আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবি চিত্রা হরিণ, থামছে না শিকার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবি চিত্রা হরিণ। বন্য এ প্রাণীটি চোরা শিকারি ও পাচারকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ফাঁদসহ নানা কৌশলে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সুন্দরবনে হরিণ শিকার। এসব হরিণের মাংস আবার বন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে। হরিণ শিকারের পাশাপাশি এসব শিকারির কাছ থেকে অন্যান্য বন্য প্রাণীও রেহাই পাচ্ছে না। ডজন-ডজন হরিণ শিকার হলেও তা নিয়ে খুব একটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিকারিদের ধরতে সুন্দরবনে বন বিভাগের নিয়মিত টহল থাকলেও অদৃশ্য কারণে হরিণ শিকার কমছে না। বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে, আবার কখনও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিয়ে শিকারিদের সুযোগ করে দিচ্ছেন কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা শিকারি চক্রের কাছ থেকে হরিণের মাংসসহ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করায় দিনে দিনে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বাড়ছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের তেরকাটি খাল এলাকা থেকে এসব হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।   বন বিভাগের টহল টের পেয়ে হরিণ শিকারিরা বনের ভেতরে গা ঢাকা দেন। তাই এ সময় শিকারিদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে নৌকা ও বন বিভাগের দেওয়া একটি পাস উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন থেকে ডিঙি নৌকা, হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ইসহাকের ছিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব হরণির মাংস জব্দ করা হয়।   এ সময় কাউকে আটক করতে পারেননি বনরক্ষীরা।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জ থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ চারজনকে আটক করে বন বিভাগ। বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের টহল দলের সদস্যরা সুন্দরবনের বঙ্গবন্ধুর চর থেকে এসব হরিণের মাংস বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করেন।

আটকরা হলেন- সজীব মিয়া (৩৫), নওশের আলী (৩২), ইদ্রিস আলী (৪০) ও নূর আলী (৩৮)। তারা সবাই খুলনার বাসিন্দা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাগেরহাটের শরণখোলায় বসত বাড়ি থেকে হরিণের দুটি চামড়া জব্দ করে বন বিভাগ। শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের তানজির বয়াতির বাড়ি থেকে চামড়া দুটি উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেননি বনরক্ষীরা।

এর আগে রোববার (২২ জানুয়ারি) সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ দুই শিকারিকে আটক করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের  শরণখোলা রেঞ্জের ডিমেরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ১৬ কেজি হরিণের মাংস, আটকদের ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ১৫০টি ফাঁদ ও ২৫০ ফুট নাইলন সুতা জব্দ করেন বনরক্ষীরা।

আটক দুই হরিণ শিকারি হলেন- পিরোজপুরের পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নিজাম (৪৫) ও করমজাতলার রতন আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০)।

এদিকে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ চার জেলেকে আটক করে বন বিভাগ। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলার চর শুঁটকি পল্লী সংলগ্ন নাড়িকেলবাড়িয়ার চর থেকে সাড়ে চার কেজি হরিণের মাংস জব্দসহ তাদের আটক করা হয়।

আটক চার জেলেরা হলেন- খুলনার পাইকগাছা উপজেলার প্রতাপকাঠি গ্রামের আহসান আলী খানের ছেলে সাফায়েত খান, হরিঢালি গ্রামের জরিব গাজীর ছেলে হোসেন আলী গাজী, কড়ইখালী গ্রামের আ. গফুর গাজীর ছেলে রনোকুল গাজী এবং নোয়াকাঠি গ্রামের সোহরাব গোলদারের ছেলে খলিলুর রহমান। আটক জেলেরা দুবলার চরে শুঁটকি আহরণে নিয়োজিত ছিলেন।

এর আগে ২০২২ সালেও সুন্দরবনের হরিণ শিকারিরা ছিল ব্যাপক তৎপর। প্রায় বছরজুড়েই হরিণ নিধনের খবর ছিল।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী  বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকে এ কারণে সহজে বনের মধ্যে ঢুকে যায় শিকারিরা। এ সময়ে হরিণ শিকারও একটু বেড়ে যায়। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে যদি কেউ হরিণ শিকারি ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে তাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। আর বনের বাইরে ধরিয়ে দিতে পারলে রয়েছে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার। যা গেজেটে উল্লেখ রয়েছে।

জানা যায়, সুন্দরবনের ৩০০ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আর্কষণীয় প্রাণী হচ্ছে চিত্রা হরিণ। সুন্দরবনের আর্কষণীয় প্রাণীদের মধ্যে বাঘ ও চিত্রা হরিণ অন্যতম। বাঘের সংখ্যা কম হলেও হরিণের সংখ্যা প্রচুর; দেড় লাখের ওপরে। ফলে সুন্দরবনে যত্রতত্র হরিণের সাক্ষাৎ ঘটে পর্যটকদের। তাই বাঘের দেখা না পেলেও হরিণ দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন পর্যটকরা।

যেভাবে চলে হরিণ শিকার: চলমান শুষ্ক মৌসুমে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের দেখা মিলছে। খাল বা নদীর ধারে দল বেধে হরিণের চলাফেরার দৃশ্য এখন হরহামেশাই চোখে পড়ে। যেসব এলাকায় হরিণের বিচরণ বেশি সেসব স্থানে নাইলনের জাল পেতে, বিষ মাখিয়ে, স্প্রিং বসানো ফাঁদ পেতে, কলার সঙ্গে বড়শি ঝুলিয়ে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে ও তীর অথবা গুলি ছুড়ে হরিণ শিকার করা হয়।

মাছ ধরার পারমিট নিয়ে হরিণ শিকারিরা রাতের আঁধারে গোপনে বনে ঢোকে। নাইলনের দড়ির এক ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করেন তারা। হরিণের নিয়মিত যাতায়াতের পথে এগুলো পাতা হয়। যাতায়াতের সময় হরিণগুলো আটকে যায়। এক রাতে ফাঁদ পেতে আসা হয়। পরের রাতে গিয়ে আবার ফাঁদ দেখা হয়। অনেক সময় এসব ফাঁদে আটকে হরিণ মারাও যায়। আবার অনেক সময় ফাঁদে পা আটকে জালে জড়িয়ে থাকে।

এসব ফাঁদ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, বঙ্গবন্ধুর চর, কটকা, তালপট্টি, কচিখালি, দুবলা চান্দেরশ্বর, বগি, চরখালি এলাকায়। বিভিন্ন উপলক্ষে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় এসব এলাকায়। শিকারিরা বনের ভেতর থেকে হরিণ শিকার করে এনে লোকালয়ে থাকা সহযোগীদের হাতে পৌঁছে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় হাতবদল হয়ে হরিণ পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

হরিণের মাংস চড়া দামে বিক্রি হয়। ক্রেতারাও অনেক সময় প্রতারণা ভেবে হরিণের মাংস কিনতে চান না। তাই তাদের প্রমাণ দেখাতে চোরা শিকারিরা জীবন্ত হরিণ লোকালয়ে এনে জবাই করে থাকেন।

প্রতি কেজি হরিণের মাংসের দাম পড়ে এক হাজার ৫০০ টাকা। আর আস্ত একটি জীবিত হরিণের দাম চাওয়া হয় ১৫ হাজার টাকা।

হরিণের চামড়া-শিং সৌখিন ব্যক্তিরা সংগ্রহ করে ড্রইংরুম সাজায়। এছাড়া বনাঞ্চল এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা হরিণের মাংস খেয়ে উৎসবও পালন করেন। কোনো বড় ধরনের স্বার্থসিদ্ধির জন্যও কর্তাব্যক্তিদের খুশি করতে গোপনে হরিণের মাংস সরবরাহ করেন; এমন তথ্যও পাওয়া গেছে।

শিকারি দমনে র‌্যাবের অভিযান দাবি: সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ  বলেন, বন্য প্রাণী হলো সুন্দরবনের আকর্ষণ। বাঘ বাঁচাতে হলে হরিণকে বাঁচাতে হবে। বনে বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ। তাই হরিণ না থাকলে বাঘও থাকবে না। সুন্দরবনের ইকো সিস্টেমের ভারসাম্য রাখতে সব প্রাণীরই প্রয়োজন। এ থেকে কোনো একটি না থাকলে সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরবনের বন্য প্রাণী রক্ষায় সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। ২০০ বছর আগের ব্রিটিশদের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি দিয়ে এখনও চলছে বন। তখন তো জলবায়ু পরিবর্তন ছিল না, বনে এত পর্যটক ঢুকতো না। তাই বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে আধুনিক বন রক্ষার ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষণ বাঘ ও হরিণ। বাঘের সংখ্যা তেমন না থাকলেও হরিণের সংখ্যা রয়েছে বেশি। তাই সুন্দরবনের যত্রতত্র হরিণের সাক্ষাৎ ঘটে পর্যটকদের। বাঘের দেখা না পেলেও হরিণ দেখে তারা আনন্দ পান। সেই হরিণ যদি শিকারিদের কারণে কমে যায় তাহলে বনের প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে। র‌্যাব যদি সারা দেশের জঙ্গি দমন করতে পারে তাহলে সুন্দরবনের শিকারি দমন করতে পারবে না এটা তো হতে পারে না।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী যা বললেন: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার  বলেন, হরিণ শিকার হচ্ছে বিষয়টি না জানার কিছু নয়। প্রতি পয়েন্টে পয়েন্টে তো লোক দিতে পারি না। সীমিত লোকবল ও জলযান নিয়ে সুন্দরবনের হরিণ রক্ষায় চেষ্টা করা হচ্ছে। এতটুকু জানি আমি প্রচেষ্টা চালিয়েছি। তবে পারিপার্শ্বিকতার কারণে সফল হতে পারিনি। 


আরও খবর



ইসিতে বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়োগ-পদোন্নতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, চতুর্থ গ্রেডে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পদে নয়জনকে, পঞ্চম গ্রেডে উপ-সচিব সমমানের পদে ১১ জনকে, ষষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র সহকারী সচিব/সমমানের পদে ১৩ জনকে, দ্বিতীয় শ্রেণি হতে প্রথম শ্রেণির সহকারী পরিচালক, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ২৩ জনকে, তৃতীয় শ্রেণি হতে দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ১৬১ জনকে, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে দুইজনকে এবং ১৮ থেকে ১৬তম গ্রেডে ৫০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণির ১১টি পদে কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী, হিসাব সহকারী, স্টোর কিপার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, গাড়িচালক, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রভৃতি পদে রাজস্ব খাতে মোট ৪১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন কার্যালয়ের শূন্যপদ পূরণে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার হতে প্রথম শ্রেণির পদে ৯০ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা/সমমানের পদে ৩১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয় উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭২৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। এমসিকিউ, লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ৪১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। উল্লিখিত সংখ্যক কর্মচারী আগামী ২৬ নভেম্বর যোগদান করবেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে ডায়লগের কথা বলেন। এই ডায়লগের জন্য গণভবনে শেখ হাসিনা সব দলের সঙ্গে বসেছেন। সেখানে বিএনপিকে পর পর দুই দিনের জন্য ডাকা হয়েছিল।

এ সময় তিনি বলেন, এখন যদি কোনো দল তাদের মত পাল্টে নির্বাচনে আসে, তবে তারাও ওয়েলকাম। যদি বিএনপিও নির্বাচনে আসে, তাহলে তারাও ওয়েলকাম।

বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না। সংলাপের কথা বলে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। এ সময় ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। 

আরও পড়ুন>> সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছিলেন। ডায়লগের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ তো দূরের কথা, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে বিশ্রী অসদাচরণ করেছেন, সেটা কারও অজানা নয়।

শেখ হাসিনাকে এ সময় নীলকণ্ঠ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হজম করেছেন। আসেননি খালেদা জিয়া। অসদাচরণ করেছেন তিনি।

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সময় শেখ হাসিনা উপস্থিত হলে খালেদা জিয়ার অসদাচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন (কোকোর মৃত্যু) সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা গেছিলেন। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনাকে ঢুকতে দেননি। অসদাচরণ করেছেন তিনি।

বিএনপির আন্দোলন, সংগ্রাম সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম বিএনপি করেছে। আমরা শান্তি সমাবেশ করেছি। কখনও কি তাদের সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে? কখনও ব্যাহত হয়েছে? আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছি।

তিনি আরও বলেন, নাশকতা, আগুন সন্ত্রাসই তাদের মূল লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের যে চোরাগোপ্তার পথ, তাদের আতঙ্ক সৃষ্টির পথ, তাদের সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস করার মেগা প্ল্যান কার্যকর করেছেন।


আরও খবর



এক আসনেই লড়ছেন ৩ দলের চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ২৭৯ নম্বর আসন চট্টগ্রাম-২। জেলার ফটিকছড়ি উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত মোট ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্য তিনটি দলের চেয়ারম্যান লড়তে চান এ আসনের প্রার্থী হিসেবে। তারা নিজ নিজ দলীয় মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন।

এই তিন প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আলহাসানী আল মাইজভাণ্ডারী। তিন প্রার্থীই সুন্নিয়ত এবং ত্বরিকতপন্থি। এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের কন্যা খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।

আরও পড়ুন>> মসিউর রহমান রাঙ্গার মনোনয়ন স্থগিত

জানা যায়, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের কারণে ফটিকছড়ির আলাদা একটি ইতিহাস রয়েছে। ফটিকছড়ির ভোটারদের মধ্যে একটি বড় অংশ মাইজভাণ্ডার দরবারের অনুসারী। যারা সুন্নিয়ত এবং ত্বরিকতপন্থি। আবার দরবার অনুসারী হলেও ভোটাররা জাতীয় রাজনীতির মতোই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই ধারায় বিভক্ত। এবার রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় সারাদেশে ডামি প্রার্থীর নামে আওয়ামী লীগের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। কদর রয়েছে সরকার সমর্থিত ছোট দলগুলোরও।

ছোট দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক। অন্য দুই দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিও (বিএসপি) সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় রয়েছে। সুন্নিয়তপন্থি ভোটারদের সমর্থনের সুযোগ কাজে লাগাতে ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে এ তিনটি দল।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ১৯ নম্বরে নিবন্ধন পায় তরিকত ফেডারেশন। ২০০৮ সালের ৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায় দলটি। দলটির নির্বাচনি প্রতীক ফুলের মালা। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার ধানমন্ডিতে। দলটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।

নির্বাচন কমিশনে ৩৫ নম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর নিবন্ধন পায় দলটি। দলটির নির্বাচনি প্রতীক মোমবাতি। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার ধানমন্ডিতে। দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন।

এ তিন দলের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে সবশেষ নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৪৯। চলতি বছরের ১০ আগস্ট দলটিকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। দলটির নির্বাচনি প্রতীক একতারা। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার মিরপুরে। দলটির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ।


আরও খবর



ইতিহাসের এই দিনে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না।

আজ শনিবার ২ ডিসেম্বর, গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বছরের ৩৩৬তম (অধিবর্ষে ৩৩৭তম) দিন। বছর শেষ হতে আরও ২৯ দিন বাকি রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলী

১৮০৪ - নেপোলিয়ান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

১৮১৫ - নেপালের রাজা ও ব্রিটিশদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৮২৩ - স্বাধীনচেতা মার্কিন রাষ্ট্রপতি জেমস মনরো তার বিখ্যাত ও মনরো নীতি ঘোষণা করেন।

১৮৫২ - তৃতীয় নেপোলিয়নকে সম্রাট করে দ্বিতীয় ফরাসি সাম্রাজ্য ঘোষিত হয়।

১৮৫৬ - ফ্রান্স ও স্পেনের সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৮৫৯ - আমেরিকার দাস বিদ্রোহী ও সমাজ সংস্কারক জন ব্রাউনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

১৯৪২ - স্ট্যালিন গ্রাডে জার্মানির পরাজয়।

১৯৪২ - শিকাগোতো বিশ্বের প্রথম আণবিক চুল্লি পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়,

১৯৪৬ - ব্রিটিশ সরকার ভারতের চার নেতাকে সংসদীয় সভায় যোগ দিতে নিমন্ত্রণ করেছিল। তারা হলেন- নেহরু, বলদেব সিং, জিন্নাহ ও লিয়াকত আলী।

১৯৪৭ - ফিদেল ক্যাস্ট্রো ঘোষণা দেন তিনি মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট এবং কিউবার লক্ষ্য সমাজতন্ত্র।

১৯৪৮ - ফ্রাঙ্ক যোসেফ অস্ট্রিয়ার রাজা হন।

১৯৫৪ - এশিয়ার দেশ লাওস পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৫৬ - কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ট্রো স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেন।

১৯৭১ - পাক বাহিনীর হামলায় রামপুরা ও মালিবাগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন। নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের পথে পথে শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ।

১৯৭১ - সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।

১৯৭৫ - বিকালে চেয়ারম্যান মাও সেতুং সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেরালড রুডোলফ ফোর্ড, তার স্ত্রী বেটি ফোর্ড এবং তার সফরসংগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১৯৭৮ - রোমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল সদর দফতর স্থাপিত হয়।

১৯৮২ - ইউনিভার্সিটি অব উতাহ মেডিকেল সেন্টারে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়। এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে দন্ত চিকিৎসক বার্নে ক্লার্ক ১১২ দিন বেঁচে ছিলেন।

১৯৮৪ - ভূপালে বিষগ্যাসে ৩ হাজার লোক নিহত এবং ৫০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

১৯৮৯ - ভিপি সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

১৯৯০ - একীভূত জার্মানিতে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে হেলমুট কোলের নেতৃত্বে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট দল জয়লাভ করে।

১৯৯৫ - লাওস প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯৬ - মার্কিন ইন্টার কোম্পানি শক্তিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত সুপার কম্পিউটার অবিষ্কার করেন।

১৯৯৭ - পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত

জন্ম

১৮৫৯ - জর্জ সেউরাট, ফরাসি চিত্রশিল্পী।

১৮৮৫ - জর্জ রিচার্ডস মিনট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান চিকিৎসক ও অধ্যাপক।

১৮৮৮ - ক্ষিতিমোহন সেন,ভারতীয় বাঙালি গবেষক, সংগ্রাহক এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

১৮৯২ - বিপ্লবী গোলাম আম্বিয়া খান লোহানি।

১৮৯৬ - সোভিয়েত ইউনিয়োনের সামরিক নেতা জুকোভ।

১৮৯৭ - ইভান বাগ্রাময়ান, রাশিয়ান জেনারেল।

১৮৯৮ - ইন্দ্রলাল রায়, প্রথম ভারতীয় বাঙালি বিমান চালক প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

১৯২১ - পটুয়া চিত্রশিল্প কামরুল হাসান।

১৯২৫ -সন্তোষ দত্ত,প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা। জুলি হ্যারিস, আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯৩০ - গ্যারি স্ট্যানলি বেকার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।

১৯৪৪ - ইব্রাহিম রুগোভা, কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রথম সারির কসোভো-আলবেনীয় রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবী ও লেখক।

১৯৫৯ - বমান ইরানী,ভারতীয় অভিনেতা ও গায়ক।

১৯৬০ - অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা

১৯৬৭ - মুশতাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপ-পরিচালক ও দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।

১৯৬৮ - লুসি লিউ, আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

১৯৭৬ - ফিদেল আলেসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ, কিউবান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী।

১৯৭৮ - নেলি ফুরটাডো, কানাডীয় কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার, যন্ত্রশিল্পী।

১৯৮১ - ব্রিটনি স্পিয়ার্স, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী।

মৃত্যু

১৮৮১ - কার্ল মার্ক্সের স্ত্রী ও আমৃত্যু সহযোদ্ধা জেনি মার্কস ।

১৮৮৮ - তুর্কি কবি নেমিক কামাল ।

১৯১৮ -গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা হাই কোর্টের ভারতীয় বাঙালি বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরপ্রথম ভারতীয় উপাচার্য।

১৯৫৭ - হ্যারিসন ফোর্ড, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৬৫ - সাহিত্যিক সৈয়দ এমদাদ আলী,

১৯৬৬ - লাউৎসেন এখবার্টস ইয়ান ব্রাউয়ার, ওলন্দাজ গণিতবিদ,

১৯৮২ - মার্টি ফেল্ডম্যান, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৮৫ - ফিলিপ্ লার্কিন, ইংরেজ লেখক ও কবি।

১৯৮৭ - লুইস ফেদেরিকো লেলইর, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি বংশোদ্ভূত আর্জেন্টিনার চিকিৎসক ও বায়োকেমিস্ট।

১৯৯১ - ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও কথাসাহিত্যিক বিমল মিত্র।

২০১৪ - জেয়ান বেলিভেয়াউ, কানাডিয়ান আইস হকি খেলোয়াড়।

ছুটি ও অন্যান্য

আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস ৷


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ শনিবার (১১ নভেম্বর)। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেননের মধ্য দিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মণি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুর হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই যুবলীগ সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

প্রায় পাঁচ দশকের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যুবলীগ বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন সংটকে সমাজকে সংগঠিত করে আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে যুবলীগ। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগও রয়েছে।

এদিকে ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে যুবলীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সাড়ে ৯টায় বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি ও ১৫ আগস্টে সকল শহীদের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত।

এছাড়া দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত আনন্দ র‌্যালী ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আনন্দ র‌্যালী ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।

এতে সভাপতিত্ব করবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। শোভাযাত্রা পরিচালনা করবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।


আরও খবর