আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ ৪৩ উট!

প্রকাশিত:শনিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
তিল হওয়া ৪৩টি উটের ক্ষেত্রে বোটক্স ইনজেকশনের পাশাপাশি অন্যান্য কসমেটিক বদলও ঘটানো হয়েছিল, যাতে আরও আকর্ষক করে তোলা যায় উটগুলিকে

জমজমাট আসর। উপস্থিত দেশ-বিদেশের বহু প্রতিযোগী। তবে অংশগ্রহণকারীরা মানুষ নয়, উট! তাদের নিয়েই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কাছে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন। এই আয়োজন করতে মোট খরচ হবে ৬.৬ কোটি ডলার। তবে উটেদের প্রতিযোগিতাতেও কেউ এতটুকু ছাড় দিতে নারাজ। বরং জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে বোটক্স ইনজেকশন ও অন্যান্য কৃত্রিম উপায়ের আশ্রয় নিয়েছিলেন ৪৩টি উটের মালিক। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

কৃত্রিম কৌশল অবলম্বন করায় প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল করা হল ওই ৪৩টি উটকে। প্রতিযোগিতার বিচারকরা জানিয়েছেন, কারচুপি ধরতে এ বছর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল। তাতেই ধরা পড়েছে উট মালিকদের কৌশল।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ডিসেম্বরেই শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। চলবে ৪০ দিন ধরে। এই নিয়ে ষষ্ঠ বছরে পড়ল প্রতিযোগিতা। এতে রয়েছে ১৯টি বিভাগ। আরব দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স থেকেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন বহু উট মালিক।

জানা গেছে, বাতিল হওয়া ৪৩টি উটের ক্ষেত্রে বোটক্স ইনজেকশনের পাশাপাশি অন্যান্য কসমেটিক বদলও ঘটানো হয়েছিল, যাতে আরও আকর্ষক করে তোলা যায় উটগুলিকে। মূলত উটের মাথা, গলা, কুঁজ, পোশাক, হাঁটাচলার ওপর ভিত্তি করে বিজয়ী নির্ধারণ করেন বিচারকেরা।

এ বছর বিচারকদের নজরে আসে অনেক উটের ক্ষেত্রেই কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। কারচুপি ধরার জন্য এক্স রে, থ্রিডি আলট্রাসাউন্ড মেশিনও ব্যবহার করা হয়। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, শুধু বাতিল নয়, ওই উটের মালিকদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বোটক্স বা হরমোন বদলের ইনজেকশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক উট পিছু ২৭ হাজার ডলার।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে বোমা হামলা: জাতিসংঘ কর্মীসহ নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রাফাহ শহরে জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় এক ত্রাণকর্মীসহ কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থার এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২ জন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে ২ শিশুসহ ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলী বাহিনী। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্লজ্জ অবহেলায় তাদের স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা নির্দিষ্ট হামলা চালিয়ে হামাস কমান্ডারকে হত্যা করেছে। ইসরায়েল নিহত ওই ব্যক্তিকে মোহাম্মদ আবু হাসনা হিসাবে শনাক্ত করেছে।

জেরুজালেমে আরও এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করেছে তারা। দক্ষিণ লেবাননে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক হামাস সদস্য নিহত হয়েছেন।

এরআগে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের উপর আবারও ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮৩ জন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩১ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ২৪ জন।


আরও খবর



গলায় ফাঁস দিয়ে পাবিপ্রবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারভিন সুলতানা নামের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে পাবনা শহরের মুনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত ছাত্রী মেহেরপুরের সালদা থানা এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শারভিন সুলতানা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে আমারা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজনকে খবর পাঠানো হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন সে আত্মহত্যা করেছেন এই মুহূর্তে জানা যায়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



কক্সবাজারের গোল দিঘির পাড়ে প্রকাশ্যে রশীদের চোলাই মদের ব্যবসা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার শহরের গোল দিঘির পাড়স্থ রাখাইন পাড়ায় চোলাই মদের পাইকারি কারবার করে যাচ্ছে রশীদ ওরফে বার্মাইয়া রশীদ। প্রকাশ্যে এই মদের ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে চুপ। কোন প্রকার আইনি বাধা না থাকায় জমজমাট হয়ে উঠেছে রশীদের মাদক কারবার।

প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রামু থেকে সিএনজি টেক্সি যোগে প্রকাশ্যে চোলাই মদ এসে খালাস হচ্ছে গোল দিঘির পাড়স্থ রাখাইন পাড়াগুলোতে। পাইকারি এই মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের তালিকাভুক্ত বহু মামলার আসামী শহরের বৈদ্য ঘোনা এলাকার রশীদ ওরফে বার্মাইয়া রশীদ। তিনি একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। এই মদ কারবারে তার একাধিক সহযোগী রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্য ঘোনা এলাকায় রশীদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, হত্যা মামলা ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এসব মামলা মাথায় নিয়ে গোলদিঘির পাড় এলাকায় প্রকাশ্যে চোলাই মদের পাইকারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে প্রকাশ্যে এই কারবার চালিয়ে গেলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রশীদ।

রামু ক্যান্টেনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের পাশে টাইম বাজার এলাকার এক রাখাইন থেকে এসব চোলাই মদ সংগ্রহ করেন রশীদ। নাম প্রকাশে অনিছুক গোল দিঘির পাড় এলাকার এক মদক কারবারি বলেন, আমি তো ছোট ব্যবসা করি। দিনে হয় তো দেড় হাজার টাকা মত লাভ হয় আমার। ওই লাভ থেকেও বিভিন্নজনকে কমিশন দিতে হয়। দিন শেষে আমার কিছুই থাকে না। এখানের বড় মদ ব্যবসায়ী হল বৈদ্য ঘোনার রশীদ। পুলিশ সদস্য যারা গোল দিঘির পাড় কেন্দ্রীক রাতে ডিউটি করেন সবাই জানে রশীদের চোলাই মদের কারবার সম্পর্কে। কিন্তু কৌশলে তারাও চুপ থাকে।

এ বিষয়ে রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মদের ব্যাবসা করলে আপনার কি! আপনি আমাকে চেনেন না, আমি অনেক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছি। আমি সব মামলায় জামিনে আছি, এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দাবী করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যে হোক না কেন খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কায়সার হামিদ বলেন, মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। যারা এসব চোলাই মদ পাইকারি এনে সরবরাহ দিচ্ছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



চলতি বছরে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাবে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের শেষের দিকে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে ইরান বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই দাবি করা হয়।

রবার্ট গ্রিনওয়ে নামের সাবেক ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, এ বছর এক বা একাধিক পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাবে ইরান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবার্ট গ্রিনওয়ে বর্তমানে ওয়াশিংটনের হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।

তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না। এই সুযোগে ইরানের রায়িসি প্রশাসন তাদের পরমাণু বোমা তৈরির উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইরান সফলতা থেকে মাত্র এক চুল দূরে রয়েছে।

ফক্স নিউজের লাইফ, লিবার্টি অ্যান্ড লেভিন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তার সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানের হোস্ট মার্ক লেভিন। তিনি বলেন, এ নিয়ে গণমাধ্যম ও কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের মধ্যেও উদ্বেগ জাগ্রত হওয়া উচিত।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইরানের এখন সাতটি পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। এখন এই বোমা কি করে আইসিবিএম-এর মাথায় বসিয়ে নিক্ষেপ করা যায় তার উপর তাদের সফলতা নির্ভর করছে।

লেভিন বলেন, একদিন আমরা হঠাৎ জেগে উঠব আর বলব হায় হায় ইরানের দেখি সাতটি পরমাণু বোমা আছে! কিন্তু এ নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে আমি কিছু শুনতে পাচ্ছি না।

সেখানে কাজ করেন কোট-আনকোট এডমিরাল জন কিরবি। তার উচিত মার্কিন জনগণকে জানানো আসলে তাদের সামনে কি অপেক্ষা করছে।

গ্রিনওয়ে বলেন, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন- ইরান এরইমধ্যে এই পরমাণু বোমা দিয়ে কীভাবে ইসরায়েলসহ ইউরোপে আঘাত হানা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে। উত্তর কোরিয়ার কোনও মিসাইল দিয়ে ইরান এই পরমাণু বোমা হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।


আরও খবর



কারাগারে সশস্ত্র হামলা: ৪ হাজার বন্দি ছিনিয়ে নিল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতির একটি কারাগারে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রায় চার হাজার বন্দি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এসব কারাবন্দির মধ্যে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত গ্যাং সদস্যরাও ছিলেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রধান কারাগারে হামলা চালায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। এরপর প্রায় ৪ হাজার বন্দির অধিকাংশই পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক।

দরিদ্রতম দেশ হাইতিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা আরও খারাপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া সশস্ত্র দলগুলো হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  সহিংসতার সর্বশেষ এই পর্ব শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। ওইদিন হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাইরোবি সফরে যান।

এরপরই গ্যাং নেতা জিমি চেরিজিয়ার (ডাকনাম বারবিকিউ’) তাকে (প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি) অপসারণের জন্য সমন্বিত আক্রমণ চালানোর কথা ঘোষণা করেন। সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা সবাই, প্রাদেশিক শহরের সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং রাজধানীর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ।

জিমি চেরিজিয়ার নামের এই গ্যাং নেতা রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশ কয়েকটি গণহত্যার পেছনে রয়েছে বলে মনে করা হয়। সমন্বিত আক্রমণ চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর গোলাগুলিতে চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়।

এরপর ইউনিয়ন পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রধান ওই কারাগারটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করতে বলেছিল হাইতির পুলিশ। কিন্তু শনিবার গভীর রাতে ওই কারাগার কম্পাউন্ডে হামলা হয়।

ওই হামলার পর রবিবার কারাগারের দরজা খোলা ছিল এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কোনও চিহ্ন সেখানে দেখা যায়নি। এ সময় প্রায় সব বন্দিই পালিয়ে যায়। তবে পালানোর চেষ্টা করা তিন বন্দি কারাগারের আঙিনার মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়েছিল বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

একজন স্বেচ্ছাসেবক কারাগার কর্মী বলেছেন, ৯৯ জন বন্দি- যার মধ্যে সাবেক কলম্বিয়ান সৈন্যরাও রয়েছেন- যারা প্রেসিডেন্ট মোয়েসের হত্যার জন্য জেলে ছিল - ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার ভয়ে কারাগারে থাকাকেই বেছে নিয়েছিলেন।

মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হাইতিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত কাউকে করা হয়নি এবং ২০১৬ সাল থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়নি।

যদিও একটি রাজনৈতিক চুক্তির আওতায় হাইতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এবং অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি গত ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করার কথা ছিল, কিন্তু সেটি হয়নি।


আরও খবর