আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সুন্দরবনে গরু আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে আহত কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশন এলাকায় চলে যাওয়া একটি গরু আনতে গিয়ে এবার বাঘের আক্রমণে মো. ফজলুর রহমান গাজী (৬২) নামের এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন। বাঘের আক্রমনে আহত ফজলু গাজীকে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তির পর ডান পায়ের ক্ষতস্থানে অপারেশন করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে পূর্ব সুন্দরবনের ২৭ নম্বার কম্পার্টমেন্টের মিস্ত্রীর ছিলা এলাকার খালে মাছ ধরার সময় বাঘের আক্রমনে গুরুতর আহত হয় জেলে অনুকূল গাইন (৩৫)। এর দুইদিন পর রাতে সুন্দবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মোড়েগলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আমুরবুনিয়া গ্রামের ঢুকে পড়ে দুইটি বাঘ। ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির দরজায় ৩টি বাঘ অবস্থান নিয়ে কর্মকর্তাসহ ৭ বনরক্ষীকে ২৪ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রজনন মৌসুমে বাঘের হিংস্রতা বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবনসহ বন সংলগ্ন লোকালয়ে এখন বাঘ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় সুন্দরবন বিভাগ সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করে নির্দেশনার পাশাপাশি লোকালয়ে বনরক্ষী ও সুন্দরবন সুরক্ষায় সিপিজি সদস্যরা টহল দিচ্ছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজলু গাজী জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন  উত্তর রাজাপুর গ্রাম থেকে তার একটি গরু ভোলা নদী পেরিয়ে ধানসাগর ষ্টেশন এলাকায় বনে ঢুকে পড়ে। সুন্দরবনে গহীনে গরুর কাছাকাছি পৌঁছালে একটি বাঘ আমার ডান পায়ে আক্রমণ করে। এসময়ে আমি ডাক-চিৎকার করতে থাকলে খালে দু'টি নৌকায় মাছ ধরা কয়েকজন জেলে লগিবৈঠা নিয়ে এগিলে এলে বাঘটি আমাকে ছেড়ে বনের গহীনে চলে যায়। জেলেরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

তিনি আরও জানান, সুন্দরবনে প্রবেশের কোন পাশপারমিট না থাকায় বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে থাকি। বাঘের আক্রমণে ডান পায়ের ক্ষতস্থানে অবস্থা খারাপ হওয়ায় শনিবার সকালে বাগেরহাট হাসপাতলে ভর্তি হয়েছি। চিকিৎসকরা দুপুরে পায়ের ক্ষতস্থানে অপারেশন করেছে।

বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, সুন্দরবরে বাঘের আক্রমণে আহত ফজলু গাজীকে হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবার দুপুরে তার ডান পায়ের ক্ষতস্থানে অপারেশন করা হয়েছে। তার ডান পায়ের ক্ষত অনেক বেশি। সেখানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। লোকটি অতিদরিদ্র হওযায় তার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় মেটানোও কঠিন। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতাল ভর্তি করে সরকারি খরচে সব ধরনের সেবা দেয়া হচ্ছে। 

বাগেরহোটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে এখন বাঘের প্রজনন মৌসুম। প্রজনন মৌসুমে বাঘের হিংস্রতা বেড়ে যায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাঘ জেলেদের উপর আক্রমণসহ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এমনকি বন অফিসের সামনে ২৪ ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে থেকেছে। এই অবস্থায় সুন্দরবন বিভাগ সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করে বাঘের কোনও রকম ক্ষতি না করতে নির্দেশনার পাশাপাশি লোকালয়ে বনরক্ষী ও সুন্দরবন সুরক্ষায় সিপিজি সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহল ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

নিউজ ট্যাগ: বাঘের আক্রমণ

আরও খবর



আগুন লাগা ভবনের ছাদে আটকা ৫০ জনের বেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনের মধ্যে অনেকে আটকা পড়েছেন। এরমধ্যে ভবনটির ছাদে আটকে আছেন প্রায় ৫০ জন।

আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। তবে এখনো ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি ৷ ওই রেস্টুরেন্টটির জানালার পাশে স্বজনদের দেখে আহাজারি করছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগার পর এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, রেস্টুরেন্টের মধ্যে আগুনে আটকা পড়া একজনের স্বজন তাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ছাদে উইঠা যা; ছাদে ক্যারেন (উচু স্থান থেকে উদ্ধারকারী যন্ত্র) পাঠাইছে। তিনি বলেন, আমার আপন ভাই আগুনে আটকা পড়ছে ওর নাম ফয়সাল।

এদিকে ছাদ থেকে উদ্ধার হওয়া একজন বলেছেন, ছাদে অন্তত ৫০ জনের মতো আছে। পুরা ছাদ ভর্তি মানুষ। তবে এখনো সবাই ঠিক আছে।

এর আগে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, ভবনটির পাঁচতলা পর্যন্ত সব ফ্লোরে আগুন দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়েছে।


আরও খবর



বেইলি রোডের ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বেইলি রোডের ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সেখানে কোন ফায়ার এক্সিট নেই। আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের সব সময় অনুরোধ করি, আপনারা যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু আর্কিটেক্টরা ওরকম ডিজাইন ঠিক মতো করে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।

আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। এসময় তিনি রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে?

বীমার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাসটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মাসে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি, এই মাসেই জন্ম নেন আমাদের মহান নেতা। ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করা হয়েছে, এটি আমাদের জন্য স্বরণীয় একটি বিষয়। বীমা আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জীবনের বিভিন্ন ঝুকি এড়াতে এই বীমা সহযোগিতা করে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ২টি গ্রুপে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এবছর ২টি লাইফ ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বীমা ব্যবসার বিকাশে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট পেয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা পরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফটো সেশনেও অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, আইডিআরএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বীমা খাতের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

এই কর্মসূচি থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক বীমা সেবারও উদ্বোধন করেন যা সরাসরি ব্যাংক থেকে বীমার প্রিমিয়াম প্রদানের সুবিধা প্রদান করে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এই বছর বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। তাই প্রতিবছর ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালিত হয়। সরকার পরবর্তী সময়ে দেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মরণে জাতীয় বীমা দিবসকে বি ক্যাটাগরি থেকে ক্যাটাগরিতে উন্নীত করে।


আরও খবর



অবশেষে সাংবাদিক বৃষ্টির লাশ বুঝে পেল পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় পৌঁছানোর পর মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর আগে সকালে ঢাকার রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বেইলি রোডের ঘটনায় নিহত বৃষ্টির ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট এসেছে, তবে নাজমুলের রিপোর্ট এখনো আসেনি। তার রিপোর্ট আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে তার বলে, সিআইডি থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। তবে তার মরদেহ নানা জটিলতায় হস্তান্তর করা হয়নি মরদেহ।

তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। মরদেহ রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গের ডিপ ফ্রিজারে। তবে আজ তার মরদেহ হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মেয়ের মৃত্যুর খবরে ওইদিনই কুষ্টিয়া থেকে ছুটে ঢাকায় আসেন বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) বাবা সবুজ শেখ। মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে এর পরই বাধে বিপত্তি। সহকর্মী ও পরিচিতরা দাবি করেন, নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী। পরে পরিচয় নিশ্চিত হতে ১ মার্চ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম। এনআইডি অনুযায়ীও ওই সাংবাদিকের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


আরও খবর



বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারী সম্পর্ক বাড়াতে চায় আরব আমিরাত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অংশীদারত্বে রূপান্তরের ওপর জোর দিয়েছেন।

রাজধানী আবুধাবির আল আইন শহরে মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহর রাজকীয় প্রাসাদে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সই ও জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল (জেবিসি) সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এ গুরুত্বারোপ করেন।

উভয় মন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পুরো বিষয় পর্যালোচনাকালে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ নতুন উদীয়মান ক্ষেত্র অন্বেষণের ওপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দেশে ইউএই'র বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতারবাড়ি এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন, বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, রাঙ্গুনিয়ায় আধুনিক ইউএই'র প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ ইবনে সুলতান আল নাহিয়ানকে উপহার দেওয়া জমির উন্নয়নে ইউএই সরকার এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরেন। এসময় ইউএই'র পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব প্রস্তাব সমর্থনে চলমান বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

হাছান মাহমুদ ইউএইতে স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সকল ট্রেডে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের অনুরোধ জানালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ ইতিবাচক সাড়া দেন।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক মো. শফিকুর রহমান।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ একদম পরিষ্কার। তিনি দেশের স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান উন্নতি করতে চান। এক্ষেত্রে আমি এবং প্রতিমন্ত্রী দুজনই প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশাটা বুঝি ও জানি।

তিনি বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যতটা উদ্বিগ্ন ততটা উদ্বিগ্ন আর কেউ সম্ভবত নন। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে অনেক কিছুই চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একজন ডাক্তার থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও একজন পেশাদার ডাক্তারকেই দিলেন তিনি।

সোমবার (৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সদ্য যোগদান করা ডা. রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নার্সিং অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, ডিজিডিএসহ স্বাস্থ্য খাতের সব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবরা বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর