমর্থন দিচ্ছেন তাকে।


আরও খবর



ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের প্রধান আর উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি জোট জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফর সঙ্গীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে নয়া দিল্লির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এদিকে দিল্লিতে পৌঁছানোর পরই বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে টাকারুপিতে লেনদেন সুগম করা, কৃষি খাতে গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও রেলপথের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জি টুয়েন্টি সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি ও যুদ্ধের কারণে জরুরি পণ্যের নিবিঘ্ন সরবরাহ নিয়ে বক্তব্য দেবেন তিনি। সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত, সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, আরব আমিরাত, কানাডার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন।

এবারের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি একগুচ্ছ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।

বিশ্বের প্রধান আর উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি জোট জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সামনে রেখে নতুন রূপে সেজেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলনস্থল ভারত মণ্ডপ, আর নজিরবিহীন নিরাপত্তায় মুড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।

জি-২০ সম্মেলনের বিভিন্ন কর্মসূচির ফাঁকে শনিবার নয়াদিল্লিতে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ, আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনের সাইডলাইনে এ ছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

জি-২০ শীর্ষ এ সম্মেলন হবে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।


আরও খবর



ইলন মাস্ককে তুরস্কে টেসলার কারখানা নির্মাণের অনুরোধ এরদোগানের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান ইলন মাস্ককে তুরস্কে টেসলার কারখানা নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছেন। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তার সঙ্গে বৈঠকে এরদোগান এই অনুরোধ জানান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদলু এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কাছে তুর্কি হাউস নামে একটি আকাশচুম্বী ভবনে ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন এরদোগান। ওই বৈঠকে তিনি টেসলা কারখানা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন এরদোগান। তবে রোববারের এই বৈঠক সম্পর্কে টেসলা এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তুর্কি দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি। 

আরও পড়ুন>> ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন

অবশ্য টেসলা গত আগস্টে ভারতে একটি কারখানা তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যা কম খরচে বৈদ্যুতিক যান (EV) তৈরি করবে। টেসলার বর্তমানে ছয়টি কারখানা রয়েছে এবং মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় নুয়েভো লিওন প্রদেশে সপ্তম কারখানাটি নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মূলত বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠানটির পদচিহ্ন বিশ্বজুড়ে সম্প্রসারণের একটি অংশ হিসেবে কারাখানা বাড়ানো হচ্ছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামের শিল্পকলায় সম্প্রীতির উৎসব ‘ফেস্টিভ্যাল অব টলারেন্স’

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ও দায়িত্বশীল নাগরিক গঠনের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ, সহনশীল ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বির্নিমানে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো সম্প্রীতির উৎসব। রোববার শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উৎসব উদযাপিত হয়।

বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাস এবং আইসিটি বিভাগের সহায়তায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)পার্টনারশিপ ফর এ মোর টলারেন্ট, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি) প্রকল্পের ডাইভার্সিটি ফর পিস এটুআই- এসপায়ার টু ইনোভেট, ইউনেস্কো, একশনএইড বাংলাদেশ, ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) যৌথ আয়োজনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, কুপমুন্ডকতায় ভরা পূর্ব পাকিস্তানে বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজের বীজ রোপন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এক বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই সমাজ প্রতিষ্ঠা হতে দেয়নি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। সহনশীলতা ও মুক্ত চিন্তার জন্য এ উপমহাদেশ বহু আগে থেকেই বিখ্যাত। আমাদের যে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র বহু শতকের ঐতিহ্য তা ধংস করা হয়েছে উপনিবেশিকতার মাধ্যমে। তারা আমাদের মূল্যবোধের উপর অন্য মূল্যবোধ চাপাতে চেয়েছিল৷ আমাদের মুক্তিযুদ্ধও ছিল সম্প্রীতি রক্ষা ও বৈচিত্র্য রক্ষার এক সংগ্রাম। আমাদের সরকার সবসময় সহনশীলতা ও সম্প্রীতির উদ্যোগ নিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করেছেন। আমরা পার্বত্য অঞ্চলের ভাইদের সাথে বহু যুগ ধরে সহাবস্থান করছি। মুক্তিযুদ্ধে আমরা একসাথে যুদ্ধ করেছি৷ হ্যাঁ, চুক্তি হয়ত এখনো শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ও আছে।


শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাকে পছন্দ করে না। কারণ আমি বিভিন্ন সময় প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি। অনেক ক্লিপ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার চেষ্টা করে। তারা সংখ্যায় কম। দেশে সাধারণ মূল্যবোধের মানুষ সংখ্যায় অনেক বেশি। তবে প্রতিক্রিয়াশীলরা সংগঠিত। কর্ম জগতে নারীদের প্রবেশ ঠেকাতে অতিরক্ষণশীল মতবাদ তারা প্রচার করছে। এদের প্রচারণায় আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রভাবিত হয়ে যায়। সম্প্রীতি দুয়েকজন ক্রিকেটারও এমন প্রচার করেছে, নারীদের কাজে যোগদান বিষয়ে৷ আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ এর পরে সেই শক্তি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। উদার পশ্চিমের (লিবারেল ওয়েস্টের) অনেক দূতাবাসের কর্তারাও অনেক সময় এ ধারণার প্রচারকারীদের সাথে বৈঠক করে। যেহেতু গণতন্ত্র বিষযে তাদের একটা অবস্থান আছে। তা তারা করতে পারে। তবে আমাদের সহনশীল সমাজকে যারা অস্থির করতে চায়, তাদের নিয়ন্ত্রণে আমরা নিজস্ব উপায় সচেষ্ট আছি। থার্ড জেন্ডারের বিষয়টি যখন পাঠ্যপুস্তকে আসলো তাদের প্রতিক্রিয়া আপনারা দেখেছেন। এ ধরণের পরিস্থিতিতে আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করতে হয়।

তিনি বলেন, সহনশীলতা ও ভিন্নতাকে গ্রহণের মানসিকতা অবশ্যই আমাদের তরুণদের থাকতে হবে৷ কারণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এটাই। আমরা বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ স্লোগান আমরা ব্যবহার করি। সেখানেও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি আক্রমণ করে। ট্রল করে। পার্বত্যবাসীর প্রতি দীর্ঘদিন যে অবিচার হয়েছিল, সে অন্যায়কারী গোষ্ঠী এখনো বেশ সক্রিয়। সামরিক শাসকরা সমতল থেকে বাঙালিদের জোর করে ধরে নিয়ে সেখানকার জনমিতি বদলে দিতে চেয়েছিল। তারা শান্তি চুক্তির দিনও এর বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছিল। এরকম জটিল মাত্রা ও সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিততে আমাদের কাজ করতে হয়।

তিনি বলেন, আমাদের গত ১৪-১৫ বছরের অর্জনকেও বিবেচনা করতে হবে এই প্রেক্ষাপটে যে, সমাজে অতি প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতিহত করেই আমাদের এগুতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চলছে। সচেতন থাকতে হবে। বৈচিত্র্যকে গ্রহণে সামাজিক মানসিকতা বদলে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা দেখুন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা এখন সামাজিক স্বীকৃতি পায়। একসময় তাদের অন্তরালে রাখা হত।

 নওফেল বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতায় যেন কোনো হুমকি না আসে সে বিষয়ে আমরা সচেতন। বাংলা হবে আফগান এ স্লোগান যারা দিয়েছিল তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই। সেটা না করলে দেশ আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পথে এগিয়ে যাবে। যে সব দল ও সামাজিক শক্তি সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সাথে আছেন তাদের নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করব। পশ্চিমা কূটনৈতিকদের বলি, দেশে বৈশ্বিক মানদণ্ডে যে অগ্রগতি হয়েছে তা অবশ্যই আমরা ধরে রাখব। গণতন্ত্র রক্ষার নামে সরকার ও দলকে যখন আক্রমণ করা হয়, তা দু:খজনক। ইউরোপ আজকের অবস্থানে একদিনে আসেনি। ৫০০ বছর অন্ধকার যুগ কাটিয়ে, উপনিবেশ করে, সারা বিশ্ব থেকে সম্পদ আহরণ করে তারা এখানে এসেছে। গণতন্ত্র আমাদের এ ভূখন্ডের মানুষের মজ্জায়। প্রতিষ্ঠান দুর্বল হচ্ছে বলে, যে অভিযোগ করা হয় তা ঠিক নয়। আমাদের বাস্তবতা কি? আমাদের চ্যালেঞ্জ ভিন্ন। রাষ্ট্রের বিরোধীতকারীদের এখানে বছরের পর বছর পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে৷ যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বই স্বীকার করে না তাদের নিয়ে দেশ চালানো অনেক কঠিন। বিভিন্ন অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেয়ার প্রবণতা যা দেখছি, তা যেন কমে। আমাদের সংগ্রাম আমাদের মতই হবে। বাইরে থেকে যত কম হস্তক্ষেপ হবে ততই ভালো হবে।

বিশেষ অতিথি নরওয়ের রাষ্ট্রদূত স্পেন রিকটার এসভেনডসেন বলেন, অসাধারণ এক ধারণা সম্প্রীতির উৎসব। সম্প্রীতি ও সহনশীলতা এত সহজ নয়। ভিন্নতাকে মেনে নেয়া হলো সহনশীলতা, এটা কঠিন। অনুশীলনের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয়। ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য সম্প্রীতি প্রয়োজন। শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য সম্প্রীতি প্রয়োজন। আমরা দ্বিধায় ভুগি টলারেন্স নিয়ে। সবার ভিন্ন মতে আমরা এক মত হব তা নয়। কিন্তু অন্যের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ দিতে হবে। ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়া যোগাযোগের অবারিত সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু মিথ্যা তথ্য ছড়ানো সহ নানা কারণে তা সংকটেরও জন্ম দেয়। অন্তর্ভুক্তিমূ্লক সমাজ থাকলে নানা বৈষম্য ও প্রতিহিংসা ছড়ানো বন্ধ করা সম্ভব। তারুণ্যের শক্তিই সবসময় এগিয়ে যেতে পারে এ কাজে।

বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার লিখিত বক্তব্য অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। তিনি বলেন, জাতির জনকের আশা ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সকল ধর্ম বর্ণ জাতির মানুষের জন্য। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।

বিশেষ অতিথি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সম্প্রীতির উৎসব বেশি করে হওয়া দরকার। ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার চট্টগ্রাম। এখানে হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছে। জাতির পিতা অসম্প্রাদিয়ক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্টের নীতি অনুসরণ করছেন। এই প্রযুক্তির যুগে মিস ইনফরমেশন অহরহ দেখতে পাই। যে কোনো তথ্য সোশাল মিডিয়াতে আসলেই সেটাকে সত্য বলে ধরে নেয় মানুষ। যা নানা দুর্ঘটনার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। সব ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।

বিশেষ অতিথি চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক ও বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য ছড়ানো হয়। যারা এসব করে, তারা সংখ্যায় অল্প। কিন্তু তারা মনে করে তাদের সঙ্গে সংখ্যাগুরুরা আছে। কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। আমরা চাকমা সার্কেল চেষ্টা করছি সকল সম্প্রদায়ের সঙ্গে সকল ধর্মের মানুষের যাতে সহবস্থান হয়। পাহাড়ে বাঙালিসহ, সকলেরই সম্প্রীতির বন্ধনে রাখার চর্চা অব্যাহত আছে। কিন্তু আগে থেকেই যদি বিদ্বেষ ও হিংসা ছড়ানো হয় তাহলে সহাবস্থান নিশ্চিত হয় না। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথি ইউনেস্কোর অফিসার ইন-চার্জ সুসান ভাইজ বলেন, ছোটবেলায় রূপকথার গল্পে শেখানো হয়, আমাদের মত নয় তাই খুব বিপদজনক। তাই স্বত:স্ফূর্তভাবে আমাদের মধ্যে থেকে সম্প্রীতি আসবে না। ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের ভাবতে হবে ও সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে আমরা কাজ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছি। নবীনদের বৈচিত্র সম্পর্কে সচেতন করতে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ও নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিরাপদ করতে এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক গড়তে আমাদের সাথে কাজ করছে।

আইসিটি ডিভিশনের পিটিআইবি প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, আমাদের মূল ফোকাস সাইবার বুলিং থেকে সবাইকে নিরাপদ রাখা। সব শাখার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এমন আয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির যুগে সবার জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের মহাপরিকল্পনায় সম্প্রীতির উৎসব এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারাত্নে। বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গর্ভনিং বডির সদস্য নিরুপা দেওয়ান, ইন্সটিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) এর নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান, ইউনাইডটেড থিয়েটার ফর সোশাল অ্যাকশন (উৎস)র নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা।

উৎসবের উদ্বোধনী পর্বের সমাপনী বক্তব্য রাখেন পিটিআইবি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রবার্ট স্টোলম্যান।

উদ্বোধনী পর্বে চাকমাদের উবগীত, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গীত, মেয়েদের মার্শাল আর্ট, পাপেট শো এবং ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির সদস্যদের গীতিনাট্য পরিবেশ করা হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে সহনশীলতার প্রতি দরুণ ভাবনা শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে স্মার্ট বাংলাদেশ, শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা কিভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে সে সম্পর্কে তরুণদের মতামত নেয়া হয়। ইউএনডিপির সিনিয়র গর্ভনেন্স স্পেশালিস্ট শীল তাসনিম হকের সঞ্চালনায় এই পর্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক এর রিসার্চ ম্যানেজার আবু সাইদ মো. জুয়েল মিয়া।

সমাপনী পর্বে নাটক- সম্প্রীতির বাংলাদেশ মঞ্চস্থ হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করে টঙের গান ও সাওতাল ব্যান্ড আংরা। দিনব্যাপী আয়োজনে আরো ছিল চিত্র প্রদর্শনী, পাপেট শো ও এম্পেথি গেম।


আরও খবর