গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষণ এবং বেপরোয়াভাবে পাওয়ার টিলার, কাঁকড়া চলাচলের কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারীসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ের কাঁচা রাস্তার বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
কাঁচা রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার লোকজনকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো হয়ে উঠে কাদাপূর্ণ। কাঁচা রাস্তাগুলোর গর্তে পানি জমে হাটু ও গিটা কাঁদায় পরিণত হয়। সে কারণে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। রাস্তাগুলোর এ অবস্থা হওয়ার কারণে অনেকে রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে দ্রুত রাস্তাগুলো পাকা করণের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের (জোড়া চাতাল) হতে জরমনদী গ্রামের মরহুম নানকু চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার ও মেরামত না করার কারণে অসংখ্য খানা খন্দে ভরে উঠেছে রাস্তাটি। বৃষ্টির পানি গর্তে জমে হাটু কাঁদায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় খালি পায়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া জরুরী কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি প্রায়ই খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলাসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগ ক্ষেত্রে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কাঁচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া উপজেলা বামনজল, সোনারায়, তারাপুর, বেলকা বামনডাঙ্গা শান্তিবাম ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে রাস্তা পাঁকা করনের দাবি জানান।
স্থানীয় এক ভ্যান চালক আনারুল ইসলাম জানান, সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে কাঁদা হয়ে যায় তখন আমরা ভ্যান নিয়ে বের হতে পারিনা। ১ কিলোমিটরি পথ হেঁটে পাকা রাস্তায় যেতে হয়।
জরমনদী গ্রামের শিক্ষক অজিত কুমার রায় জানান, দক্ষিণ ধুমাইটারী ও জরমনদী গ্রামেন প্রায় তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস। কিন্তু এখান থেকে বাহিরে বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা তাও পাকা না থাকার কারণে অল্পবৃষ্টিতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণ হলে আমাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
দহবন্দ ইউপি রেজাউল আলম রেজা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার ও মেরামতের জন্য কাজ না থাকায় কাঁচা রাস্তাগুলোয় মাটির কাজ করা হচ্ছে না। সে জন্য বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে গিয়ে কাঁদা ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বরাদ্দ আসলে কাজ করা হবে।
স্থানীয় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর রাস্তাগুলো পাঁকাকরণের দাবী জানান।
এবিষয়ে স্থানীয়া সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগে করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।